আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে💞🤲💞
আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
হে আল্লাহ তুমি আমার সন্তানদেরকে তোমার হেফাজতে রেখো মাবুদ 🤲
সেই ছোটবেলা থেকে আমার সন্তানরা যদি ছোট ছোট আঘাত পেত, তবে আমি ভীষণ হিংস্র হয়ে উঠতাম। গতকাল থেকে একটি অশান্তির ঢেউ আমার মনে দোলা দিচ্ছে। কেউ আমার সন্তানদের ক্ষতি করতে চাইছে না তো----?
সেই ভাবনা থেকে আজ একটি প্রবন্ধ লিখলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। সবাই আমার সন্তানদের জন্য দোয়া রাখবেন। ওরা যেন সুস্থ থাকে ভালো থাকে। কোন অশুভ শক্তি যেন ওদের কোন ক্ষতি করতে না পারে।
প্রবন্ধ: আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে
ভূমিকা বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে প্রবাদবাক্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে” প্রবাদটি অভিভাবকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি শক্তিশালী প্রতীক। এ প্রবাদটি শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাসের প্রতি ইঙ্গিত করে না, বরং একটি সন্তানের সুস্থতা, সচ্ছলতা এবং সামগ্রিক উন্নতির জন্য অভিভাবকদের আন্তরিক প্রার্থনার প্রতিফলন। এই প্রবন্ধে আমরা এই প্রবাদটির মূল ধারণা, এর আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং এর সাথে জড়িত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব।
দুধ ও ভাতের খাদ্যতাত্ত্বিক গুরুত্ব বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিতে দুধ ও ভাতের গুরুত্ব অপরিসীম। দুধ একটি পুষ্টিকর খাদ্য যা শিশুর শারীরিক ও মেধাসত্তার বিকাশে সাহায্য করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন D ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান শিশুর হাড় ও দাঁতের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং সামগ্রিক শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করে।
ভাত বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভাতের উপস্থিতি এক ধরনের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে। ভাতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং দিনের কর্মক্ষমতা বজায় রাখে। এই দুইটি খাদ্য উপাদান একত্রে সন্তানের শারীরিক এবং মানসিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট “দুধে-ভাতে” থাকার আকাঙ্ক্ষা অভিভাবকদের শুধু খাদ্যাভ্যাসের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে না, বরং এটি একটি আর্থিক ও সামাজিক সচ্ছলতার ইঙ্গিতও। একটি সন্তানের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য অভিভাবকদের একটি সচ্ছল আর্থিক অবস্থা প্রয়োজন। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা শিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনীয়তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি সরবরাহ করে।
তবে, শুধুমাত্র আর্থিক সচ্ছলতা নয়, একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশও সন্তানের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুখী এবং সহায়ক পরিবারিক পরিবেশ শিশুর মানসিক এবং আবেগগত বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শিক্ষার গুরুত্ব "দুধে-ভাতে” থাকার প্রবাদটি শিশুর শিক্ষা ও সুশিক্ষার গুরুত্বকেও স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে। একটি সুস্থ শারীরিক অবস্থা সন্তানের শিক্ষার প্রতি মনোযোগ এবং উদ্যম বজায় রাখতে সাহায্য করে। শিক্ষা জীবনের মৌলিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং সন্তানের ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য একটি সুষ্ঠু পটভূমি তৈরি করে।
শিক্ষা শুধু বইয়ের পাঠ্যসূচির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সামাজিক দক্ষতা, নৈতিক মূল্যবোধ এবং মননশীলতার বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকরা সন্তানের প্রতি সঠিক শিক্ষা প্রদান করে তাদের সমাজে একটি মূল্যবান স্থান অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেন।
পরিবারের ভূমিকা একটি সন্তানের সমগ্র বিকাশের জন্য পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকরা সন্তানের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করলে, শিশুরা তাদের জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও সক্ষম হয়। ভালোবাসা, সহানুভূতি, এবং সহায়ক পরিবেশ সন্তানের মেধা ও দক্ষতার বিকাশে সহায়ক।
উপসংহার “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে” প্রবাদটি একটি অভিভাবকের সন্তানের প্রতি গভীর আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এটি প্রমাণ করে যে, সন্তানের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে খাদ্য, শিক্ষা এবং আর্থিক সচ্ছলতার একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি অপরিহার্য। অভিভাবকরা এই প্রবাদটির মাধ্যমে একটি সুখী, সুস্থ এবং সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিত করার জন্য তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছেন। একটি সন্তানের উন্নয়নে সঠিক পুষ্টি, শিক্ষা, এবং নিরাপদ পরিবেশের সমন্বয় নিশ্চিত করতে পারলেই কেবল একটি শক্তিশালী ও সচ্ছল ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করা সম্ভব।
বন্ধুরা আমার আজকের এই জেনারেল রাইটিং টি , নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। আমি সেলিনা সাথী
💞
🥀 ধন্যবাদ 🥀
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: জেনারেল রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু প্রতিটি বাবা মা চাই তাদের সন্তানেরা দুধে ভাতে থাকুক। প্রতিটি অভিভাবকরা, সুস্থ এবং সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় অব্যাহত থাকে।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমিও ছোটবেলা থেকেই সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার সন্তানেরা যেন মানুষের মতো মানুষ হতে পারে।