ছোট গল্প ||| আমার চোখে তুমি পর্ব-০৭ ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হতে চলেছি।আমার ছোট গল্প "আমার চোখে তুমি পর্ব-০৭" নিয়ে।আমার এই গল্পের গত পর্বগুলোতে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পর্বে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
কোন সন্তান অসুস্থ হলে বাবা-মা এমনিতেই প্রচন্ড টেনশনে থাকে তারপর এমন সিচুয়েশনে একজন বাবার মাথা ঠিক থাকে কি করে।নীলা তার বাবার কান্না কিছুটা অনুভব করল তখন সে বলল বাবা তুমি কাঁদছো কেন ডাক্তার তো সব ঠিক করে দিবে এবং আমি আবার চোখে দেখবো দেখো তুমি ভেঙে পড়ো না বাবা। এদিকে ডাক্তার সব চেষ্টা করে হতাশ হয়ে পড়ল। ডাক্তার নীলার বাবাকে বলতেও পারছে না তার নীলার দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলেছে আর কোথাও চেষ্টা করলেও ঠিক হবে না। কয়েকদিন পর নীলার বাবাকে ডাক্তার বলল আপনারা নীলাকে বাসায় নিয়ে যান। নিলাকে হাসপাতালে রেখে আর কিছু হবে না সৃষ্টিকর্তা যদি কোনদিন চায় তাহলে হয়তো বা নীলার চোখের আলো আবার ফিরে পাবে।
নীলার বাবা এই গোপন খবরটি নিলার মার কাছে প্রকাশ করল না। নিরবে নিরবে শুধু নীলার বাবা কাঁদে কিন্তু কাউকে বুঝতে দেয় না। নিলা ঠিক বুঝতে পারল বাবা তুমি কিছু না বললে কি হবে আমি ঠিক বুঝতে পারছি আমার ভাগ্য আমার সাথে কতটা প্রতারণা করলো। আসলে কি বাবা জানো সবার ভাগ্যে তো সুখ সহ্য হয় না হয়তবা আমার কোন অন্যায় বা কোন গুনাহ ছিল এজন্য সৃষ্টিকর্তা আমাকে কষ্ট দিচ্ছেন। নীলার বাবা নীলার কথাগুলো শুনে নীলাকে জড়িয়ে ধরে আরো কাঁদতে শুরু করল।
মারে তুই আর কি অন্যায় করবি সৃষ্টিকর্তা আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছে কারণ আমি নিজেও কখনো কোন অন্যায় কাজ করিনি আর তুই তো ছোট মানুষ হেসে খেলে দিন পার করলি।তবে হৃদয়কে কিছু জানানো উচিত কি বলিস মা। হৃদয়ের কথা বলতেই নিলা কান্না শুরু করে দিল। বাবা আমি এক অসহায় মানুষ অন্ধ মানুষ আমাকে কি আর হৃদয় পছন্দ করবে। এর থেকে হৃদয়ের সঙ্গে কথা বলাটাই বন্ধ করে এবং ফোন অফ করে রাখাই ভালো।এদিকে হৃদয় অনর্গল নীলা কে ফোন করেই যাচ্ছে কিন্তু নীলা তার ফোন ধরছেনা।
যখনই ফোন আসে তখনই সে ফোন বন্ধ করে রাখে। হৃদয় প্রচন্ড কষ্ট পেয়ে দুদিন আর ফোন করেনি নীলাকে। তখন হৃদয় তার এক বন্ধুকে নীলাদের বাসায় পাঠায়। নীলাদের ফ্যামিলির সবকিছু জানতে পেরে সে তার বন্ধুকে কিভাবে কথাগুলো বলবে সেগুলো ঠিক বুঝতে পারছিল না। হৃদয় যখন তার বন্ধুকে আবারো ফোন দিল তখন হৃদয়কে তার বন্ধু বলে যে আমি কিভাবে তোকে কথাগুলো বলব ঠিক বুঝতে পারছি না এই জন্য সেদিন তোকে আমি ফোন দেই নি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি আবারো নতুন কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব সে পর্যন্ত বিদায় নিচ্ছি।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1903366352494297554?t=FCZnxP54anK1sM9cikQq2w&s=19