তোফাজ্জলকে নিয়ে স্বরচিত কবিতা ||~~
স্বরচিত কবিতা
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি।
কবিতাটির মূলভাব অত্যন্ত গভীর এবং সমাজের নৈতিক সংকটকে স্পষ্ট করে।এতে দেখা যায়, তোফাজ্জলকে চোর সন্দেহে হত্যা করা হয়, কিন্তু আসল অপরাধীরা নিরাপদে থাকে। এটি আমাদের সামনে প্রশ্ন তুলে ধরে: আসলে কে বেশি বড় অপরাধী—চোর নাকি খুনি? এখানে আমি আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়ে সমাজে সত্যিকারের অপরাধীদের প্রতি অসচেতনতা প্রকাশ করেছি ।
তোফাজ্জল এতিম, যার জীবনে বাবা-মা নেই, কিন্তু যারা তাকে হত্যা করল, তাদের জীবন পূর্ণ। কবিতার মাধ্যমে লেখক উত্থাপন করেন, সমাজে ন্যায়বিচার কোথায়? এবং আমরা কি আমাদের মানবিকতা হারাতে বসেছি?
এটি একটি শক্তিশালী প্রতিবাদ Against সামাজিক অবিচার এবং মানবিক অনুভূতির অবমূল্যায়ন। কবিতাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, খুনের দাগ আমাদের সমাজের উপর চিরস্থায়ীভাবে বসে আছে, এবং এই অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
করলে যারা খুন,
বাবা মায়ের স্বপ্ন গুলোয়
লাগিয়ে দিলে চুন।
মেধাবী থেকে এক নিমিষে
হয়ে গেলে খুনি,
বিবেক দিয়ে বিচার কর
কে বেশি গুণী -?
চোর বড় না খুনি বড়
আসছে মাথায় কিছু
আবেগ নাকি বিবেক তোমায়
করে দিল নিচু।
তোফাজ্জল এতিম ছিল
ছিলনা বাবা মা,
তোমাদের তো সবই আছে
আছে ঠিকানা।
তোমরা কেন খুনি হলে
বংশে দিলে দাগ,
এতো বড় অপরাধের
কেউ কি নেবে ভাগ --?
--------------=-------------
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সময় সন্ধ্যা ৭:৩৯
কবিতা কুটির --নীলফামারী।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তোফাজ্জলের বিষয়টা যখন শুনেছিলাম তখন অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল। সত্যি তার কথা ভাবতেই চোখে জল চলে আসে। যারা তাকে হত্যা করেছে তাদের একদিন কঠিন বিচার হবে। জীবিত থাকতে না হলেও মৃত্যুর পর অবশ্যই হবে। তোফাজ্জলকে নিয়ে আপনি আজকে একটা কবিতা লিখেছেন। যেটার মধ্যে অনেক কিছু ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনি সত্য কথাগুলোকে তুলে ধরেছেন কবিতার সবগুলো লাইনের মধ্যে। অনেক সুন্দর ছিল আপু পুরো কবিতা।
আশা রাখছি তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা খুব তাড়াতাড়ি দেখতে পাবো। মন থেকেই চাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
আসলে এই মৃত্যুটা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আজকে যাদের নিয়ে আশা ভরসা তারাই যদি এমন হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয় তাহলে দেশটা কিভাবে চলবে আর দেশের মানুষ কিভাবে ভরসা রাখবে। খুবই খারাপ লেগেছিল ঘটনাটা জানার পর তাই এই বিষয়ে আমিও একটু জেনারেল পোস্ট শেয়ার করব। যাহোক কবিতাটা দারুন লিখেছেন। কবিতাটা লিখে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দেশের এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ গুলো মেনে নেয়া সত্যিই অনেক কষ্টকর। একের পর এক এরকম মৃত্যু যেন চোখের কোনে একটা ঝাপসা আবরণ ফেলে দিয়েছে।
আসলে আমাদের সমাজে ন্যায়বিচার নেই বললেই চলে। যারা অপরাধী তাদের কোনো বিচার হয় না,কিন্তু নিরিহ মানুষজনেরা সবসময় ভুক্তভোগী হয়। তোফাজ্জলের জন্য আসলেই খুব খারাপ লাগে। যাইহোক তোফাজ্জলকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। বেশ ভালো লাগলো কবিতাটি পড়ে। এতো সুন্দর একটি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বিশেষ করে মেধাবী ছাত্রদের কাছে আমরা এটা কখনোই প্রত্যাশা করি না যে তারা খুনি ট্যাগ পাবে এবং বাবা মায়ের স্বপ্নগুলো এভাবে ধুলিস্যাৎ করবে। আপনাদের সুন্দর মন্তব্যই আমাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়।
সাম্প্রতিক তোফাজ্জলকে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনাটা সত্যি অনেক খারাপ লেগেছে। আপনি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কবিতা লিখেছেন। কবিতার প্রত্যেকটা লাইন একদম বাস্তব কথা।
বিশেষ করে এই লাইনগুলো অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে আমার। ধন্যবাদ আপু কবিতাটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বেশ ভালো লাগলো শুনে,, এই লাইনগুলো আপনার কাছে বেশি ভালো লেগেছে বলে।
তোফাজ্জল ভাইয়ের জীবনের কঠিন পরিনতির কথা ভেবে খুবই খারাপ লেগেছে। এরকম মৃত্যু মেনে নেওয়া কষ্ট হয়েছে আপু। আপনি চমৎকার কবিতা লিখেছেন। কবিতার লাইনগুলো অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
তোফাজ্জলের মৃত্যু আমাদের সকলের চোখ থেকে পানি ঝরিয়েছে। এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু আমরা কখনোই প্রত্যাশা করি না।
আজ কলমে প্রতিবাদ ফুটছে,
নিত্য নতুন কত কিছুই ঘটছে,
কলমের ধারে সব কুপোকাত হয়েছে,
এজন্যই মানুষ, মানুষ হয়েছে।
খুবই চমৎকার কবিতা আপু। দারুণ ভাবে আপনি আমাদের অসভ্য আচরণের প্রতিবাদ করেছেন। কলম তো এজন্যই।
আসলে আমার কলম সবসময় প্রতিবাদের পক্ষেই চলে। মেয়ে ও সত্যের জন্য। আপনার মন্তব্য করে বেশ উজ্জীবিত হলাম।