লাইফ স্টাইল|| আনন্দঘন একটি বিকেলের অনুভূতি||~~

in আমার বাংলা ব্লগ14 days ago

আসসালামু আলাইকুম/আদাব



সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।

আজ বিকেলে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি


1000023312.jpg

1000023318.jpg


🥀 লাইভ স্টাইল 🥀



আজকের দিনটি ছিল একদম অপূর্ব, যা আমার মনে থাকবে চিরকাল। মা, মামী এবং আমার দুই ছেলের সঙ্গে বিকেলের সেই সময় কাটানো যেন এক সোনালি অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছিল। ঢাকা শহরের সীমানা ছাড়িয়ে, আমরা চলে গিয়েছিলাম প্রকৃতির কাছে, যেখানে বিশাল শহরের কোলাহল আর যানজট থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়। ছোট্ট একটি ৩০০ ফিটের এলাকা ঘুরে আসার সময়, চারপাশে মেলা মেলার আনন্দ, রঙিন আলো, এবং হাসিমুখের মানুষের সঙ্গে যেন এক অন্যরকম জগতে প্রবেশ করলাম। মনে হচ্ছিল, এই মুহূর্তগুলো একে একে জীবনের সবচেয়ে মধুর অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু সবচেয়ে আনন্দের বিষয় ছিল মেলায় কেনাকাটা আর খাওয়া-দাওয়ার আনন্দ। নানা ধরনের ছোট ছোট স্টল, রঙিন জিনিসপত্র, আর টাটকা খাবারের গন্ধে মনটা আরও উত্কণ্ঠিত হয়ে উঠেছিল। মেলা ঘুরে বেড়ানোর মাঝে আমরা কিছু সুন্দর স্মারকও কিনলাম, যা মনে রাখবে ওই মেলার আনন্দ। তবে সবচেয়ে বিশেষ ছিল গরম গরম মিষ্টি। তাজা তাজা মিষ্টি পেয়ে, ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে সেগুলি খেতে যে কেমন একটা মধুর আনন্দ ছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। গরম গরম জিলাপি, লাড্ডু আর সন্দেশের স্বাদ যেন মুখে এক আলাদা রকম সুখ এনে দিলো। সেগুলি খেতে খেতে মনে হচ্ছিল, যেন জীবন থেকে এক টুকরো সেরা আনন্দ পেয়েছি।

1000023307.jpg

এছাড়া, ছেলেদের আনন্দে খুশি হওয়া, মায়ের সঙ্গে কিছু সময় কাটানো এবং মামী’র সঙ্গে জম্পেশ আড্ডা দেওয়া, সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছিল যেন সবকিছু এক পরিপূর্ণ ছবি হয়ে উঠেছে। প্রকৃতির মাঝে, সেই মিষ্টি মেলা, আর পরিবারের সান্নিধ্যে সবকিছু এক অসম্ভব সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছিল। জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই তো আসলে সবচেয়ে বড় আনন্দ দেয়—এদিনের সেই অনুভূতি যেন এক অলৌকিক সুখের রূপে হয়ে ওঠেছিল।

এই দিনটির প্রতিটি মুহূর্ত মনে থাকবে, বিশেষত পরিবারের সঙ্গে কাটানো সেই মধুর সময়, গরম গরম মিষ্টি খাওয়ার আনন্দ আর চারপাশের স্নিগ্ধ পরিবেশে মেলা ঘুরে দেখার আনন্দ—সবকিছু মিলিয়ে এক অসাধারণ অনুভূতি তৈরি হয়েছিল, যা দীর্ঘদিন মনের মধ্যে এক সুগন্ধি স্মৃতি হয়ে থাকবে।

1000022952.jpg

1000022956.jpg


বন্ধুরা আমার আজকের এই রাইটিং টি , নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। আমি সেলিনা সাথী

💞

🥀 ধন্যবাদ 🥀


photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

photo_2023-07-07_17-27-00.jpg

আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



বিষয়:

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......


Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 13 days ago 

কিছু কিছু স্মৃতি থেকে যায় যেগুলো মনের মাঝে আজীবন জায়গা করে নিয়ে থাকে। যেমন আপনার জীবনে আজকের দিনটি তথা আপনার দুই ছেলে এবং মামি সহ চমৎকার সময় কাটিয়েছেন। সবগুলোই আপন মানুষ সাথে স্নিগ্ধ হওয়ায় গরম গরম মিষ্টি ,সন্দেশ পোস্টটি পড়েই যেন মনে হচ্ছে আপনার জীবনের সেরা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সেখান থেকে এক টুকরো অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মোটকথা আপনার পোস্টটি পড়ে জীবন থেকে পাওয়া সেরা অনুভূতির কিছুটা স্বাদ আমিও অনুভব করলাম ,ধন্যবাদ।

 12 days ago 

এটা ঠিক বলেছেন প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে স্পেশাল কিছু দিন আসে। স্পেশাল কিছু সময় আসে। সেদিন যখন আমার মায়ের সাথে মামির সাথে এবং আমার দুই ছেলেকে সাথে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম,সেই অনুভূতিটা অন্য রকমের।

 13 days ago 

আসলেই কালকের দিনটি অনেক বেশি সুন্দর ছিলো। মাঝে মাঝে এরকম ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। কালকে আমরা বেশ মজা করেছি ও ঘোরাঘুরি করেছি।

 12 days ago 

এত চমৎকার একটি জায়গায় তুমি আমাদেরকে ঘুরতে নিয়ে গেছো জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অনেক অনেক ভালোবাসা। সত্যি দারুন কেটেছিল সময়গুলো।

 13 days ago 

৩০০ ফিট জায়গাটা খুব সুন্দর। বিকেলে এবং সন্ধ্যার পর সেখানে দারুণ সময় কাটানো যায়। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। পরিবার নিয়ে সবারই উচিত মাঝেমধ্যে এভাবে সময় কাটানো। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 12 days ago 

ঠিক বলেছেন এই জায়গাটি দেখতেই সত্যি বেশ মনোরম এবং মেলাতে দারুন দারুন জিনিস পাওয়া যায়। ঠিক যেন গ্রাম্য পরিবেশ। দারুন সময় কাটিয়েছিলাম সেদিন।