ডাই প্রজেক্ট-- ক্লে দিয়ে খুবই চমৎকার একটি ময়ূর||~~
সকলকে 🥀শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕
বন্ধুরা আজ ডাই ইভেন্টে *** ক্লে দিয়ে ময়ুর *** বানিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে।
বন্ধুরা আজ আমি "এসো নিজে করি" প্রজেক্ট এর আয়োজন নিয়ে আবার ও হাজির হয়েছি। আশা করছি আমার আজকের এই প্রজেক্টটি ও আপনাদের ভালো লাগবে। ।
DIY প্রোজেক্ট-ও অনুভূতি
ক্লে দিয়ে একটি রঙিন ময়ূর তৈরি করার পর, আমি অনুভব করলাম যেন একটি ছোট্ট স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে। নীল, হলুদ, সবুজ ও লাল রঙের মিশ্রণে যে ময়ূরটি ফুটে উঠেছে, সেটি যেন প্রকৃতির এক জীবন্ত প্রতিরূপ। যখন প্রথমে আমি ক্লে হাতে তুলে শুরু করেছিলাম, তখন ঠিক জানতাম না কিভাবে এর মধ্যে প্রাণ ঢেলে দিতে হবে। কিন্তু যতই কাজ এগিয়েছে, ততই প্রতিটি রঙের সুরেলা সমন্বয়ে ময়ূরের পাখনা, তার গর্বিত শোভা এবং দেহের বিশদ বিবরণ যেন জেগে উঠছিল।
এটা ছিল এক ধরনের অভ্যন্তরীণ যাত্রা, যেখানে আমি ক্লে’র মধ্যে নিজের সৃজনশীলতা, প্রতিভা, এবং অধ্যাবসায়কে খুঁজে পেয়েছি। প্রথমে যা একটি সাধারণ ধারণা ছিল, তা এখন চোখের সামনে এক অসাধারণ সৃষ্টিতে পরিণত হয়েছে। রঙের সমন্বয়, আঙ্গিকের সঠিক বিন্যাস—সব কিছুই একত্রে এসে এমন এক সুন্দর ময়ূর তৈরি করেছে, যা যেন প্রকৃতির প্রতিচ্ছবি।
এটা শুধু একটা শিল্পকর্ম নয়, এটি আমার নিজের আত্মবিশ্বাস এবং সৃজনশীলতার এক বিজয়ও। ময়ূরের পাখনার প্রতিটি রঙ যেমন জীবন্ত এবং সজীব, তেমনি আমার কাজের মধ্যে প্রতিটি মুহূর্তও ছিল এক ধরনের আনন্দের অভিব্যক্তি। আমি সত্যিই আনন্দিত যে, আমি ক্লে দিয়ে এমন একটি শৈল্পিক সৃষ্টি করতে পেরেছি, যা দেখতে একেবারে সত্যিকার ময়ূরের মতোই মনে হচ্ছে। এই সৃজনশীলতার জন্য আমি নিজের প্রতি গর্বিত, এবং এই অনুভূতি আমাকে ভবিষ্যতে আরও নতুন কিছু তৈরি করার জন্য অনুপ্রাণিত করছে।
এটি শুধু একটি শিল্পকর্ম নয়, এটি আমার সৃজনশীলতার বিজয়, আমার অধ্যাবসায়ের ফল এবং আমার আত্মবিশ্বাসের এক বড় অর্জন। আজকের দিনটি আমার জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা, যা আমাকে অনুপ্রেরণা দেবে, এবং আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে আরো চমৎকার কিছু সৃষ্টি করতে সক্ষম হব।
☆꧁ DIY প্রোজেক্ট- ** ক্লে দিয়ে ময়ুর **꧂
- ক্লে
প্রথমে সবুজ এবং নীল রঙের ক্লে নিয়ে ময়ুরের সেফ তৈরী করে নিলাম।
এবার হলুদ রঙের ক্লে দিয়ে আর একটি সেফ দিলাম।
সাদা এবং কালো রঙের ক্লে দিয়ে চোখ বানিয়ে লাগিয়ে দিলাম।
এবার হলুদ রঙের ক্লে দিয়ে পাখায় গোল গোল ডিজাইন করে নিলাম।
এবার পাখা গুলো আরো সুন্দর আকর্ষণীয় করে নিলাম। এবং মাথায় ঝুটি বানিয়ে লাগিয়ে দিলাম।
- তৈরি হয়ে গেল খুবই চমৎকার একটি ময়ূর।
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়: ডাই প্রজেক্ট
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ক্লে দিয়ে খুবই চমৎকার একটি ময়ূর তৈরি অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখে মুগ্ধ হলাম। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে সুন্দরময় এই পোস্টটি তৈরি করলেন। এত ভালো লেগেছে যা বলার মত নয়।
বাহ্ প্রথমেই ক্লে দিয়ে ডাই প্রজেক্ট দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম আন্টি। আপনি ক্লের মধ্যে নিজের সৃজনশীলতা প্রতিভা খুঁজে পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। অধ্যাবস্যায় আর আত্মবিশ্বাস থাকলে সবকিছুই করা সম্ভব। ক্লে চমৎকার ময়ূর তৈরি করেছেন দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ক্লে দিয়ে তৈরি করা এই ময়ূরটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। অনেক বেশি কিউট ভাবে আপনি এই ময়ূরটা তৈরি করেছেন। বিভিন্ন কালারের ক্লে ব্যবহার করেছেন দেখে বেশি ভালো লাগলো। পুরোটা দেখে যেন মনে হচ্ছে এটা সত্যিকারের একটা ময়ূর এখানে বসে রয়েছে। আপনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জিনিস তৈরি করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে ক্লে দিয়ে খুবই চমৎকার একটি ময়ূর তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা ময়ূর টি অসাধারণ হয়েছে আপু। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে ময়ূর টি তৈরি সম্পন্ন করেছেন। ময়ূরের সাথে ফুলের দৃশ্য টি দেখে বেশ ভালো লাগছে।
অনেক সুন্দর লাগে যদি এরকম ভাবে সুন্দর সুন্দর ডাই প্রজেক্ট গুলো তৈরি করা হয় তাহলে। আমি এই ধরনের ডাইগুলো তৈরি করতে ভালোবাসি। ডাই তৈরি করে ঘরে সাজালে ঘরের সৌন্দর্য বেশ ভালোই বৃদ্ধি পায়। আমার কাছে তো আপনার আজকের এই ময়ূর তৈরির পোস্ট অসম্ভব ভালো লেগেছে। কেউ চাইলে এই ময়ূর তৈরি করে নিতে পারবে। কারণ আপনি সুন্দর করে উপস্থাপনা টা তুলে ধরেছেন।
এটার কথাই কাল বলছিলে তাই না? সত্যিই অপূর্ব দেখতে হয়েছে। প্রতিটা রঙের নিখুঁত ব্যবহার হয়েছে। সব থেকে ভালো লাগছে ময়ূরের পালকের উপরের অংশটা আর মাথার দিকে ঝুটি গুলো। আর তোমার অনুভূতির কথা তো বরাবরের মতোই পড়ে মুগ্ধ হলাম।