নিত্য দিতাম জল, বীজ থেকে হলো ফল, সবুজ কমলা লাল খেতে দারুণ ঝাল ||~

in আমার বাংলা ব্লগ8 days ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম/আদাব



সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।


নিত্য দিতাম জল
বীজ থেকে হলো ফল
সবুজ কমলা লাল
খেতে দারুণ ঝাল


1000018124.jpg

🥀 লাইফস্টাইল 🥀


1000018129.jpg


আমি, সেলিনা সাথী, আজ আপনাদের সামনে আমার নিজের হাতে লাগানো মরিচ গাছের এক চমৎকার গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি।

সেদিনের কথা এখনও স্পষ্ট মনে আছে, যখন আমি একটি ছোট্ট মরিচ বীজ হাতে পাই। অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন, একটি বীজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে? কিন্তু আমার কাছে এ বীজ ছিল বিশেষ কিছু। সেই বীজটি আমি মাটির মধ্যে পুঁতে দিলাম, আর শুরু হল আমার ভালোবাসা আর যত্নের একটি নতুন অধ্যায়।

প্রতিদিন সকালে উঠেই আমি গাছটির দিকে তাকাতাম। প্রথমে ছোট্ট চারাটি মাটি ফুঁড়ে বের হল। তখনই আমার মনে এক নতুন আশার আলো জ্বলে উঠল। আমি ভাবলাম, হয়তো এই ছোট্ট গাছটি একদিন বড় হয়ে আমাকে ফল দেবে। আর সেই আশায় প্রতিদিন তাকে পানি দিয়ে, রোদে রেখে, সবধরনের যত্ন নিতে থাকলাম।

দিন কেটে যায়, মাস যায়, আর গাছটি একটু একটু করে বেড়ে ওঠে। তারপর একদিন গাছটিতে ছোট ছোট কুঁড়ি দেখা দিল। সেই কুঁড়ি দেখেই আমার মনে অদ্ভুত এক আনন্দ বয়ে গেল। ভাবলাম, অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে—গাছটি শীঘ্রই আমাকে ফল দেবে।

1000018633.jpg

অবশেষে, সেই কাঙ্খিত দিন এসে গেল। গাছের কুঁড়িগুলো প্রথমে সবুজ, তারপর হলুদ, আর শেষে লাল টুকটুকে মরিচে পরিণত হল। প্রতিদিন সকালে উঠে গাছটির দিকে তাকিয়ে আমার হৃদয় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। মরিচগুলো দেখে মনে হয় যেন আমার স্বপ্নগুলো সবুজ পাতার মাঝে লুকিয়ে রয়েছে।

এই গাছটি আমার ভালোবাসা, ধৈর্য, আর সৃষ্টিশীলতার একটি প্রতীক। প্রতিটি মরিচ আমার হৃদয়ের এক টুকরো আনন্দ, এক টুকরো সফলতা। এই মরিচগুলো শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না, তারা আমার জীবনের এক সুন্দর অধ্যায়ের গল্প বলে।

1000018636.jpg

এখন, যখনই রান্নাঘরে এই মরিচ ব্যবহার করি, মনে হয়—এটা তো আমার নিজের হাতে গড়ে তোলা একটি সৃষ্টিকর্মের ফল। প্রতিটি মরিচের ঝাল স্বাদে মিশে থাকে আমার যত্ন আর ভালোবাসার স্মৃতি।

আজ আমি এই গল্পটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি, যাতে আপনারাও আমার মতো এই ছোট্ট গাছটির গল্প থেকে কিছুটা আনন্দ আর অনুপ্রেরণা পান। এ গাছটি আমাকে শিখিয়েছে, ছোট্ট একটি বীজ থেকেও অনেক বড় কিছু হতে পারে, যদি থাকে ভালোবাসা, ধৈর্য, আর পরিশ্রম।

1000018641.jpg

বন্ধুরা আশা করছি আমার আজকের এই গল্পটিও আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আশা রাখছি লাইভ স্টাইলে আবারও নতুন নতুন গল্প নিয়ে হাজির হব। সে পর্যন্তই সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর ঝাল মরিচের গান গাইবেন।


বন্ধুরা আমার আজকের এই রাইটিং টি , নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। আমি সেলিনা সাথী

💞

🥀 ধন্যবাদ 🥀


photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

photo_2023-07-07_17-27-00.jpg

আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



বিষয়: জেনারেল রাইটিং

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......


Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 8 days ago 

এরকম একটা মরিচ গাছ থাকলে তো বেশ ভালো হয়। তাহলে আর বাজার থেকে মরিচ কিনতে হয় না। তিনটা রঙের মরিচগুলো দেখে বেশ ভালো লাগছে। নিজের গাছের যে কোন জিনিস খাওয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম। পোষ্টের লেখাগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 7 days ago 

গাছ থেকে যখন মরিচগুলো ছিঁড়ছিলাম তখন সত্যি অন্যরকম একটা অনুভূতি ছুঁয়ে গিয়েছিল আমার মনে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে গাছের মরিচের বিভিন্ন রং গুলো আমাকে বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
সবচেয়ে বড় কথা মরিচেরও যে সৌন্দর্য হয় তা এই গাছের মরিচগুলো কে দেখে অনুভব করা যায়।

 7 days ago 

অন্য কেউ হলে খুবই সাধারণ একটা টাইটেল লিখে পোস্ট টা করে দিত। কিন্তু আপনি টাইটেল টাই আকর্ষণীয় করেছেন যেটা আমাকে টেনে নিয়ে এসেছে। লাল তো বুঝলাম কিন্তু কমলা কালারের মরিচ হয়ে থাকে সেটা জানতাম না। বলতে গেলে প্রথমবার দেখলাম। বেশ চমৎকার ছিল আপনার পোস্ট টা আপু।

 7 days ago 

আমার নিজের হাতে লাগানো মরিচ গাছের মরিচের রং -লাল, সবুজ, কমলা, সাদা ও বলতে পারেন। ছবিগুলো ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে।

 7 days ago 

আমি মনে করি গাছ কিছুটা সন্তানের মতো অনেক। যত্ন করে তাকে বড় করতে হয়। বেশ ভালো লাগলো আপু বীজ থেকে চারা রোপণ। আর সেই চারা থেকে মরিচ পাওয়ার অনুভূতি পরে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু নিজ হাতে গাছ লাগিয়ে সেই গাছ থেকে ফল পাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

 7 days ago 

হ্যা, অনেক আনন্দিত হয়েছিলাম আপু। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।