মিষ্টি কুমড়া গাছের জীবনচক্রের ফটোগ্রাফি ❤️
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো মিষ্টি কুমড়া গাছের জীবনচক্র । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো মিষ্টি কুমড়া গাছের জীবনচক্র আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।এই মিষ্টি কুমড়োর জীবনচক্রের পোস্ট টি তৈরি করতে আমাকে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে কারণ চারা রোপন থেকে পরিপক্ব কুমড়ো পর্যন্ত ফটোগ্রাফি করেছি এবং তারপর তা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি অবশেষে।
তো চলুন দেখা যাক
প্রথম ধাপ
প্রথমে একটি উর্বর জমিতে বিজ বা চারা রোপন করতে হয় তো আমার এই ফটোগ্রাফিতে দেখতে পারছেন এগুলো চারা মিষ্টি কুমড়া গাছ।বাজারে যে ছোট ছোট মিষ্টি কুমড়া পাওয়া যায় সেই গাছ এগুলো।প্রথমে একটি চারা রোপন করা হয়েছে এবং এই চারা গাছে প্রতিদিন দু'বেলা নিয়ম করে জল সেচ দেয়া হয় গোড়ায়।গাছের গোড়ায় জল দিলে গাছ তরতাজা প্রনবন্ত হয়ে যায়।
দ্বিতীয় ধাপ
চারা গাছটি আস্তে আস্তে বড়ো হচ্ছে। গাছটির আগা বের হয়ে যাচ্ছে।
তৃতীয় ধাপ
এখন মিষ্টি কুমড়া গাছে পুরুষ ফুল ও মেয়ে ফুল এসেছে। কুমড়ো গাছে এই পুরুষ ফুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।কারণ এই পুরুষ ফুলের মাধ্যমে পরাগায়ণ হয় এবং কুমড়ো হতে সাহায্য করে।পুরুষ ফুল চেনার উপায় হচ্ছে যে কুমড়ো ফুলের গোড়ায় কুমড়োর আকৃতি নেই সেটি পুরুষ ফুল আর যে ফুলের গোড়া কুমড়োর আকৃতি আছে সেটি স্ত্রী ফুল।
পরাগায়ন দুভাবে হয়ে থাকে এক প্রাকৃতিক উপায়ে মাছি,পাখি,পোকামাকড়ের মাধ্যমে। পোকামাকড় যখন ফুলের মধু খেতে গিয়ে এক ফুল থেকে আর এক ফুলে যায় আর তখন পুরুষ ফুলের পরাগায়ন পায়ে লেগে থাকে এবং সেই পতঙ্গ যখন স্ত্রী ফুলের মধু খেতে যায় তখন সেই পতঙ্গের পায়ে লেগে থাকা রেণু দিয়ে পরাগায়ন ঘটে থাকে।
আবার কৃতিম উপায়ে পরাগায়নের পদ্ধতি হলো পুরুষ ফুলের রেণুডন্ড স্ত্রী কেশরের গর্ভমুন্ডে প্রবেশ করালে পুরুষ রেণু স্ত্রী ফুলের গর্ত মুন্ডে লেগে যাবে এবং কৃতিম পরাগায়ন সম্পূর্ণ হবে।
চতুর্থ ধাপ
এই ফটোগ্রাফিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি কুমড়ো যুক্ত ফুল ফুলটি নেতিয়ে গেছে এই ফুলটি শুখে যাবে এবং এই কুমড়োটি আস্তে আস্তে বেড়ে উঠবে।
পঞ্চম ধাপ
এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা লক্ষ্য করলে বুঝবেন কুমড়োর ফুলটি শুখে গেছে এবং কুমড়োটি বড়ো হয়েছে কিছু টা এই ফুলটি শুখাতে থাকবে এবং কুমড়োটি বড়ো হতে থাকবে।
ষষ্ঠ ধাপ
আস্তে আস্তে কুমড়া টি সম্পূর্ণ রুপে বড়ো হয়ে গেছে। এই অবস্থায় এই কুমড়ো উপযুক্ত হয়েছে এখনি তুলে খাওয়া সম্ভব কিংবা অপেক্ষা করলে পেকে সংরক্ষণ করে রেখে খাওয়া সম্ভব।
এই ছিলো আমার আজকের কুমড়া ফুলের জীবনচক্রের ফটোগ্রাফি। এই কুমড়ো ফুলের গাছ খুব বেশি না হলেও অনেক কুমড়োর ফলন হয়। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবারও দেখা হবে অন্য কোন নতুন পোস্ট নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
মিষ্টি কুমড়োর জীবনী আপনি এত সুন্দর করে ধাপে ধাপে বর্ণনা করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আমাদের বাড়িতেও একবার মাচা করে মিষ্টি কুমড়ো চাষ করেছিলাম। তবে নিজেরাই খাওয়ার জন্য। এমন করে চোখের সামনে একটি গাছ বড় হয়ে তাতে ফলন ধরে সেই ফলটি আবার এত বড় হতে দেখতে খুব ভালো লাগে। এত সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে মিষ্টি কুমড়া জীবনচক্র বর্ণনা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের এই মিষ্টি কুমড়ো গুলোকে মিট কুমড়ো বলে আকারে ছোট কিন্তুু সুস্বাদু ও অনেক মিষ্টি হয়ও মাটিতে হয়। ভালো লাগলো আপনার বাড়িতে মাচায় মিষ্টি কুমড়ো হতো জেনে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি তো দেখতে খুবই সুন্দর ভাবে একটা মিষ্টি কুমড়া গাছের জীবনচক্র আমাদের মাঝে শেয়ার করতে সক্ষম হয়েছেন। আপনার পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে আপনি দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে ফটোগ্রাফি ধারণ করে আমাদের মাঝে এই পোস্ট শেয়ার করেছেন। এমন পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক কষ্ট এবং সময় দিতে হয়।
হ্যাঁ ভাইয়া অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল পুরা জীবনচক্র তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।