ক্রিয়েটিভ রাইটিং//পরিবারের অবহেলিত বড় ছেলে আকাশের গল্প//পর্ব -২
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
গত পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম দরিদ্র পরিবারের সন্তান আকাশ তাদের পাশের বড়লোক পরিবারের লোকেদের বাসায় রাতের আঁধারে চুপি চুপি ঢুকে পড়েছিলো। আর তখনই আকাশ বড়লোক বাড়িতে তাদের হাতে ধরা পড়ে যায়। সেই সাথে আকাশকে তারা বেশ মার ধরও করে। কিন্তু আকাশ কোনরকম প্রতিবাদ করে না। মুখ বুজে সমস্ত আঘাত সহ্য করছিলো। মারামারি করার পরে আকাশকে বাসার ভিতরে এক বড় গাছে বেঁধে রাখে। পরের দিন সকালবেলা সালিশ বসাবে সেজন্য।
এদিকে আকাশের মা-বাবা রাতে আকাশ বাসায় না ফেরার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে। তারা আকাশকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকে। কিন্তু আকাশকে কোথাও তারা খুজে পায় না। এক পর্যায়ে সেই বড়লোক বাড়িতে হট্টগোল এর আওয়াজ শুনে সেখানে যায় আকাশের মা-বাবা। গিয়ে দেখে আকাশকে গাছে বেঁধে রেখেছে। তখন আকাশের মা-বাবা হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে। সেই সাথে আকাশের মা-বাবা বড়লোক বাড়ির লোকেদের অনুরোধ করে আকাশকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা কোনভাবেই আকাশকে ছাড়ে না। বরং আকাশের মা-বাবাকে অপমান করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।
আকাশের মা-বাবা ভীষণ কান্নায় ফেটে পড়েন। সারারাত কোনভাবেই ঘুমাতে পারেন না। সন্তানের এরকম পরিস্থিতিতে মা-বাবার ঘুম আসবে না এটাই স্বাভাবিক। তাই পরের দিন সকালে আকাশের মা-বাবা পুনরায় সেই বড়লোক বাড়িতে যায়। তখন দেখে আকাশের ঘুম না ভাঙ্গার কারণে তারা আকাশের চোখে মুখে পানি ঢেলে দেয়। হড় গড়িয়ে আকাশ চোখ খুলে। তখনো আকাশ গাছের মধ্যেই বাধা ছিলো। তারপরে সেই বড়লোক বাড়ির উঠোনে বসে এক বিশাল সালিশি বৈঠক।
বড়লোক বাড়ির লোকেরা সালিশি বৈঠকে বিচারকদের বলে যে এই ছেলে গতকালকে রাতে আমাদের বাসায় ঢুকেছিলো চুরি করতে। আরো নানান রকম কথা বাড়িয়ে বলে আকাশের বিরুদ্ধে নানা রকম দোষ চাপায়। সেই সাথে আকাশকে কঠিন শাস্তি দেওয়ার কথা বলে। তারা বলে আকাশকে মাটিতে কফ ফেলে সেই কফ পুনরায় জিভ দিয়ে তুলে খেতে হবে। এদিকে রাতে কোন খাবার না খাওয়াতে আকাশ একেবারে নিস্তেজ গেছে। মুখ দিয়ে কথাই বলতে পারছিলো না। যখন বিচারক আকাশকে জিজ্ঞাসা করলো তুমি কেনো গিয়েছিলে বাবা তাদের বাসায় রাতে? তখন আকাশ কষ্ট করে বলে যে আঙ্কেল আমার খুব ক্ষুধা লেগেছিলো তাই তাদের বাসায় একটু খাবার খাওয়ার জন্য ঢুকেছিলাম। সবাই যেনো একেবারে হতভম্ব হয়ে যায় আকাশের কথা শুনে। তারপরে................।
আমার লিখে যাওয়া প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো কমেন্ট বক্সে দেখতে পাবো ।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
https://x.com/mdetshahidislam/status/1895313836108062871?t=ujnbv6yIC0fKvxX4hyNTUA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Deily task:-
পরিবারের বড়ো ছেলে গুলো বিভিন্ন জিনিস থেকে বঞ্চিত হয়। তবে, পরিবারের ছোট ছেলে কখনও এমন ধরনের বঞ্চিত হননা। আসলে সময়ের পরিবর্তনের কারণে সব কিছু একদম পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সমাজ ও সংস্কৃতি পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আগেরকার দিনে এমনটা ছিল না।বাবা মায়ের কাছে সকল ছেলে মেয়েরা সমান।