ডাই প্রজেক্টঃ স্ন্যাক প্ল্যান্ট এর শোপিস তৈরি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন। প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ৫ই ফাল্গুন বসন্তকাল ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি ডাই পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আজ তিনদিন পর আমার প্রিয় ল্যাপটপটি হাতে পেলাম। গত শনিবার থেকে ল্যাপটপটি কাজ করছে না। আসলে কথায় আছে না যখন কপাল খারাপ যায় তখন সব কিছুই খারাপ হয়। ল্যাপটপ খারাপ হওয়ার পরদিন মোবাইলও কাজ করছে না। তাই পুরানো মোবাইল দিয়ে কোন রকমে কাজ চালিয়েছি। মানে পোস্ট করেছি। কিন্তু কমেন্ট ও ডিস্কোর্ড এ তেমনভাবে এক্টিভ থাকতে পারেনি। আজ দুটো ডিভাইসই হাতে এসেছে। আর পেয়েই যুক্ত হলাম ডিস্কোর্ড এ।বন্ধুরা নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজ এক্টু অন্য রকম কাজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এই ধরনের ছোট কাজ কখনও করিনি। আজ করলাম। আজ আমি একটি শোপিস তৈরির পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এ ধরনের কাজ করতে কিছুটা সময় লাগে ঠিকই কিন্তু করার পর বেশ ভালই লাগে। আমার কাছেও শোপিসটি বেশ ভালো লেগেছে বানানোর পর।শোপিসটি বানাতে আমি মাস্কিন টেপ ও ক্লে সহ আরও কিছু উপকরণ ব্যবহার করেছি। যা সবিস্তারে নিম্নে প্রদত্ত করা হয়েছে। তাহলে দেরি না করে চলুন দেখে নেই বন্ধুরা কিভাবে বানিয়ে নিলাম স্ন্যাক প্ল্যান্ট এর শোপিসটি।আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
উপকরণ
১।টব
২।সবুজ রং এর ক্লে
৩।তার
৪।মাস্কিন টেপ
৫।সবুজ রং এর পোস্টার রং
৬।তুলি
৭।সাদা জেল পেন
৮।ককশিট
৯।কাঁচি
স্ন্যাক প্লেন্ট এর শোপিস তৈরির ধাপ সমূহ
ধাপ-১
প্রথমে ছোট ছোট সাইজ করে কিছু তার কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার মাস্কিন টেপের মাঝখানে এক টুকরো তার লাগিয়ে নিয়েছি। এবং তারটিকে আবার মাস্কিন টেপ দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
ধাপ-৩
কাঁচি দিয়ে তার লাগানো মাস্কিন টেপটি পাতার শেপ এ কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৫
একইভাবে অনেকগুলো পাতা বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
পাতাগুলোর মাঝখানে সবুজ রং করে নিয়েছি।
ধাপ-৭
কিছু কিছু পাতাকে সাদা জেল পেন দিয়ে ঢেউ ঢেউ করে রেখা টেনে দিয়েছি। যাতে স্ন্যাক প্লেন্ট এর সত্যিকারের পাতার মতো দেখায়।
ধাপ-৮
আগেই আর্ট করা একটি মাটির টবে ককশিট দিয়ে ভরাট করে নিয়েছি। এবং সবুজ রং এর ক্লে দিয়ে ককশিটটি ঢেকে দিয়েছি। সবুজ রং এর ক্লে তার দিয়ে ছিদ্র ছিদ্র করে দিয়ে। যাতে দেখতে সুন্দর লাগে।এবার টবে বানানো স্ন্যাক প্লেন্ট এর পাতাগুলো লাগিয়ে দিয়ে শোপিসটি বানানো শেষ করেছি।
উপস্থাপন
আশাকরি মাস্কিন টেপ ও ক্লে দিয়ে বানানো স্ন্যাক প্ল্যান্ট এর শোপিসটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি সব সময় চেষ্টা করি নতুন নতুন ধরনের ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন.শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | ডাই |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung Galaxy A-10 |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং |
লোকেশন | পার্বতীপুর,দিনাজপুর |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপনার শেয়ার করা এই দারুণ ডাই পোস্টটি দেখে প্রথমে আমিও ভাবছিলাম যে এটা সত্যিকারের স্নেক প্ল্যান্ট। এত নিখুঁতভাবে পাতা তৈরি করা হয়েছে এবং রং করা হয়েছে যে একবারে বাস্তবের মতোই মনে হচ্ছে। প্রতিটি ধাপ এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যে যে কেউ সহজেই বুঝতে পারবে। এত চমৎকার একটি ক্রিয়েটিভ আইডিয়া আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমি চেস্টা করছে যাতে কিছুটা হলেও কাছাকাছি দেখতে হয়। ধন্যবাদ আপু।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ কয়েকটি উপকরণ ব্যবহার করে অনেক সুন্দর একটি স্ন্যাক প্ল্যান্টের শোপিস তৈরি করেছেন আপু এটা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি ডাই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
প্রথমে হঠাৎ দেখে একদম সত্যি কারের স্নেক প্ল্যান্ট মনে হচ্ছিল ও। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পুরোটা তৈরি করেছেন আপু। একদম পারফেক্টলি পাতাগুলো এঁকেছেন। এই স্নেক প্ল্যান্ট আমার বেশ পছন্দ। তবে এভাবে এটা তৈরি করার আইডিয়া কখনো মাথায় আসেনি। এগুলো ডেকোরেশন করে রাখলেও খুব চমৎকার লাগে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ডাইপ্রজেক্ট শেয়ার করার জন্য।
এই শোপিসটি বানানোর পর আমারও বেশ ভালো লেগেছে দেখতে। কিছুটা হলেও স্নেক প্ল্যান্ট এর মতো হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
অনেকদিন অফ থাকার পর আপনার হাতে মোবাইল এবং ল্যাপটপ এসেছে শুনে ভালো লাগলো। এখন আপনি তাহলে আবার অ্যাকটিভ থাকতে পারবেন। আর অ্যাকটিভ হওয়ার সাথে সাথেই ভীষণ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। শুধুমাত্র ক্লে দিয়ে এত সুন্দর একটি শোপিস বানিয়ে ফেলেছেন যার প্রশংসা না করে পারছি না।
বেশ খারাপ সময় কেটেছে আমার বাংলা ব্লগ ছাড়া। অবশেষে মোবাইল ও ল্যাপটপ পেয়ে বেশ ভালো লাগছে। আমি শোপিসটি বানাতে ক্লের সাথে সাথে মাস্কিন টেপও ব্যবহার করেছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
বেশ দারুন একটি ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমি তো ভেবেছিলাম প্রথমে সত্যিকারে স্নেক প্ল্যান্ট। পাতাগুলো খুব সুন্দর করে সেভ করে নিয়েছেন এবং রং করে নিয়েছেন। সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
চেস্টা করেছি কিছুটা যাতে সত্যিকারের স্ন্যাক প্ল্যান্ট এর পাতার মতো হয় দেখতে। ধন্যবাদ আপু।
আপনি যদি সব সময় এরকম সুন্দর সুন্দর ডাই গুলো তৈরি করার জন্য চেষ্টা করেন, তাহলে পরবর্তীতে আরো অনেক সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ডাই তৈরি করতে পারবেন। অবশ্যই এরকম সুন্দর সুন্দর শোপিস গুলো তৈরি করে ঘরে সাজাবেন। তাহলে দেখবেন অনেক বেশি সুন্দর লাগবে দেখতে। আপনার তৈরি করা এই সুন্দর শোপিস সত্যি খুব দারুণ লাগছে দেখতে।
প্রতিনিয়ত চেস্টা করে যাচ্ছি সুন্দর সুন্দর ডাই পোস্ট শেয়ার করতে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
আরে বাহ আপু কি দারুন বানিয়েছেন তো! আমি তো প্রথমে বুঝতেই পারিনি যে এটা শোপিস। ভালো করে দেখে ভাবছি স্নেকপ্লান্টের রংটা এরকম কেন! এমনি তো আরো একটু কম সবুজ হয়। তারপরে ভাবলাম আপনি হয়তো একেবারেই রোদে দেননি এই গাছটা তাই ঘন সবুজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যখন পোস্টটা খুললাম এবং ভালো করে পড়লাম দেখলাম, ওমা! এ তো শো পিস। কী চমৎকার হয়েছে আপু।
অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।