রেসিপি পোস্ট ||| মজাদার কামরাঙ্গা মাখা ||| original recipe by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
বরাবরের মতো আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে।আজ আপনাদের মাঝে মজার একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি সেই সাথে দারুণ অনুভূতি নিয়ে।
গ্রামের সৌন্দর্য প্রকৃতি সবকিছু আমাদেরকে মুগ্ধ করে।নিজের বাবার বাড়ির সৌন্দর্য এবং ঘুরতে যাওয়ার আনন্দই আলাদা। বাবার বাড়িতে গিয়ে এতটা আনন্দ করেছি যা কখনো ভোলার মতো না। বাসায় থাকলেও আনন্দ যে করি না তা কিন্তু নয় কিন্তু বাবার বাড়ির মতো না।এটা এক অন্যরকম আনন্দ।বাড়ির সামনে একটু যেতেই দেখি বিরাট বড় একটি কামরাঙ্গার গাছ। গাছে এতটা কামরাঙ্গা ধরে ঝুলে আছে দেখেই মনটা ভরে গেল। প্রত্যেকটি কামরাঙ্গা এত সবুজ ও সতেজতায় ভরপুর দেখে আর মন মানছিল না। তাই চলে গেলাম বাড়িতে এবং কিছু ছেলেপেলেকে জিজ্ঞাসা করলাম এই কামরাঙ্গা গাছটি কার। তখন তারা বলল আপনি যদি খেতে চান তাহলে চুরি করে নিয়ে আসতে পারি। আমি বললাম বকা দিবে না। তখন বলল দুই চারটি কামরাঙ্গা খেলে ক্ষতি কি কি বলবে।তারপর তাদের সঙ্গে গিয়ে আমি বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং তারা ভিতরে ঢুকে কিছু কামরাঙ্গা পারলো ও আমার মুঠোফোন দিয়ে কামরাঙ্গা গাছের একটি ফটোগ্রাফি নিলাম।কামরাঙ্গা গুলো পাড়া শেষ হয়ে গেলে বাড়ি চলে গেলাম সবাই মিলে তারপর শুরু হয়ে গেল কামরাঙ্গা মাখা খাওয়ার প্রসেসিং।
আমি আজ আপনাদের মাঝে "মজাদার কামরাঙ্গা মাখা" রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "মজাদার কামরাঙ্গা মাখা" রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছে তা দেখে নেওয়া যাক।
উপকারের সমূহঃ-
১। কামরাঙ্গা
২।কাঁচামরিচ।
৩।মসলার গুঁড়ো।
৪।লবণ।
৫।চিনি।
৬।সরিষার তৈল।
প্রথমে কামরাঙ্গা গুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার কামরাঙ্গার এক সাইডে থেকে কেটে পরিষ্কার কর নিয়েছি।
এবার কামরাঙ্গা গুলো কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
কাঁচামরিচ কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
এবার সকল উপকরণ একসঙ্গে কামরাঙ্গার ভিতরে দিয়ে দিয়েছি।
কামরাঙ্গা গুলো সুন্দর করে মেখে নিয়েছি।
কামরাঙ্গায় সরিষার তেল এড করে নিয়েছি। আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "মজাদার কামরাঙ্গা মাখা" রেসিপি।এবার এই "মজাদার কামরাঙ্গা মাখা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1879219280409174381?t=fguD4ed4rX4F8zq-cyg-gw&s=19
কামরাঙ্গা মাখার রেসিপি দেখে আমার বারবার জিভে জল চলে আসছিল। আসলে এর আগে কখনো এই ধরনের কামরাঙ্গা মাখা রেসিপি আমি কখনো দেখিনি এবং খাইনি। এটি আমার কাছে একটা সম্পূর্ণ নতুন ধরনের মাখা।
দাদা এভাবে কামরাঙ্গা মেখে খেয়ে দেখেন অনেক মজা লাগবে এবং অনেক টেস্টিং হয়।
টক জাতীয় জিনিস দেখলেই জিভে জল চলে আসে। এত রাতে আপনার কামরাঙ্গা মাখা দেখে মুখে পানি যেন টলমল করছে। একটু বেশি করে ঝাল দিয়ে কামরাঙ্গা মাখা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কাচা কিংবা পাকা যেকোনো কামরাঙ্গা এভাবে মাখিয়ে খেতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু। আমাদের মেয়েদের টক দেখলেই জিভে জল চলে আসে।
এইরকম মাখা গুলো খাওয়ার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ রয়েছে। সবাই মিলে এরকম ভাবে যেকোনো খাবার খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তবে আপনার কামরাঙ্গা মাখা দেখে আমার নিজের জিবেই জল চলে আসলো। বাবার বাড়িতে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্যে একটি মুহূর্ত শেয়ার করে ফেললেন আমাদের মাঝে,ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই বাবার বাড়িতে গেলে সব কিছুই ভালো লাগে আর এউ ভালো লাগার কারণ আমাদের শৈশব কৈশোর জড়িয়ে থাকে।গাছের ডালে ঝুলে থাকা কামরাঙা দেখে খেতে ইচ্ছে এটাই স্বাভাবিক। সব থেকে ভালো লাগলো আপনি বাচ্চাদের প্রশ্ন করেছেন কামরাঙ্গা গাছটি কার আর ওরা বলেছে আপনি খেতে চাইলে চুরি করে আনতে পারি। আপনি লোভনীয় করে কামরাঙা মেখেছেন এবং কামরাঙ্গা মাখা পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ভীষণ লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটি। ধন্যবাদ আপনাকে কামরাঙ্গা মাখা পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
অনেক সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
আমি টক জাতীয় যেকোনো কিছু দেখলে লোভ সামলাতে পারিনা। আজ আপনার কামরাঙ্গা মাখানো দেখে জিভে জল চলে আসলো। খুব সুন্দর করে আপনি কামরাঙ্গা গুলো মাখিয়েছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক রেস্ট লেগেছিল।
উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার কামরাঙ্গা মাখা দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় স্কুল থেকে বাড়িতে এসে বোনেরা মিলে গাছ থেকে কামরাঙ্গা পেড়ে নিয়ে এভাবে মাখিয়ে খেতাম।তবে আপনি এভাবে মাখিয়েছেন এভাবেও খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল। আমরা গুড়া মরিচ এবং লবণ দিয়ে মাখিয়ে খেতাম।
গুড়া মরিচ দিয়ে খেলে অনেক ভালো লাগে কিন্তু ছোট বাবুরা খাবে তো এজন্য কাঁচামরিচ দিয়ে করেছি।
টক জাতীয় ফল মাখা আমার খুবই পছন্দের। কাঁচামরিচ মশলা দিয়ে কামরাঙ্গা টা দারুণ মাখিয়েছেন আপু। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। আশাকরি খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
জি ভাই রেসিপিটি খেতে অনেক মজাদার ও সুস্বাদু ছিল।
আসলে আমার অনেক বছর হয়ে গিয়েছে কামরাঙ্গা খাওয়া হয়না। এই কামরাঙ্গা তেমন একটা এখন দেখাও যায় না৷ তাই এগুলো মাখা তো অনেক দূরের কথা৷ আজকে যেভাবে আপনি এই কামরাঙ্গা মাখা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুবই সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হয়৷ এই রেসিপি এটিকে দেখে এখনি এখান থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে৷
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক অনেক স্বাগত জানাই।