বাবার সখের মাছের ঘের সংস্কারে চোরদের বাধা।প্রথম পর্ব।
হ্যালো
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো আমার বাবার পুকুর সংস্কারে বাঁধা দেয়ার ঘটনা। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমরা দাদু অনেক সম্পত্তি রেখে গেছেন ছেলেদের জন্য। আমাদের পরিবার একটি কৃষি প্রধান দেশের কৃষি নির্ভর পরিবার। আমাদের বাড়িতে কৃষি কাজ করে আর দশটা পরিবারের সংসার চলে।একটি কৃষি নির্ভর পরিবারে মানে গিরস্থ পরিবারে যা যা থাকা দরকার তার সবটাই আছে। নিজের ঘরের ধানের ভাত,পুকুরের মাছ,চাষের গরু,সবজির ক্ষেত,গরুর দুধ,হাঁস, কবুতর সব।সব মিলিয়ে পরিপূর্ণ একটি বাড়ি।কোন কিছুর অভাব নেই কিচ্ছু কিনতে হয় না এরকমটাই দেখে আসছিলাম ছোট বেলা থেকে।
গ্রামের সবাই অনেক দরিদ্র পরিবার আর কিছু মানুষ আছে খুব ভালো আর কিছু মানুষ ভীষণ রকমের ভয়ংকর। তারা সবাই আমাদের বাড়িতে কাজ করে আমাদের সব কিছু খায় আর সুযোগ পেলেই আমাদের পরিবারকে বিপদে ফেলতে চায়।তাদের হিংসা আমাদের নাই তাদের এতো কিছু কেন এসব ছোট বেলা থেকে দেখে আসতাম।
আমাদের কে খুব সাবধানে রাখতো পরিবারের লোকজন কারণ তারা কখন কি খারাপ করবে আমাদের সাথে হিংসাত্মক ভাবে তাই।মুখে মধু অন্তরে বিষ ছিলো তাদের। কতো সবজি, চাল চুরি করে দিতাম না খেয়ে থাকতো জন্য অথচ সুযোগ পেলে তারা ক্ষতি করতো।সামনে বলে নিতো একবার তো চুড়ি করতো হাজার বার। সব থেকে বেশি চুড়ি করতো গাছের ফরমুল কলা,সবজি লেবু,পেঁয়াজ ও হাঁস,পুকুরের মাছ।
আমার বাবার প্রতি বছর বছর জমি কেনার নেশা ছিলো। এলাকায় কেউ জমি বিক্রি করলে তা বেশি দাম দিয়ে হলেও নিতেই হবে। এমনো ঘটনা আছে জমি কেনার দু যুগ পর জমি দলিল করে নিয়েছে রেজিষ্ট্রার বাড়িতে এনে মোটা অংকের টাকা খরচ করে কারণ একটাই ছেলেরা বাপকে দলিল করতে যেতে দিতো না বয়স্ক বলে। মানে কতোটা খারাপ হলে এমন করতে পারে। তবে বয়স্ক লোকটির কোন দোষ নেই ছেলেদের ও ছেলের বউয়ের দোষ তাদের মনস্কামনা ছিলো জমির টাকা ফেরত দেবে।
আমরা বাবার সপ্ন ছিলো মাছের ঘেরের।আমরা যখন ছোট তখন বাবা তার সেই সপ্নটা পূর্ণ করে একটি সুন্দর মাছের ঘের করে।খুবই সুন্দর ঘেরটি।একদমই মনোরম পরিবেশ বাড়ির সামনেই দশ বিঘা জমির মাঝে মাছের ঘের করে।বাড়ির সামনে পুকুর ও বাকিটা পুকুরের সাথে বাঁধানো। ঘেরটি দেখলে নদী নদী লাগে।বিশাল বড়ো এবং বাতাসে জলের ঢেউ।দেখলে নদীর সৌন্দর্যের কোন অংশে কম নয়।পুকুর পাড়টি বিয়ের আগে ছিলো আমারা শান্তির জায়গা। পুকুর পাড়ে বসলে যে কারো খারাপ মন ভালে হতে বাধ্য। আমার বাড়িতে কোন আত্নীয় স্বজন গেলে বাড়ি থাকে না পুকুর পাড়ে নির্মল বাতাসে সুন্দর পরিবেশে বসে।আমার মেয়ের তো পছন্দের জায়গা তার মামা বাড়ি এবং পুকুর পাড়।
দেখতাম বাবা পুকুর পাহাড়া দেওয়া জন্য লোক রাখতেন। রাতে পুকুর পাহাড়া দিতো যাতে মাছ চুরি করতে না পারে। নিজেও সারারাত পুকুর পাহাড়া দিতো।বাড়ির সামনে পুকুর জন্য সুবিধা ছিলো। পুকুর পাড়ে একটি ঘর বানিয়ে দিয়েছে এবং সেই ঘরের নাম মাছের ঘর নাম ছিলো।বিছানা ছিলো।জলের উপরেও ঘর ছিলো।পুকুর পাড়ে মাচা আছে আমরা বসে থাকতাম।পার্ক পার্ক ফিল হতো।
মাছ হতো বিশাল বড়ো বড়ো। মাছ তুলতো গ্রামের সবাই এসে মাছ তোলা দেখতো আর সবাই কে বাবা মাছ খেতে দিতো।তবুও অনেকেই মন ভরতো না।মাছ দেখে লোভ সামলাতে না পেরে সুযোগ পেলেই মাছের ঘের থেকে মাছ চুরি করে খেতো।
এরপর মাছ চুরি হচ্ছে বুঝতে পেরে বাঁশ দিয়ে ঘের তৈরি করে ঘিরে রেখেছিলো। মাছ চুড়ি হওয়ার কারনে লাভ কম হতে শুরু করলো।চোরকে পাড়া দিতো তেমন চোরও এনাদেরকে পাহাড়া দিতো কখন একটু ঘুমায়।
আজকে এখানেই শেষ করছি আবারও পরবর্তী পর্বে দেখা হবে।সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
[টাটা]
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।