ম্যাচ জীবনের বাজার।।
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। চলুন শুরু করা যাক ।
দিন যতটা গড়াচ্ছে জীবন ততটা ব্যস্তময় হয়ে উঠছে। আমি জানিনা আমার জীবনের সাথেই কেবলমাত্র এরকমটা হচ্ছে কিনা। সারাটা দিন এতটাই ব্যস্ততার মাঝে কাটতেছে যেটা বলে প্রকাশ করতে পারবো না। সকালে ভার্সিটি, দুপুর পর্যন্ত অন্যান্য কাজ, তারপরে বাসার কাজ ,নিজের স্টাডি ,কমিউনিটির কাজ এবং কোরিয়ান ভাষা নিয়ে স্টাডি সব মিলিয়ে জীবনটা এক কঠিন ব্যস্তময় হয়ে উঠেছে। তারপরেও যথাসাধ্য ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি কমিউনিটিতে নিজের এংগেজমেন্ট কে বজায় রাখার জন্য। আজকে পোস্ট করার মত তেমন একটা সময় পাইনি এই সময়টাতে লিখতে বসলাম একটি পোস্ট।
মেসের জীবন শেষ করেছি প্রায় বছরখানেক হয়ে গেল। তবে মেসেজ কাঠানো সময় ,যে বিষয়টি বিরক্ত করেছিল আমার কাছে তা হলো মেসেজ বাজার করা। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে আমি একজন শান্ত প্রকৃতির মানুষ। তাই এ সকল কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ এবং ঝামেলা আমার একদম পছন্দ নয়। তারপরেও বাধ্য হয়ে মেসে যেহেতু থাকি সেহেতু বাধ্য হয়েই ম্যাচের বাজার করতে হয়। আমাদের মেসে ছিল মোট ৩০ বা ৩২ জনের মত। আমাদের ম্যাচে প্রত্যেকদিন বাজার করা হতো তথা টাটকা টাটকা সবজি খেতাম আমরা। তো আমাদের মেসে একটা নিয়ম ছিল সেটি হচ্ছে বাজার করা। কিন্তু এই বাজার শুধুমাত্র একজনের করতে যেত না। বাজার করার জন্য ম্যাচ ম্যানেজার দুজনকে নির্ধারণ করে দিতেন। কারণটা হচ্ছে একজন বাজার করতে গেলে বাজার করা অনেক কষ্টকর হয়ে যেত কারণ বাজারে ব্যাগ থাকতো দুইটা। ঠিক এ কারণেই ম্যাচ ম্যানেজার দুইজনকে বাজার করার জন্য পাঠাতো। অবশেষে একদিন বাজার করার দায়িত্ব পড়লো আমার ওপর।
কি আর করার চলে গেলাম ব্যাগ নিয়ে বাজারে বাজার করার জন্য, আমার সাথে আমার আরো এক বন্ধু ছিল। অবশেষে দুজনে গুটিগুটি পায়ে বাজারের দিকে এগিয়ে গেলাম। তবে হ্যাঁ বাজার করতে আমি কিন্তু বেশ এক্সপার্ট ছিলাম। এটা আমার অহংকার নয় বরং আমার একটি গুন বলা চলে। তো সেই সময়টাতেও কাঁচাবাজারের প্রচুর পরিমাণ এর দাম ছিল। মানুষ একদম অস্বস্তি কর পরিবেশের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল কাঁচাবাজার কে নিয়ে। প্রত্যেকটা জিনিসের এতটাই মূল্যবৃদ্ধি ছিল যেটা কল্পনার বাইরে। আর সেই সময়টাতে একটি বড় আকারের বন্যা হয়েছিল। যার কারণে শাকসবজি গুলো পানিতে ডুবে গিয়েছিল। আর ঠিক এ কারণেই কাঁচাবাজারের প্রচুর পরিমাণে দাম বেড়ে গিয়েছিল।
সেসময়ের বাজারের সবজির দামটা যদি বলি আমি তা হচ্ছে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ৫০ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত। যা বর্তমান বাজারের অনুরূপ। পেঁয়াজ ছিল ৩০০ টাকা কেজি। ফুলকপি এবং বাঁধাকপির কেজি ছিল ৬০ টাকা করে। অন্যান্য সব সবজির দাম তো আকাশচুম্বী ছিল। তো যাই হোক সেই দিন আমরা মেসের মোট বাজার করেছিলাম মোট ৮শত টাকার। আর যাই হোক ম্যাচে জীবনটা অনেকটা উপভোগ্য সময় ছিল। কেননা বন্ধুবান্ধবরা সহ সকলে একসাথে আনন্দময় একটা সময় কাটানো যেত। এগুলো এখন স্মৃতির পাতায় লিপিবদ্ধ। আজকের মত এ পর্যন্তই।
টাটা.......
আশা করছি আমার আজকের এই লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের। আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X promotion