ফটোগ্রাফি পোস্ট।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন। প্রত্যাশা করি সব সময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ২০শে চৈত্র।বসন্তকাল ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ৩রা এপ্রিল,২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো।
ঈদ পরবর্তি দুদিন বেশ ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করলাম। এত ব্যস্ত যে আমার বাংলা ব্লগে পোস্টও করতে পারিনি। ঈদের বিশেষ হ্যাং আউটেও এটেন্ড করতে পারিনি। আজ থেকে একটু কম ব্যস্ত! তাই আজকের এই পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হলাম। বন্ধুরা,আশাকরি সবাই ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছেন! আমারও বেশ জমজমাট কেটেছে এবারের ঈদ। প্রিয় বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। গ্রাম বাংলার লোকজ কিছু ব্যবহার সামগ্রীর পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব কিছু সামগ্রী র ফটোগাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। বিভিন্ন সময়ে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে আশাকরি। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো সম্ভবত কোন মেলায় তোলা। মোবাইলের গ্যালারিতে জমা ছিল। সেখান থেকে বাছাই করে আজকের পোস্ট।
প্রথম ফটোগ্রাফি
ছোট বেলায় দেখেছি বেতের তৈরি এই পাত্রটি গ্রামে চাল ও ধান মাপা সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতো। যা পরিবেশ বান্ধব। এখন এই জায়গায় দখল করে নিয়েছি প্লাষ্টিকের তৈরি বিভিন্ন পাত্র। যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বর্তমান প্রজন্মকে পরিচয় করে দেয়ার জন্য এখন মেলায় এই ধরনের পাত্রের প্রদর্শন করতে দেখা যায়। আমিও এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলা একটি মেলা থেকে।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
বেশ কিছুদিন পূর্বে শহর ও গ্রামে এই হামান দিস্তা মশলা সহ বিভিন্ন জিনিস গুড়া করার জন্য ব্যবহার করা হতো।বিভিন্ন সাইজের দেখা যেতো এই হামান দিস্তা। আজকাল এই জায়গায় দখল করে নিয়েছি বিভিন্ন ধরনের ব্লেন্ডার । তবে আবারও এই হামান দিস্তা ফিরে এসেছে । বর্তমানে কাঠের ,বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ডিজাইন এর হামান দিস্তা দেখা যায় শোপিস হিসাবে।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
কাজলদানীর ফটোগ্রাফি এটি। আমি ছোট বেলায় দেখেছি আমার মা এই পাত্রে কাজল বানাতো। আমাদের চোখে পরিয়ে দিতো।আগে প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই এই কাজলদানীটি দেখা যেতো। আজকাল এই পাত্রটি যাদুঘর এ স্থান করে নিয়েছে।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
কাঠের তৈরি কাপ সেট। পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষার জন্য আজকাল পরিবেশ প্রেমিরা বেশ সোচ্চার।এই কাপটি সেই চিন্তা থেকেই তৈরি করা। এই কাপটি চা খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা যাবে বলে মেলায় কাপ বিক্রেতা জানিয়েছেন।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
বিভিন্ন ধরনের পাটের দড়ি দিয়ে বানানো এই টি সেটটি । শোপিস হিসাবে ঘর সাজিয়ে রাখার জন্যই এই সেটটি বেশ পার্ফেক্ট। আর দেখতেও বেশ সুন্দর।আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে সেটটি।
ভিন্ন স্বাদের আজকের ফটোগ্রাফি পোস্টটি আশাকরি ভালো লেগেছে আপনাদের। আজ এই পর্যন্তই। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই ভালো থাকুন-আনন্দে থাকুন। শুভ দুপুর।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ৩রা এপ্রিল,২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
https://x.com/selina_akh/status/1907846034870636984
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হারিয়ে যাওয়া কিছু জিনিসের ছবি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। আমরা ছোট বেলায় এগুলোর কিছু কিছু ব্যবহার করেছি কিন্তু বর্তমান জেনারেশান হয়ত এগুলো চিনেই না!
ধন্যবাদ আপনাকে!
আজকে আপনি ভিন্ন রকম চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। তবে এই জিনিসগুলো এখন খুব কমে দেখা যায়। আগে মানুষ এই জিনিসগুলো নিত্যদিনে ব্যবহার করতেন। ধন্যবাদ বিভিন্ন ধরনের চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করার জন্য।
আপনার এই ফটোগ্রাফি পোস্টটি খুবই মুগ্ধকর হয়েছে। অনেক পুরনো দিনের স্মৃতি আপনি এই পোস্টটির মাধ্যমে উন্মুক্ত করেছেন। ধান মাপার বেতের পাত্রটি, হামানদিস্তা, এবং কাজলদানি আমাদের ঘরে এখনো উপস্থিত রয়েছে। তবে এসব জিনিসের সাথে আমার ছোটবেলা থেকেই অনেক বেশি স্মৃতি জড়িয়ে। আর এই জিনিসগুলি এখনো পাওয়া যায়, তবে তেমন ব্যবহার হয় না।
plz complete u r puss promotion.
দুঃখিত আপু ব্যস্ততার জন্য সময়মত ডেইলী টাস্ক করতে পারিনি। অনেকটা সময় পর করেছি।
link
https://x.com/selina_akh/status/1907844720946295013
https://x.com/selina_akh/status/1907844060100035051
https://x.com/selina_akh/status/1907842840815874157
https://x.com/selina_akh/status/1907698927161233796
আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ অন্যরকম ছিল। এগুলো বাংলাদেশ থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রথম ঐ পাএটা। আগে আমাদের গ্রামের দিকে বেশ প্রচলন ছিল। এখন দেখা যায় না বললেই চলে। সবমিলিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো বেশ করেছেন আপনি।।