অনুভূতিমূলক পোস্ট ||| বড় মাছ কেনার অনুভূতি ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হতে চলেছি।জানিনা আমার বাস্তবভিত্তিক কিছু বিষয় এবং ইউনিক কিছু বিষয় গুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে? তবে আমি চেষ্টা করি বাস্তব ভিত্তিক কিছু বিষয় এবং ইউনিক কিছু বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়।আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার অনুভূতিমূলক পোস্ট "বড় মাছ কেনার অনুভূতি" নিয়ে হাজির হয়েছি।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টে কি অনুভূতি শেয়ার করেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
প্রত্যেকটি এলাকায় কিছু মেলা হয়ে থাকে আর এই মেলাগুলো এক একটি এলাকায় এক এক বিষয়ের উপর হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি বগুড়াতেও একটি মেলা হয়ে থাকে যে মেলার নাম পোড়াদহের মেলা। এই মেলার বিশেষত্ব হল মাছ কেনা। কে কত বড় মাছ কিনছে এবং কে কত টাকার মাছ কিনছে এটি হয় এখানকার সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা। আর এ প্রতিযোগিতায় এলাকার ধনী মধ্যবিত্ত এবং গরীব প্রতিটি শ্রেণীর মধ্যেই হয়ে থাকে।আর এখানে কখনো কোন গরিব ধনী মাছ কেনা থেকে বাদ পড়ে না। সকলকেই ছোট হোক বড় হোক মাছ কিনতে হবে এটি যেন এখানকার সবচাইতে বড় একটি বিষয়।
এ সময় গরিব মধ্যবিত্ত এবং ধনী প্রত্যেকটি পরিবারে আত্মীয়-স্বজনের ভিড় লেগে যায়। আর প্রত্যেকটি বাড়িতে দেখা যায় যে ২০ থেকে ৩০ জন আত্মীয়-স্বজন আসে এই মেলাটি দেখার জন্য এবং মেলা করার জন্য। আর বাড়ির জামাইকে গরিব ধনী যেই হোক ন্যূনতম ৫থেকে ১০হাজার টাকা হাতে দিতে হবে মাছ কেনার জন্য। আর জামাইকেও প্রতিযোগিতা করতে হবে পার্শ্ববর্তী বাড়ির জামাইয়ের চাইতে বড় মাছ কেনার আর ছোট মাছ কিনলে তো তার মান ইজ্জত যায়যায় অবস্থা।
আর একদিনের এই মেলাতে দেখা যায় এই এলাকায় কত টাকা যে খরচ হয়। শুধু খাওয়ার জন্য এখানে একদিনের মেলাতে সব ধরনের জিনিস পাওয়া যায় মাছ মাংস খেলনা থেকে শুরু করে খাঠের জিনিস প্রত্যেকটি আইটেম এই মেলাতে পাওয়া যায় জন্য। একদিনের এই মেলাতে একটি মিষ্টির দোকানে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার মিষ্টি তৈরি করে রাখেন যা তারা ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে এবং কোন দোকান কোন ধরনের মিষ্টান্ন থাকে না। পরের দিন দেখা যায় প্রত্যেকটি দোকান একদম জিনিসপত্র শূন্য থাকে মানে সব কিছু বিক্রি হয় একদিনের মেলায়।
আজকের মত এখানে শেষ করছি আবারো নতুন কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব সে পর্যন্ত আপনাদের কাছে থেকে বিদায় নিচ্ছি।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
একদিনের এই মেলাটা তো দেখছি একেবারে ভিন্ন ধরনের। এমন মেলার কথা কখনো শুনিনি। বেশ মজা পেলাম পোস্টটি পড়ে। জামাইকেও পাশের বাড়ির জামাই এর চেয়ে বড় মাছ কিনতে হবে, এই ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পোস্টটি সুন্দর করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
https://x.com/mst_akter31610/status/1890984614761492644?t=Ieu98OlnO3KiY68_1VZdzg&s=19
ফটোগ্রাফিতে তো দেখছি সবগুলোই বিশাল বড় বড় মাছ। সবচেয়ে বড় মাছ কিনার এরকম রীতির কথা শুনেছিলাম। তবে আমাদের এদিকে এগুলো খুব একটা প্রচলন নেই। একদিনের মেলার এ কথাগুলো জেনে ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ আপু সুন্দর অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করার জন্য।
তবে আপু আমাদের এদিকে এরকম মেলা বসে না। আপনাদের ওইখানে দেখি পোড়াদহের মেলা বসেছে। আসলে এসব মেলাতে গেলে এমনিতে ভালো লাগবে। আর ধনী গরিব সবাই মাছও কিনতে পারে। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে এইখানে মিষ্টি অনেক বিক্রি করা হয়। যাই হোক পোস্টটি শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।