ছোট গল্প ||| আমার চোখে তুমি পর্ব-০৬ ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলেই সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে ছোট আমার গল্প "আমার চোখে তুমি পর্ব-০৬" নিয়ে হাজির হলাম। গত পর্বগুলোতে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুণ বেরিয়েছে।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পর্বে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
রেজাল্ট ভালো করতেই হবে কারণ হৃদয়কে লীলা কথা দিয়েছে। তাইদিনরাত্রি নেই সে খুব পড়া শুরু করে দিল।এদিকে পরীক্ষার দিনে চলে আসছে। নীলার মনে শুধু একটাই কথা ভালো রেজাল্ট আমাকে করতেই হবে। তাইতো সারারাত জেগে পরের দিন যখন পরীক্ষা দিল ঠিক মনের মতই পরীক্ষা দিতে পারল নীলা। এবং পরীক্ষা দিয়ে হৃদয়কে বললো পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছে। এভাবে সবগুলো পরীক্ষা কমপ্লিট করে। তাইতো বলল এবার তো আমার রেজাল্ট খুব ভালো হবে দেখে নিও তুমি। হৃদয় বলল তোমার জন্য স্পেশাল গিফট আনা হবে যদি অনেক ভালো রেজাল্ট করো।
তখন নীলা বলল স্পেশাল গিফট টি আনতে ভুলো না যেন আমি অপেক্ষায় রইলাম খুব সুন্দর করে দেখে নেব। যেদিন রেজাল্ট সেদিন তার বান্ধবী এসেছিল নিলাদের বাড়িতে। তারপর বান্ধবীর সঙ্গে আনন্দমুখর মনে যখন দ্রুত সিঁড়ি থেকে নাম ছিল তখন সিঁড়ি থেকে পড়ে আর নীলার এক্সিডেন্ট হয়ে যায়। নিলার বাবা নীলাকে নিয়ে হাসপাতালে সঙ্গে সঙ্গে চলে যায়। ডক্টর তাকে দেখে বলে নীলার সব ঠিক আছে কিন্তু চোখের সমস্যা মনে হচ্ছে । কারণ সে পড়ে যাওয়ার সময় ছিল তার চোখে চশমা। চশমা ভেঙ্গে তার চোখে বিরাট ক্ষতি হয়েছে।
সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখুন সৃষ্টিকর্তার যেটা ভাগ্যে রেখেছে সেটাই হবে তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নিলার বাবা এই কথা শুনে কোন দিক খুঁজে পাচ্ছিল না। কারণ একমাত্র মেয়ে বলে কথা। তার মেয়ে অন্ধ থাকবে এটাতো মেনে নেওয়ার মতো নয়। বিভিন্ন ধরনের তারপর তার চোখের অপারেশন শুরু করে দিল। কিন্তু যেদিন তার চোখ খুলবে সেই দিন বোঝা যাবে নীলা দেখতে পারবে কিনা। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস নীলা চোখে কিছুই দেখতে পেল না চার দিকটা শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। নীলা তখন চিৎকার করে বলতে শুরু করল আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না বাবা আমার চারদিকে এমন অন্ধকার লাগছে কেন। তোমরা আমার চোখের আলো ফিরিয়ে দাও। সৃষ্টিকর্তা আমার সাথে এমন করতে পারে না।
তার কথাগুলো শুনে তার বাবা কান্না করতে করতে আর নিজেকে স্থির করে রাখতে পারল না। তার বাবা দৌড়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলল যত টাকা লাগে আমি আপনাকে দেব আমার মেয়ের চোখের আলো ফিরিয়ে দেন। আমার একটি মাত্র মেয়ে প্রয়োজনে আমার চোখ দুটো আমার মেয়ের চোখে লাগিয়ে দেন। ডাক্তার বলল এত অস্থির হবেন না আমরা আমাদের চেষ্টা করেছি।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
|-|-|
আপনার গল্পটা খুবই হৃদয়বিদারক এবং গভীর আবেগপূর্ণ। নীলার চোখের সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে তার বাবা-মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এবং লড়াই সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। গল্পের প্রতিটি পর্বে আপনি এক অনন্য ভাবনা তুলে ধরেছেন, যা আমাদের মনে দাগ রেখে যায়। বিশেষ করে, নীলার বাবা-মায়ের যে ত্যাগ এবং কষ্ট দেখানো হয়েছে, তা বাস্তব জীবনের নানা পরিস্থিতির সাথে মিলিয়ে আমাদের ভাবায়। সত্যিই, এটি একটি শ্বাসরুদ্ধকর ও আবেগপূর্ণ গল্প যা পাঠককে চমকে দেয় এবং জীবনের মূল্য বুঝতে সাহায্য করে।
আমার গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
https://x.com/mst_akter31610/status/1900966426640589292?t=rVL6WJ-Jw3dZVcwMDLZTgA&s=19
নীলার জন্য সত্যিই খুব খারাপ লাগলো। আসলে মানুষের বিপদ কখন চলে আসে, সেটা টের পাওয়া যায় না। তাছাড়া চোখ হচ্ছে মানুষের শরীরের সবচেয়ে দামী অংশ। সেই চোখ দুটি যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তো পৃথিবীতে বেঁচে থাকতেই কষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক নীলার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো আপু।
ঠিক বলেছেন ভাই কখন কার বিপদ চলে আসে বলা মুশকিল।