লাইফ স্টাইল।। ম্যাচের মুড়ি পার্টি।।
হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
ছাত্র অবস্থায় ম্যাচের জীবনটা ছিল এক স্বপ্নীল সোনালী স্মৃতির মতই। যা কমবেশি প্রত্যেক স্টুডেন্ট এর জীবনী রয়েছে। ম্যাচ জীবনে এতটাই আনন্দ উপভোগ করা হতো যে স্টুডেন্ট জীবনের অন্যান্য পর্ব গুলোতে সেটা কখনোই আর সম্ভব হয় না। এমনকি কর্মজীবনে গেলেও এটা কখনো সম্ভব হয় না। সেই ম্যাচের জীবনের স্মৃতি গাঁথা কিছু কথা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
ম্যাচে থাকাকালীন সময়ে প্রায়শই যে জিনিসটা ঘটতো সেটি হচ্ছে বিভিন্ন পার্টির আয়োজন যা ছিল এক্কেবারে ঘরোয়া ভাবে। ঘরোয়া ভাবে হলেও এটার আনন্দ ছিল এক আকাশ সম। তার কারণ বন্ধু-বান্ধবরা যেখানে রয়েছে সেখানে তো আনন্দের কমতি নেই। দুঃখিত যদিও বা বান্ধবী ছিল না হি হি হি। তবে আমরা ছেলেরা ভীষণ মজা করতাম পার্টি উপলক্ষে। তবে এই পার্টিগুলো কোন উচ্চ স্তরের পার্টি নয় এই যে ধরেন কখনো হয়তোবা খিচুড়ি পার্টি কখনো হয়তো বা, ক্ষীর ভাত পার্টি এবং মুড়ি পার্টি। তবে সব থেকে আনন্দের এবং মজার পার্টি হতো মুড়ি পার্টি কে ঘিরে। যা নিয়ে আমার জীবনে রয়েছে এক সুমধুর স্মৃতি। এই মুড়ি পার্টিকে কেন্দ্র করে সব বন্ধুরা আমরা সবাই এক খানে হতাম এবং নাচ-গান, গল্প সহ নানা রকম কৌতুক করে সময় কাটাতাম। আর এই সবকিছুর শেষ পর্যায়ে থাকতো চমৎকার এই মুড়ি পার্টি।
তো মুড়ি পার্টির জন্য প্রথমেই আমরা যেটা করতাম সেটি হচ্ছে প্রত্যেকের কাছ থেকে চাঁদা তুলতাম। কি ভাবছেন চাঁদাবাজি করতাম হা হা হা? না না এই চাঁদাটা হচ্ছে মুড়ি পার্টি দিব এজন্যই সবার কাছ থেকে কিছুটা করে টাকা নিয়ে একত্রিত করে তারপর মুড়ি পার্টি দিতাম। শুধুই কি মুড়ি পার্টি ছিল? সেটা তো কখনোই নয়। মুড়ির সাথে আরো মুখরোচক চমৎকার কিছু আইটেম যুক্ত থাকত। যেমন চানাচুর কাঁচা মরিচ ধনেপাতা শসা সহ আরো বেশ কিছু জিনিস। তো যাই হোক যখন আমাদের সকলের কাছ থেকে টাকা আদায় করা শেষ হয়ে যেত তখন আমরা বাজারের উদ্দেশ্যে কয়েকজন চলে যেতাম। কয়েকজন মিলে মুড়ি সহ অন্যান্য জিনিসগুলো কিনে নিয়ে আসতাম। আর বাকিরা সবাই এক খানে হয়ে চমৎকার গল্পের মধ্যে ডুবে থাকতাম। কেউবা আবার গান করতো কেউবা আবার বিভিন্ন রকমের গল্প ও কৌতুক বলে মাতিয়ে রাখত।
চমৎকার এই মুড়ি পার্টি কে কেন্দ্র করে আরও একটি সুন্দর ঘটনা মনে পড়ে গেল। তখন ছিলাম আমি ম্যাচের জীবনে রংপুর শহরের মধ্যেই। তো এক বন্ধুকে একদিন মুড়িসহ অন্যান্য জিনিসগুলো আনার জন্য বাজারে পাঠানো হলো। আমার সেই বন্ধুটা ছিল একটু হাবলা টাইপের। তারপরেও সে সবগুলো জিনিস নিজের মতো করে কিনে নিয়ে এসেছিল কিন্তু বিপত্তি ঘটল তখন, যখন দেখলাম, ওকে আমরা আনতে বলেছিলাম সরিষার তেল আর ও নিয়ে এসেছিল কেরোসিন তেল হা হা হা। বলেনতো দেখি কেমন ডা লাগে। কপাল ভালো যে সেই দিন সেই কেরোসিন তেল গুলো মুড়ির মধ্যে ঢেলে না দিয়েই আগে চেক করে নিয়েছিলাম আমরা। পরবর্তীতে পুনরায় তাকে পাঠালাম কেরোসিন তেল পরিবর্তন করে সরিষার তেল নিয়ে আসার জন্য।
অবশেষে সে যখন তেল নিয়ে আসলো তখন আমরা মুড়িগুলোকে সবাইটেমের সাথে সুন্দর করে মাখিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। আর খেতে খেতেও সবাই বিভিন্ন রকমের গল্প করতাম। এভাবেই কেটে গিয়েছিল ম্যাচের জীবন, চমৎকার চমৎকার পার্টি গুলো আয়োজন করার মধ্য দিয়ে সবাই একসঙ্গে ম্যাচের জীবন অতিবাহিত করেছিলাম। এটাই ছিল আজকের আমার ম্যাচ জীবনের কাহিনী সম্পর্কে লেখা। আজ এখানেই শেষ করলাম।
টাটা....
আশা করছি আমার আজকের এই লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের। আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
https://x.com/mdetshahid/status/1861705453253836964?t=wCHfPZGNQYcQ-9L_xYYb1A&s=19
ডেইলি ট্রাক প্রুফ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে ম্যাচের মুড়ি পার্টি শেয়ার করেছেন। আসলে আপনার পোস্ট দেখে আবারও সেই ম্যাচে থাকার মুহূর্তের কথা মনে পড়ে গেল। আমরা এক সপ্তাহ জুড়ে পুরো মুড়ি পার্টি করেছিলাম সেই সপ্তাহ আমরা যে কয়জন ম্যাচে ছিলাম সবাই বেশ অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
মুড়ি খেতে আমিও খুব পছন্দ করি ভাইয়া। কিন্তু গ্যাসের প্রবলেমের জন্য আগের মতো আর খাওয়া হয় না। আপনারা তো দেখছি অনেকজন মিলে খুবই আনন্দ করে মুড়ি পার্টি করেছেন এবং খেয়েছেন। সুন্দর এই লাইফ স্টাইলটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ম্যাচে থাকতে প্রায় সময় আমরা এই মুড়ি পার্টি করতাম।অনেক আনন্দ হতো আমাদের বন্ধুদের মাঝে।বুঝায় যাচ্ছে পুরা পোস্ট পড়ে মন্তব্য লিখেছেন।
দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। মাঝেমধ্যে মুড়ি পার্টি করলে বেশ ভালোই লাগে। মেসেজে যখন সবাই একসাথে থাকে তখন সবাই মিলে মুড়ি মাখিয়ে খাওয়ার যে অনুভূতি সেটা বলে বোঝানো যাবে না। আপনার পোস্টটি দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মধ্যে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
জ্বী ভাই ম্যাচের জীবনে সবাই যখন আমরা একসাথে ছিলাম তখন মাঝে মাঝেই এরকম মুড়ি পার্টি করতাম আমরা।দারুন লিখেছেন আপনার মন্তব্যটি।
সত্যিই অসাধারণ ছাত্র জীবনটা। কষ্ট থাকলেও আনন্দের কোন সীমা নেই।আপনার জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন,স্টাডি লাইফে লেখা পড়ার কষ্ট থাকলেও স্টুডেন্ট লাইফ টা অনেক আনন্দের।মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে।