লাইফস্টাইল পোস্টঃ নাতির স্কুলে ঘুরতে যাওয়া।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। প্রত্যাশা করি সবাই সবসময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ৪ঠা চৈত্র, বসন্তকাল,১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি লাইফস্টাইল পোস্ট আপনাদের সাথে করবো।
বেশ কিছুদিন আগে মানে রোজার আগে আমি গিয়েছিলাম আমার নাতি স্কুলে। মানে আমার বড় বোনের মেয়ের ছেলের স্কুলে। আমার নাতি গল্প এর আগেও আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আপনার যারা আমার পোস্ট নিয়মিত পড়েন তা জেনে থাকবেন। নাতীর নাম রুহাব ইজিয়ান।বিএফ শাহিন স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমের গোল্ডেন ঈগল এর নার্সারীতে পড়ে । স্কুলটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত।বিমান বাহিনীর সন্তান ও পোষ্যদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এখানে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পায়। তবে সংখ্যায় কম। গত বছর প্লেতে ভর্তি হয়েছিল সাড়ে তিন বছর বয়সে। এখন প্লেতে এই বয়েসের বাচ্চাদেরই নেয়া হয়।প্রথম কয়কদিন বেশ ঝামেলা করেছি স্কুলে। পরে টিচারদের সহযোগিতার বেশ মানিয়ে নিয়েছে। বছর শেষে পরীক্ষায় পাশ করে নার্সারীতে উঠেছে।
বেশ কিছু দিন আগে হঠাৎ করেই একটা কাজে ভাগ্নির বাসায় যেতে হয়। আমার বাসা থেকে কাছেই। যাওয়ার পর দেখলাম নাতি স্কুলের জন্য রেডি হচ্ছে। নাতির ইচ্ছায় আমাকেও যেতে হলো তার সাথে স্কুলে। এর আগে যাওয়া হয়নি। বাহির থেকেই দেখেছি স্কুল টি। বেশ বড় এলাকা নিয়ে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত। একই এরিয়ায় বেশ কয়েকটি স্কুল।স্কুলগুলো হলোBAF Shaheen College Dhaka,BAF Shaheen English Medium Colleg, BAFWWA Golden Eagle Nursery ,BAF Ladies Club Golden Eagle Kids Learning Day Car্BAF Shaheen School Dhaka। আর প্রতিটি স্কুলের সাথে রয়েছে বিশাল মাঠ। যা আজকাল খুব কম স্কুলেই দেখা যায়। কিন্তু ছাত্র ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মাঠ বেশ গুরুত্ব পূর্ণ। সেই সাথে গার্ডিয়ানদের জন্য রয়েছে কমন রুম। সাথে খাবারের দোকান। যেখানে গার্ডিয়ানরা গল্প করতে করতে খাবার খেতে পারে টাকার বিনিময়ে। যা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তবে এতো বড় স্কুলের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
স্কুলে যেহেতু গার্ডিয়ানদের সুযোগ নেই প্রবেশের কোন প্রয়োজন ছাড়া। কিন্তু আমার ভাগ্নি ছেলের টিচারের সাথে দেখা করতে যাওয়ার পার্মিশন পাওয়ায় তার সাথে আমি ঢোকার সুযোগ পেলাম।ভাগ্নি যখন টিচারের সাথে কথা বলছিল সে সুযোগে আমি স্কুল এলাকাটি ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম।বেশ সুন্দর গোছানো স্কুলটি। আর শীতকালীন ফুল ফুটেছিল এলাকা জুড়ে। যা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিলো। আর বেশ পরিস্কার স্কুল এলাকাটি। যে সকল এলাকায় পার্মিশন আছে সে সকল জায়গায় ঘুরে দেখছিলাম। সেই সাথে কিছু ফটোগ্রাফি করছিলাম। যখন আমি ফটোগ্রাফি করছিলাম তা দেখে গার্ড দৌড়ে এসে জানালো ফটো তোলার পার্মিশন নেই। তার পর আর ফটোগ্রাফি করা হলো না। যেহেতু ফটোগ্রাফিগুলো করেছিলাম অনেকটা দূর থেকে তাই ভালোভাবে সকল কিছু তোলা সম্ভব হয়নি। টিচারে সাথে কথা শেষ আমরা স্কুল থেকে বের হয়ে স্কুল ছুটির জন্য অপেক্ষা করলাম কিছুক্ষন। ২ টা বাজতেই স্কুল ছুটি হলে নাতিকে নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম। নাতি আমার বেশ খুশি ছিল্ সেদিন কারনা নানী তার স্কুলে গিয়েছে। আর আমারও বেশ ভালো লেগেছে স্কুল এরিয়া ঘুরে। বেশ গোছানো ও বড়। যা একটি স্কুলের মাপকাঠি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | লাইফস্টাইল |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ১৮ই মার্চ, ২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/selina_akh/status/1902034788959273001
Daily task
বাচ্চারা যখন নতুন স্কুলে যায় প্রত্যেকেই বোধহয় বেশ ভালো রকম ঝামেলা করে। পরে আবার ওরাই শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী হয়ে ওঠে। যেকোনো আর্মি স্কুল খুবই ভালো হয় এবং তাদের কাঠামো অত্যন্ত উন্নত হয়। ভারতবর্ষের মতো বাংলাদেশের সেই একই জিনিস। গার্ডিয়ানদের রুম খাবারের ক্যান্টিন। এখানে বাচ্চাদের নিয়মানুবর্তিতা খুব ভালো করে শেখানো হয়। আপনার নাতির জন্য এত্তো আদর দিলাম।
ঠিক বলেছেন আপু সামরিক বাহিনীর স্কুল সব সময় বেশ বড় এলাকা নিয়ে হয়। সেই সাথে থাকা কঠিন নিয়মানুবর্তিতা। ধন্যবাদ আপু।
আপনার নাতির স্কুলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। যে স্কুলটি আপনি বর্ণনা করেছেন, সেটি সত্যিই একটি সুন্দর এবং গোছানো জায়গা মনে হচ্ছে। মাঠের উপস্থিতি এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশটি একটি স্কুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাতির সাথে স্কুলে যাওয়ার সময়ের এই স্মৃতিগুলো অনেক মূল্যবান। ছোট্ট রুহাবের খুশি দেখে সত্যিই ভালো লাগলো, এবং আপনি যে সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ধন্যবাদ।
জ়ি আপু বেশ পরিস্কার আর গোছানো স্কুল এটি। মঠের আয়তন দেখলেই ভর্তি হতে ইচ্ছে করবে। ধন্যবাদ আপু।