ঔষধী গুণে ভরপুর থানকুনি পাকোড়া রেসিপি❤️

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago

হ্যালো

আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।

আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।

IMG_20250215_195516.jpg

IMG_20250215_195607.jpg

IMG_20250215_195819.jpg

রান্না আমার সখ।রান্না পেশা নয় নেশায় পরিনত হয়েছে আর তা হয়েছে বাংলা ব্লগের কল্যানে।এখন রান্না করতে খুবই ভালো লাগে আমার এবং চেষ্টা করি নতুন নতুন রান্না করে আপনাদের সাথে ভাগ করতে।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ঔষধী ও পুষ্টিগুণে ভরপুর থানকুনি পাতার পাকোড়া রেসিপি।
থানকুনি পাতায় রয়েছেন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি তাই থানকুনি পাতা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।মুখের ব্রণ দূর করে লাবণ্য ফিরিয়ে আনে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এই থানকুনি পাতা খেলে। মুখে ঘা হলে এবং যেকোনো প্রকার ক্ষত সারাতে থানকুনি পাতা ভীষণ কার্যকর। সর্দি-জ্বরেও উপকারী এই থানকুনি। পেটের অসুখে থানকুনি পাতার কার্যকর ভূমিকা অনেক।আগের দিনে পেটের পিড়ার ভেজস ঔষধ হিসেবে ব্যাবহার হতো এই থানকুনি পাতা।আমশয়ে খুব ভালো কাজ করে এই থানকুনি। কাশি উপশম করে।গলা ব্যাথায়ও বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে।এতো ঔষধী গুণে ভরপুর থানকুনি গ্রাম অঞ্চলে আনাচেকানাচে ও মাঠেঘাটে হয়ে থাকে।আমাদের বাড়ির গাছ বাগানে দেখলাম ভর্তি হয়ে আছে এই ঔষধি গুণসম্পন্ন থানকুনির তাই সেখান থেকে তুলে এনে এই মজাদার ও উপকারী পাকোড়া বানিয়ে ফেল্লাম এবং আপনাদের সাথে তা ভাগ করে নিলাম।
আশা করছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে আমার এই থানকুনি পাতার পাকোড়া রেসিপিটি।এই থানকুনি অনেক ভাবেই খাওয়া যায় কিন্তুু এভাবে পাকোড়া করলে একটু বেশি ভালো লাগে।

তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন

IMG_20250215_190521.png

১.থানকুনি
২.মসুর ডাল
৩.পেঁয়াজ কুচি
৪.রসুন বাটা
৫.আদা বাটা
৬.জিরা বাটা
৭.কাঁচা মরিচ কুচি
৮.লবন
৯.হলুদ
১০.তেল
১১.চালের গুড়ি

PhotoCollage_1739625074728.jpg

IMG_20250215_190529.png

প্রথম ধাপ

প্রথমে আমি থানকুনি গাছ থেকে পাতা গুলো ছিড়ে নিয়েছি।

PhotoCollage_1739626490698.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এখন আমি পাতা গুলো জলে ভিজিয়ে রেখেছি পাঁচ মিনিট কারণ এই পাতায় ধুলাবালি ছিলো অনেক।ভিজিয়ে রাখার পর খুব ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি এবং জল ঝড়িয়ে নিয়েছি ও কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।

PhotoCollage_1739626647978.jpg

তৃতীয় ধাপ

এখন মসুর ডাল ভিজিয়ে রেখেছি ও আধা ঘন্টা পর তা বেটে নিয়েছি।

PhotoCollage_1739626799454.jpg

চতুর্থ ধাপ

এখন থানকুনি কুচানো পাতায় বাটা মসুর ডাল দিয়েছি।

PhotoCollage_1739626935378.jpg

পঞ্চম ধাপ

এখন পেঁয়াজ কুচি,মরিচ কুচি দিয়েছি ও সব বাটা উপকরণ লবন হলুদ দিয়েছি।

PhotoCollage_1739627059717.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

এখম মেখে নিয়েছি ও তাতে চালের গুড়ি দিয়েছি ও আবারও ভালো করে মেখে নিয়েছি।

PhotoCollage_1739627146609.jpg

সপ্তম ধাপ

এখন হাতের সাহায্য গোল বানিয়ে তারপর চ্যাপ্টা করে পাকোড়া বানিয়ে নিয়েছি। একে একে সব গুলো পাকোড়া বানিয়ে নিয়েছি।

PhotoCollage_1739627248126.jpg

অষ্টম ধাপ

চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি ও বানিয়ে রাখা থানকুনি পাকোড়া গরম তেলে দিয়েছি।

PhotoCollage_1739627452352.jpg

নবম ধাপ

এখন ওপিঠওপিঠ করে ভেজে নিয়েছি থানকুনি পাকোড়া গুলো।ভালো ভাবে ভেজে ভেজে তুলে নিয়েছি।

PhotoCollage_1739627598066.jpg

পরিবেশের জন্য তৈরি

IMG_20250215_195607.jpg

IMG_20250215_195431.jpg

IMG_20250215_195819.jpg
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার ঔষধি গুণে ভরপুর মজার থানকুনি পাতা রেসিপিটি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনবাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG_20250215_190545.png

IMG_20250215_190537.png

Sort:  
 6 days ago 

এই থানকুনি শাক ঔষধিগুণ সম্পন্ন। খেতেও ভীষণ মজা। এই শাক ভাজি করে কয়েকবার খাওয়া হয়েছে। এই শাকের পাকোড়া কখনো আমার খাওয়া হয়নি। তবে আপনি ডাউল দিয়ে যেভাবে থানকুনি শাকের পাকোড়া তৈরি করেছেন দেখেই তো মনে হচ্ছে খেতে বেশ হয়েছে। ভাতের সাথে এরকম পাকোড়া খেতে কিন্তু বেশি ভালো লাগে। একদিন খেয়ে দেখতে হবে। রেসিপিটি শিখে নিলাম দিদি। রেসিপিটি শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

 5 days ago 

শাক হিসেবে আমিও খেয়েছি তবে পাঁচমিশালি শাকে। সত্যি পাকোড়া অনেক সুস্বাদু দিদি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 6 days ago 

থানকুনি পাতায় অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। তবে এভাবে কখনো বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। বিকেলের নাস্তা হিসেবে খেতে অনেক ভালো লাগে। নিশ্চয় অনেক মজা করে খেয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 6 days ago 

ঠিক বলেছেন বিকেলের নাস্তা হিসেবে খেলে খুবই ভালো লাগবে।

 6 days ago 

থানকুনি পাতা আমার খুবই প্রিয় তবে বহু বছর হল খাইনা। আগে এক সময় কাঁচা থানকুনি পাতা খেতাম। থানকুনি পাতা দিয়ে বড়া রেসিপি খুবই ভালো লাগলো। দেখে লোভ লাগছে। আমার আসলে এই ধরণের রান্নাগুলো বেশি পছন্দ। মানে ঘরোয়া রান্না আর কি৷

 6 days ago 

সত্যি আপু থানকুনি পাতা ঔষধি একটি কাজ। আমি নিজে এই গাছের পাতা খেয়েছি। তবে বেশিরভাগ সময় আমার মাকে দেখতাম ছাগল অসুস্থ হলে ঠান্ডা কাশি হলে এই পাতা বেটে খাওয়াইয়া দিত। খুবই সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। এটা আমাদের জন্য অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। ধন্যবাদ আপু।

 6 days ago 

থানকুনি পাতা আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। তাই আমাদের এই পাতা খাওয়ার প্রবণতা বাড়াতে হবে। ধনিয়া পাতা থানকুনি পাতা তুলসী পাতা এ সমস্ত পাতাগুলো নিজে কোন রেসিপি মধ্যে দিলে পারে খাওয়া যেমন হয়ে যায় তেমন রেসিপিগুলো সুস্বাদু হয়ে ওঠে। আবার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ হয়। ভালো লাগলো চমৎকার রেসিপি তৈরি করতে দেখে।

 6 days ago 

Screenshot_2025-02-15-23-13-21-29_6604d2525654b46e33aa2968a0a78870.jpg

 6 days ago 

Screenshot_2025-02-15-21-32-25-35_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

Screenshot_2025-02-15-21-31-02-14_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

Screenshot_2025-02-15-21-17-53-62_0b2fce7a16bf2b728d6ffa28c8d60efb.jpg

 5 days ago 

মজার মজার পাকোড়া গুলো খেতে আমি একটু বেশি ভালোবাসি। আর যদি এরকম পাকোড়া হয় তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। অনেক বেশি সুস্বাদু মনে হচ্ছে আপনার তৈরি করা থানকুনি পাতার পাকোড়া। এরকম লোভনীয় পাকোড়া গুলো দেখলে আমার অনেক লোভ লাগে। মাঝেমধ্যে এই খাবারগুলো আমার খাওয়া হয়ে থাকে। এত মজাদার রেসিপি নিয়ে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

 5 days ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।

 5 days ago 

আমার বাংলা ব্লগের কল্যাণে রান্নাঘর তোমাকে দেখতে পায়..হি হি হি😅 থানকুনি পাতার অনেক গুণাবলি সম্পর্কে জানতে পারলাম।বাগানের থানকুনি পাতা মানে আরও অনেক বেশি উপকারী কারণ এতে কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়নি।পাকোড়া গুলো দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে খেতেও সুস্বাদু হয়েছিলো তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

 5 days ago 

এটা অস্বিকার করার উপায় নাই যে বাংলা ব্লগের কল্যানে রান্না ঘর আমাকে দেখতে পায়🙂।একদমই ঠিক বলেছেন যে বাগানের থানকুনি পাতা বেশি উপকারী কারণ এতো রাসায়নিক ব্যাবহার হয়নি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 5 days ago 

আমাদের ছাদের উপর অনেক থানকুনি পাতা রয়েছে। আমার শাশুড়ি ওখানে লাগিয়েছে। মাঝেমধ্যে ওখান থেকে থানকুনি পাতা নিয়ে এসে ভর্তা তৈরি করা হয়। কিন্তু এরকম ভাবে কখনো থানকুনি পাতার পাকোড়া তৈরি করা হয়নি। আপনি দেখছি অনেক মজাদার ভাবে পাকোড়া তৈরি করলেন। আর এটা দেখে আমার তো খেতে ইচ্ছে করছে। ভাবছি একদিন থানকুনি পাতা নিয়ে এসে এরকম পাকোড়া তৈরি করবো। আশা করি খেতে অনেক ভালো লাগবে।

 5 days ago 

থানকুনি আন্টি ছাদে লাগিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ভর্তা খেতে দারুণ লাগে।অবশ্যই এভাবে বানিয়ে খাবেন পাকোড়া তখন ভর্তা বাদ দিয়ে শুধু পাকোড়া খেতে মন চাইবে।