ছোট গল্প ||| আমার চোখে তুমি পর্ব-০৩ ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি সকলে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আমি আবার আপনাদের মাঝে ছোট গল্প নিয়ে হাজির হলাম। জানিনা এর আগের পর্বগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে? তবে চেষ্টা করেছি সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় গল্পটিকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার।আজকে আমি আপনাদের মাঝে ছোট গল্প "আমার চোখে তুমি পর্ব-০৩" নিয়ে হাজির হলাম।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এ পর্বে কি আছে তা দেখে নেওয়া যাক।
নীলা তার বাবাকে বলে আচ্ছা বাবা সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার একটা প্রতিজ্ঞা ছিল তাই সেটা পূরণ করলাম।এখন আর অতটা আগ্রহ নেই আমি আবার পড়ালেখায় ফিরে যাবো। তারপর নীলা আগের মত আবার লেখাপড়া শুরু করে দিল।বেশ ভালই দিন কাটছিল নীলার। হঠাৎ নীলার অন্য নাম্বার থেকে একটি ফোন এলো। যদিও নীলা সেভ করা নাম্বারগুলো ছাড়া অন্য নাম্বার রিসিভ করতো না তারপরও সেই কলটি বেশ কয়েকবার বেজে উঠলো সেজন্যেই ফোনটি রিসিভ করল নীলা বাধ্য হয়ে। ফোনে কথা বলছিল সেই ছেলেটির নাম হৃদয়। হৃদয় নিলার সম্পর্কে সবকিছু জেনে শুনে অনেক কষ্টে তার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করেছে। নীলাকে ফোন করে প্রথমেই বলল আপনার নাম তো নিলা।
নীলা সহজ মনে বলে দিল হ্যাঁ। কিন্তু আপনি কে? আমার পরিচয় নাইবা জানলে। কিন্তু কেন আমাকে কিভাবে চেনেন। ছেলেটি বলল তোমাকে আমি কোন এক বিকেলে দেখেছি সেই ছোট্ট ছেলে মেয়েদের নিয়ে খেলা করতে। আমার মনে বারবার একটি কথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল কত সহজ সরল হলে একটি মেয়ে ছোট বাচ্চাদের সাথে খেলে। তোমাকে আমার অনেক সহজ সরল একটি মেয়ে মনে হয়েছে। এবং খুব ভালো একটি মেয়ে। তাইতো অনেক কষ্টে তোমার ফোন নাম্বারটি আমি সংগ্রহ করেছি।
যদিও আমি তোমাকে সেই একদিনেই দেখেছিলাম। তারপর সেখান থেকে চলে আসি। হঠাৎ একদিন মনের অগোচরে তোমার ছবি ভেসে উঠলো। বারবার মনে হচ্ছিল তোমার সঙ্গে একটু যোগাযোগ করি। অনেকবার ফোন দিতে গিয়ে ভয় পাচ্ছিলাম তারপর আজ ফোন দিয়েই ফেললাম। আমি ফোন দিয়েছি তুমি বিরক্ত হয়েছো। নীলা তখন বললো না না ঠিক আছে। তারপর নীলা বললো আমি ফোন রাখছি।
ফোনটি রাখার পর নীলার মনের মধ্যে শুধু বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিল কি ছেলে আমাকে কখন দেখেছে কেন বা আমাকে ফোন দিল। তখন আর পড়ায় মন বসলো না।পরের দিন কলেজে গিয়ে তার একটি প্রিয় বান্ধবী নদীকে বলল আমার একটা কথা আছে তুই কাউকে বলবি না।নদী বলল ঠিক আছে বল। নীলা তখন নদীকে সব ক্লিয়ার করে বলল। নদী বলল বাদ দে এসব ফোনে কত কল আসে।কে কার কথা মনে রাখে। তোকে আন্তাজে ঢিল মেরেছে এবং ডিস্টার্ব করেছে। এসব কথায় সময় দেয় না করে পড়ালেখায় মন দে বরং সেটাই তোর জন্য ভালো।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1890093652640502027?t=OApgE6mkNaX2tEtv3KZl9g&s=19
গল্পটির মধ্যে এক ধরনের সাদাসিধে ভালোবাসার অনুভূতি ফুটে উঠেছে, যেখানে নীলা এবং হৃদয়ের মাঝে যোগাযোগের শুরুটা অতি সাধারণ, কিন্তু তার মধ্যে একটি অদৃশ্য টান রয়েছে। হৃদয়ের প্রতি নীলার দ্বিধা এবং বান্ধবী নদীর বাস্তবপরায়ণ পরামর্শ, যে প্রেমের চাইতে পড়াশোনাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ, গল্পটিকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। এটি যেন এক ধরনের স্মৃতির মতো, যেখানে প্রথম প্রেমের অনুভূতি এবং বাস্তবতার চাপ একসাথে মিশে যায়। ধন্যবাদ গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আসলেই তাদের ভালোবাসাটা অনেকটাই সাদাসিধে।
নীলা তো মনে হচ্ছে সেই ছেলেটার প্রতি কিছুটা হলেও দুর্বল হয়ে গিয়েছে। আসলে কিছু কিছু ভালোবাসার শুরু এভাবেও হয়ে থাকে। তবে নীলা যদি হৃদয়ের সাথে প্রেম করে,তাহলে তো নীলার পড়াশোনার বারোটা বেজে যাবে। তখন নীলার বাবা খুব কষ্ট পাবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।