রেসিপিঃ নোনতা পিঠা ।
শুভেচ্ছা সবাইকে ।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সব সময় সবাই ভালো থাকেন। আজ ২৯শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,হেমন্তকাল। ১৪ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি পিঠার রেসিপি ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজ একটি পিঠার রেসিপি আমি শেয়ার করবো। আর তাহলো নোনতা পিঠা। এই পিঠাটি আমি প্রথম খেয়েছি আমার শ্বশুর বাড়ি।বেশ ভালো লেগেছিল খেতে। তারপর শিখে নিয়েছি। এখন মাঝে মাঝেই বানাই। বিকাল নাস্তায় খেতে বেশ ভাল লাগে। যারা মিষ্টি জাতীয় পিঠা খেতে পছন্দ করেন না তারা এই পিঠাটি খেতে পা্রেন। আপনারা চাইলে এই পিঠাটি বানাতে পারেন। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। আমি এই রেসিপিটি তৈরি করতে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি চালের গুড়া ও বিভন্ন মশল সাথে আরও কিছু উপকরণ। যা নিম্নে সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে। বন্ধুরা, আশাকরি আমার তৈরি আজকের নোনতা পিঠার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চালের গুড়া | ২ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৩-৫ টি |
আদা | আধা ইঞ্চি |
রসুন | ৩-৪ কোয়া |
হলুদ গুড়া | আধা চাঃ চামচ |
ভাজ়া জিরা গুড়া | আধা চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | আধা চাঃ চামচ |
ধনেপাতা কুচি | ৩ টেঃ চামচ |
লবন | এক চাঃ চামচ |
তেল | ২ কাপ |
নোনতা পিঠা তৈরির প্রণালী
ধাপ-১
প্রথমে আদা, রসুন অ কাঁচা মরিচ বেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
একটি হাড়িতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি।পানি ফুটে আসলে তাতে হলুদ গুড়া দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর তাতে বেটে নেয়া মশলা সহ অন্যান্য মশলা ও লবন দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
পানি ভালোভাবে ফুটে উঠলে তাতে চালের গুড়া দিয়ে পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এবং কিছুক্ষন ঢাকনা দিয়ে রেখে দিয়েছি। যাতে চালের গুড়া সিদ্ধ হতে পারে।
ধাপ-৫
এবার সিদ্ধ হওয়া চালের কাই এ কুচি করা ধনে পাতা দিয়ে ভালভাবে মথে রুটি বানানোর মতো করে কাই করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার সামানো ডো নিয়ে রুটি বেলে নিয়েছি একটু মোটা করে। এরপর একটি কুকি কাটার দিয়ে গোল গোল করে কেটে নিয়েছি।একইভাবে সবগুলো পিঠা বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এবার পিঠাগুলো ভাজ়ার জন্য একটি কড়াই এ পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে চুলায় বাসিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে পিঠা দিয়ে এপিঠ ওপিঠ করে ব্রাউন করে ভেঁজে নিয়েছি। একইভাবে সবগুলো পিঠা ভেজে নিয়েছি।
উপস্থাপন
এবার একটি প্লেটে সবগুলো পিঠা তুলে সাজিয়ে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য। সাথে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আশাকরি,মজাদার নোনতা পিঠার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের ব্লগ এখনেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi Note A5 |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আমি এই পিঠা আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রথম দেখলাম আপু।আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে বেপার টা।যারা মিষ্টি জাতিয় পিঠা খেতে পারে না তাদের জন্য দারুন উপায়।আমাদের এদিকে এক ধরনে পিঠা আছে মুঠো পিঠা বলে সেটা শুধু লবন আর আটা দিয়ে বানায় এবং পরে সেদ্ধ করে বেশ ভালো লাগে।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনি যে পিঠার কথা বলেছেন সেটা আমরাও বানাই। আমরা ম্যারা পিঠা বলি। তবে এই পিঠাটিও খেতে বেশ মজা। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এমন তো কখনো আগে বানাইনি। বেশ সুন্দর বানিয়েছেন তো। মুচমুচে হয়েছে তাই না? কারণ চালের আটা তো তেলে ভাজলেই মুচমুচেই তো হবে। মানে আমার তো সেরকমই ধারণা।
জি আপু উপরে মুচমুচে ভিতরে নরম। তবে খেতে একটু অন্য রকম। মজা লাগে খেতে । ধন্যবাদ আপু।
https://x.com/selina_akh/status/1857122673585013015
এরকম পিঠে আগে কখনো দেখিনি, নামও শুনিনি।নতুন ধরনের পিঠা দেখলাম এবং শিখলাম।দেখেই মনে হচ্ছে অনেক দারুণ খেতে। ধন্যবাদ আপু অন্যরকম পিঠে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
জি আপু আমিও প্রথম খেয়েছি শ্বশুর বাড়ি। তবে খেতে কিন্তু বেশ মজা। ধন্যবাদ আপু।
আপনার মত আমিও এই পিঠা আমার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে প্রথম খেয়েছিলাম। খুবই ভালো লেগেছিল খেতে। পিঠা বলতে তো আমরা মিষ্টি বুঝি। এই পিঠা ঝাল হওয়ার জন্য বেশি ভালো লাগে খেতে। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। চাইলে বাসায় বানিয়ে খেতে পারবো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি আপু আমারও বেশ ভালো লাগে খেতে ঝাল ও লোনতা।তাই বাসায় মাঝে মাঝে বানাই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
রেসিপি প্রত্যেকটা স্টেপ দেখে মনে হচ্ছে এটা তৈরি করা খুব একটা কঠিন নয়। আর দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতেও অনেক সুস্বাদু ছিল। একটু ঝাল ঝাল নাস্তা বিকেলবেলায় ভালোই লাগে খেতে। দারুন ছিল আপনার আজকের রেসিপিটা। একদিন ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু বানানো বেশ সহজ,তাই যখন তখন বানান যায়। একদিন ট্রাই করতে পারেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে নোনতা পিঠা তৈরি করেছেন আপু ।আদা ও ধনেপাতা ব্যবহার করার কারণে রেসিপি খেতে আরো বেশি মজাদার হবে দেখেই মনে হচ্ছে ।ধন্যবাদ আপু রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু খেতে দারুন ছিল পিঠাটি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
পিঠা নামটা শুনলেই মনে হয় মিষ্টি কিছু হবে। তবে বিভিন্ন মশলা এবং লবণ দিয়ে এইরকম নুনতা পিঠা কখনও খাইনি। দেখে বেশ ইউনিক লাগছে। দেখতেও বেশ দারুণ। বেশ তৈরি করেছেন পিঠা টা আপু। খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন পোস্ট টা। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।
ঠিক তাই পিঠা মানেই মনে হয় মিষ্টি কিছু। কিন্তু এই ঝাল পিঠাও খেতে বেশ মজা। ঝাল আর নোনতা দু'টো স্বাদই পাওয়া যায় এই পিঠায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।