লাইফস্টাইল পোস্টঃ শীতের পিঠা।

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সবসময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ১১ই ফাল্গুন বসন্তকাল,১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।

l3.jpg

আজ আবারও নিয়ে এলাম নতুন আর একটি ব্লগ। পোস্টের ভিন্নতা আনতে আমি চেস্টা করি প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট শেয়ার করতে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ একটি লাইফস্টাইল পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।গত মাসে আমার বান্ধবী হংকং থেকে বাংলাদেশে এসেছিল। এবং আমার জন্য আনা গিফট এর ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।আজ সেই বন্ধবীর সাথে দেখা করতে তার জন্য কি নিয়ে গেলাম তারই গল্প আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

l1.jpg

আমি যখন গত মাসে বাড়িতে যাই তখন আমার বান্ধবী বাংলাদেশে আসে। যেহেতু সে এবার মাত্র ২০ দিনের জন্য এসেছিল তাই ভেবেছিলাম এবার আর দেখা হবে না। যদিও সে প্রতিবার ১ থেকে ২ মাস থাকে বাংলাদেশে। কিন্তু এবার রোজার আগে আসায় আর বেশি দিন না থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। আর সে যেহেতু মেয়েদের রেখে এসেছে তাই আর বেশি দিন না থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।

l2.jpg

আমি সে আসার তিন দিন আগেই ঢাকায় চলে আসি তাই অর সাথে দেখা হয়। তা না হলে এবার দেখা হওয়ার কোন সম্ভাবনা ছিল না। আমি প্রতিবার তাকে আমার বাসায় ডাকি। কিন্তু এবার আর সম্ভব হলো না। কারন তার কাছে সময় না থাকায় এবার সে আর বাসায় আসতে চাইলো না। কারন হঠাৎ তার বড় ভাই এর মেয়ে আকদ এর ডেট ঠিক হয়ে গেলো। তাই সে আর সময় দিতে পারলো না। তাই আমিই তার সাথে দেখা করতে গেলাম মাত্র দু'ঘন্টার জন্য।

l3.jpg

যখন ভাবলাম দেখা করার সময় তার জন্য কি নেয়া যায়,তখনই মনে পড়লো যেহেতু এখন কিছুটা হলেও শীত আছে, তাই পিঠা নেয়া যেতে পারে। সেই চিন্তা থেকেই তার জন্য দু'রকম পিঠা বানিয়ে নিলাম। আর তা হলো শীতের মজার পিঠা ভাপা পিঠা আর গুড়ের তেলের পিঠা। যেহেতু সে বাহিরে থাকে তাই মনে হলো পিঠা নিয়ে যাওয়াই ভালো। পিঠাগুলো পেয়ে বান্ধবী আমার বেশ খুশি হয়েছে। যদিও তার ভাবীরা তাকে ঠিকই শীতের পিঠা খাইয়েছে । যেহেতু তার পছন্দের পিঠা বানিয়ে নিয়ে গেছি তাই সে বেশ খুশি হয়েছে। আমি যাওয়ার দু'দিন পরই তার ফ্লাইট ছিল এবং বিয়ের ব্যস্ততা ছিল বিধায় সব পিঠা তার শেষ হয়নি। বাকী পিঠা সে তার মেয়েদের জন্য হংকং এ নিয়ে গেছেন। আর প্রিয়জন যখন নিজের বানানো পিঠাগুলো পছন্দ করে খায় তখন আরও বেশি খুশি লাগে। সে খুশি আরও বেড়ে গেছে যখন শুনেছি তার মেয়েরাও পছন্দ করে খেয়েছে পিঠাগুলো।

আমি সব সময় চেস্টা করি যখন আত্মীয়দের বাসার বেড়াতে যাওয়ার সময় নিজের হাতে বানানো খাবার নিয়ে যেতে। আর নিজের বানানো খাবার অন্যদের খাওয়াতেও বেশ আনন্দ লাগে । এতক্ষন আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। শুভ রাত্রি।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেনীলাইফস্টাইল
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

image.png

image.png

image.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 7 days ago 

Daily task

dt1.png

dt2.png

 7 days ago 

ঠিকই বলেছেন আপু প্রিয়জনের জন্য কোন কিছু বানিয়ে নিয়ে গেলাম আর সে যদি তৃপ্তি পড়ে খায় তাহলে তার থেকে বড় আনন্দ বোধহয় আর কিছুতে নেই। আপু আপনাদের দেখে এবার একবার ভাপা পেটা করবার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু হয়নি। কি সুন্দর করে করেন আপনারা।

 3 days ago 

আপু আপনাদের ওখানে কি ভাপা পিঠা বানায় না? বেশ সহজ বানানো কিন্তু। আবার চেস্টা করেন হয়ে যাবে।

 7 days ago 

আসলে পিঠা দেখে আমারও কিন্তু লোভ হচ্ছে। যেহেতু অল্প সময়ে তাই এই অল্প সময়ের মধ্যে আপনি কিন্তু দারুন দারুন দুটো পিঠা তৈরি করে দেখালেন। আসলে প্রিয় মানুষকে হাতের তৈরি কোন জিনিস খাওয়াতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এছাড়াও যারা বাইরে থাকে তারা কিন্তু সবসময় দেশের খাবারের প্রতি আলাদা ধরনের একটা লোভ থাকে।

 3 days ago 

এবার শীতে এসেছে দেশে তাই পিঠা খাওয়ালাম। মজা করে খেয়েছে শুনে ভালো লাগলো।

 6 days ago 

আপনার বানানো পিঠা দেখে আমারই তো খেতে ইচ্ছে করছে।বান্ধবীর জন্য নিজ হাতে পিঠা বানিয়ে নিয়ে গেলেন।বান্ধবী যেমন খুশি হয়েছে তেমনি বান্ধবীর বাচ্চারাও খুব খুশি হয়েছে।আপু আপনার মতো আমিও কোথাও গেলে নিজের হাতে বানানো কোন খাবার নিয়ে যেতে পছন্দ করি।আপনার অনুভূতি গুলো খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

 3 days ago 

আমারও ভালো লাগে প্রিয়জনের জন্য নিজের হাতে বানানো খাবার খাওয়াতে। ধন্যবাদ আপু।

 6 days ago 

আপু আপনার তৈরি করা পিঠাগুলো দেখে মনে হচ্ছে একদম পারফেক্ট পিঠা তৈরি করছেন। দেখে লোভ লাগছে। বান্ধবীর জন্য এতো সুন্দর করে পিঠা বানিয়ে দিয়েছেন এবং সবাই খেয়েছে মজা পেয়েছে শুনে খুবই ভালো লাগছে। এরকম ভাবে সবার সাথে সবকিছু শেয়ার করলে সম্পর্কের মধুরতা আরও বেশি বৃদ্ধি পায়।

 3 days ago 

এখন ব্যস্ততার জন্য সবাই কোথাও গেলে কেনা জিনিস নিয়ে যায়। কিন্তু হাতে বানানো খাবার নিয়ে যাওয়ার আনন্দই অন্য রকম।

 6 days ago 

গত মাসে আমার বান্ধবী হংকং থেকে বাংলাদেশে এসেছিল।

আপনার বান্ধবী তাহলে হংকং থাকে। আমি হংকং ঘুরতে গিয়েছিলাম কয়েক বছর আগে। যাইহোক বান্ধবীর সাথে দেখা করতে ভাপা পিঠা এবং তেলের পিঠা নিয়ে গিয়েছেন,এট খুব ভালো হয়েছে। আপনি তো দেখছি ভালোই পিঠা বানাতে পারেন। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 days ago 

্মোটামুটি পারি বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানাতে। আর চেস্টা করি নতুন নতুন পিঠা শেখার। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 4 days ago 

এটা আমাদের বাঙালিদের ঐতিহ্য বলা যায় আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে গেলে পিঠা বা মিষ্টিজাতীয় কিছু তৈরি করে নিয়ে যাওয়া। বেশ দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা আপু। সুন্দর লিখেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।।

 3 days ago 

এই ঐতিহ্য এখন তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে।ব্যস্ততার জন্য কেউ নিজের বানানো জিনিস আর নিয়ে যেতে পারে না। কেনা জিনিসই ভরশা।