জেনারেল রাইটিং||| সুখ কি ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই বোনেরা আশা করছি সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে। আমি চেষ্টা করি সব সময় বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে কিছু লেখার জন্য। বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের জীবনে যা হচ্ছে ঘটে যাচ্ছে সেই লেখাগুলোই আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
সুখ শব্দটির কি? এটা যদি প্রত্যেকের কাছে জিজ্ঞাসা করা হয় তবে প্রত্যেকের উত্তর এক রকম হবে না। একেকজন সুখের অর্থ এক এক ভাবে প্রয়োগ করবে। তবে আমার জানামতে প্রচুর ধনসম্পত্তি হলেই যে সুখ হবে তা কিন্তু নয়। কিন্তু বাঁচতে গেলে জীবন ধারণের জন্য অর্থের প্রয়োজন আছে।অর্থ ছাড়া আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারবোনা।
মা বাবা ভাই বোন ও আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশী সবাই মিলে মিশে একই সমাজে ভালোভাবে বসবাস করাএবং সবার মাঝে ভালোবাসা থাকাই প্রকৃত সুখ।পৃথিবীতে সব থেকে বড় সুখ হচ্ছে মায়ের ভালোবাসার সুখ।মনের শান্তি হচ্ছে বড় শান্তি। মন ভালো না থাকলে কোন কাজ করতে যেমন ভাল লাগে না। মনের ভেতর একটা অশান্তি কাজ করে। কিন্তু ফ্রেশ মন ও আনন্দ নিয়ে যদি কোন কাজ করা যায় সেই কাজ করতে যেমন ভালো লাগে তেমনি মনেও আনন্দ কাজ করে। তাই মনের শান্তির বড় শান্তি হচ্ছে সুখ। সুখে থাকতে গেলে বেশি কিছু লাগে না।একজন আরেকজনের প্রতি আস্থা ভালবাসা বিশ্বাসের মাধ্যমে খুব সীমিত অর্থ নিয়েও সুখে থাকা যায়।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষগুলো সুখের ঘেরা স্বপ্নের ভিতরে থাকতে পারে না। কারণ তাদের চাহিদা অনেক। আর অনেক চাহিদা থাকলে যেকোনো পরিবারের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকে। সুখ শব্দটি ছোট হলেও বিরাট অর্থ বহন করে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সাথে এই শব্দটি জড়িয়ে আছে।
আমরা প্রত্যেকে চাই সুখে শান্তিতে থাকতে।কিন্তু সবার ভাগ্যে কি আর সুখ জোটে। কেউ হয়তোবা দুখের সাগরে বসবাস করছে। আবার অনেকেই সুখের জোয়ারে ভাসছে। তবে সুখ ও দুঃখ দুটোই দীর্ঘস্থায়ী নয়। জীবনের কষ্ট ও পরিশ্রম করলে সুখের সেই সোনার হরিণ অচিরেই ধরা দেয়। ছোটবেলায় পড়েছিলাম পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি কথাটি একদম ঠিক। যখনই প্রচুর পরিশ্রম করি ও ব্যস্ততার মাঝে থাকি তখনই সেই সোনার হরিণ ধরা দেয়। অলস মস্তিষ্ক ও অবহেলায় সময় পার করলে জীবনে যেমন কষ্ট পেতে হয় তেমনি সেই সুখের সোনার হরিণ সংসার জীবনে কখনোই ধরা দেয় না। সুখ হল সবার দোয়া আশীর্বাদ ভালোবাসা নিয়ে সৎভাবে অর্থ উপার্জন করে পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে একত্রে থাকা।
আমার রয়েছে প্রচুর টাকা কিন্তু মা বাবা ভাই বোন কারো সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই তারাও আমার কোন কষ্টের সময় খোঁজখবর নেয় না। পাড়া-প্রতিবেশী আমাকে ভালোবাসে না। সবাই আমাকে অন্য চোখে দেখে তাহলে সেই টাকা দিয়ে কি হবে। যার জীবন যেমনি হোক। জীবনে যদি আদর্শ থাকে এবং ন্যায় পথে চলা যায়। ধৈর্য ধারণ করে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকে তবেই সে সুখী নামক সোনার হরিণ ধরা দেয়।
তবে সবশেষে একটি কথাই বলব সুখ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়। একেক ব্যক্তির সুখ একেক রকমের।জীবনে সুখ পেতে হলে উথান পতনের ভেতর দিয়েই সংগ্রাম করে যেতে হয়। তবেই সেই সুখ ধরা দেয়।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।