নাটক রিভিউ।। ধনী গরিবের লড়াই।।পর্ব -১৩
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
আমার আজকের ব্লগের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ।নাটকের নাম হচ্ছে ধনী গরিবের লড়াই।আশা করি আমার আজকের নাটক রিভিউ ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে। ।চুলুন শুরু করি তাহলে।
নাটকটির গুরুত্ববহ তথ্যসমূহ:
নাটকের নাম: | ধনী গরিবের লড়াই |
---|---|
পর্ব নং: | ১৩ |
পরিচালক: | ঈগল টিম |
প্রযোজক: | কচি আহমেদ |
অভিনয়: | ইফতিখার ইফতি, জান্নাতুল মাওয়া, রাফি, মায়া মিম, সহেলী কাকন, জাহাঙ্গীর ,লিপু মামা, সুমন ,রেজা ,মনি ,বৃষ্টি ,জেরিন ,পারভেজ ,ওয়াহিদ রহমান ,সুমন পাটোয়ারী সহ আরো অনেকে |
নাটকটির দৈর্ঘ্য: | ২৪+মিনিট |
রচনা: | সোলায়মান |
সম্পাদনা: | অনিক ইসলাম |
ভাষা: | বাংলা |
দেশ: | বাংলাদেশ |
নাটকের নায়ক ইফতেখার ইফতি নাটকের মধ্যে
সোহাগ নামে পরিচিত আর নায়িকা জান্নাতুল মাওয়া রিমা নামে পরিচিত।
ধনী গরিবের লড়াই নাটকের এই ১৩ তম পর্বে আপনারা দেখতে পারবেন শুরুতেই মোড়ল মশাই এবং মোড়ল মশাইয়ের ছেলে রতন সোহাগের দুই বন্ধুকে ধরে মারছিলো। আর তখনই সেখানে পুলিশ অফিসার চলে আসেন। সোহাগের ওই দুই বন্ধুকে ছেড়ে দিতে বলেন। আর বলেন কোনো অভিযোগ থাকলে থানায় এসে মামলা করতে পুলিশরা তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিবে। সেই সাথে রতনকে সোহাগের বাবাকে মারার অভিযোগে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আর সোহাগ মোড়ল মশাই কে বলে আদালতে আসেন কথা হবে। তখন মোড়ল মশাই রাগে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে মাস্টার মশাই এই খবর রতনের মা এবং ভাবিকে যখন দেয় তখন তারা হতবাক হয়ে যায়। আর তখনই মাস্টার মশাই বলে যাবর জীবন কারাদন্ড হতে পারে। তবে ভালই হয়েছে কারণ রতন নির্দোষ রিক্সাওয়ালাকে মারতে গিয়েছিলো। তখন মাস্টার মশাই এর উপর সবাই রেগে ওঠে।
এরপরে সুরুজের মা যখন সুরুজ দের বাসায় যায় তখন সুরুজের বাবা সুরুজের মাকে বাসায় উঠতে নিষেধ করে। এই নিয়ে নানা রকম তর্ক শুরু হয়ে যায়। তখনই সুলতানা এসে সবাইকে খবর দেয় তাদের রতন ভাইকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশে। আবার এই দিকে মোড়ল মশাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে প্রেসারের সমস্যা হয়ে। আবার সোহাগের বাসায় সোহাগের মা এবং বোন সোহাগের বাবাকে মোড়ল মশাইদের সাথে এরকম শত্রুতা করতে নিষেধ করে এবং সবকিছু মিটমাট করে নিতে বলে। তাই সোহাগের বাবা সোহাগ এবং রিমার বাসায় আসার জন্য অপেক্ষা করে। তখন রাস্তায় রিমা এবং সোহাগকে শুরু এবং তার মেজ ভাই মিলে পথ আটকে দেয়। আর এক পর্যায়ে সরুজের মেজ ভাই রিমার গায়ে হাত তুলতে যায় তখনই সোহাগ আটকিয়ে দেয়। আর বলে তোদের সাথে রাস্তায় কোনো কথা নেই কথা হবে আদালতে। এটা বলে তারা সেখান থেকে চলে যায়।
এদিকে রিমার মা এবং ভাবি মোড়ল বাড়িতে চলে আসে রিমাকে এটা বলতে যে রিমা যেনো রতনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি তুলে নেয়। কিন্তু রিমা মামলা তুলতে অস্বীকার জানায়। তাই রিমার মা এবং ভাবি সোহাগের পরিবারকে বিভিন্নভাবে অপমান করে সেখান থেকে চলে যায়। এদিকে সুরুজ রাতের বেলা মোড়ল বাড়িতে ফিরে আসে তখন মোড়ল মশাই সুরুজকে জিজ্ঞাসা করে কি হলো রতনের মামলার? তখন সুরুজ বলে রিমা মামলা তুলে নিবে না রতনের জেল ও হতে পারে। তখন মোড়ল মশাই আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তখন রিক্সাওয়ালাকে বিভিন্নভাবে শাস্তি দেওয়ার জন্য মোড়ল মশাই পরিকল্পনা করে। আর কিভাবে রতনকে জেল থেকে বের করা যায় সেই পরিকল্পনা করে। তখন সুরুজকে তার বাবা সহ উকিলের কাছে যেতে বলে।
রতনকে বাঁচানোর জন্য সুরুজ এবং সুরুজের বাবা করিম উকিলের কাছে যায়। উকিলকে নানা রকম কথা বানিয়ে বলে মামলা সাজায়। আর বলে যেকোনো ভাবেই হোক রতনের যাবিন কিংবা মুক্তি চাই। এদিকে আবার সোহাগ এবং রিমা দুজনেই উকিলের কাছে যায় যাতে তারা সঠিক বিচার পায়। তখন উকিল সাহেবা রিমা এবং সোহাগের থেকে সবকিছু শুনে নিয়ে মামলা দায়ের করে। আর তাদেরকে বলে মামলার ডেট জানিয়ে দিবে। সোহাগ এবং রিমা উকিল সাহেবাকে বলেন তারা যেনো সঠিক বিচার পায়। রাস্তায় পুরুষের এবং সুরুজের বাবার সাথে সোহাগ এবং রিমার দেখা হয়ে গেলে সুরুজেরা রিমা কে মামলাটি তুলে নিতে বলে কিন্তু রিমা তাতে অস্বীকৃতি জানায়। সোহাগ এবং রিমা তারপরে সেখান থেকে চলে যায় আর তখনই নাটকের এই পর্বটি শেষ হয়ে যায়।
চলবে...........
নাটকের এই পর্বকে নিয়ে আমার মন্তব্য:-
এখন এই নাটকের এই পর্ব থেকে আরো দারুন একটা ধামাকা শুরু হয়েছে।কেনোনা মোড়লদের অহংকার এখন পতনের দিকে।তার কারণ হলো মোড়লের ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল সোহাগের বাবাকে মারার চেষ্টা করার কারণে।আর রতনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রতনের বোন রিমা নিজেই।এমন কি রিমা নিজেই সোহাগ কে নিয়ে উকিলের কাছে গেছে ন্যায্য বিচার চাইতে।যখন উকিল রিমাকে বলে আপনার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আপনি সাক্ষী দিতে পারবেন তখন তিমা বলে পারবো অবশ্যই।তারপর উকিল সোহাগদের কেস লিখে নেয় আর কোটে কেস লড়তে রাজি হয়।যাইহোক বন্ধুরা দেখা যাক পরের পর্বে কি ধামাকা ঘটতে চলেছে।
আমার লিখে যাওয়া প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:-
https://x.com/mdetshahidislam/status/1892989230617424189?t=pPMb255MFNa4hz_rAPZQ_g&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই নাটকটি দারুণ একটি নাটক। ধনী গরিবের লড়াই নাটকটি অনেকবার দেখেছি দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। অনেকের কাছ থেকে রিভিউ দেখেছি ভীষণ ভালো লাগে। আজকে আবার আপনার মাধ্যমে দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এরকম সুন্দর সুন্দর নাটক গুলোর রিভিউ যত পড়ি ততই খুব ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা এই নাটকটির ১৩ তম পর্বের রিভিউ পোস্ট পড়তে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। নাটক রিভিউর মাধ্যমে সহজে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী জেনে নেওয়া যায়, এই বিষয়টা আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এই পর্বটা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে সবার মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
ধনী গরিবের লড়াই নাটকের ১৩ তম পর্বের রিভিউটা খুব সুন্দর ছিল। দেখতে দেখতে নাটকের তেরোটা পর্ব শেষ হয়ে গেল। আপনি অনেক সুন্দর করে নাটকটার সবগুলো পর্বের রিভিউ শেয়ার করছেন। আশা করি এভাবে বাকি পর্বগুলোর রিভিউ শেয়ার করবেন। অপেক্ষায় থাকলাম এখন এই নাটকটার পরবর্তী পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য।