ছোট গল্প পোস্ট ||| তোমার অপেক্ষায় আজও আমি পর্ব-০৮ ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি সকলেই সুস্থ আছেন এবং ভালো সময় অতিবাহিত করছেন। আমিও আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আবারো আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প "তোমার অপেক্ষায় আজও আমি পর্ব-০৮" নিয়ে হাজির হলাম।চলুন আর কথা না বাড়ি আজকের পর্বে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
তবে গ্রামের বাড়িতে তোমাদের খোঁজ নিয়েছি তোমরা চলে গেছো কোথায় এই ঠিকানাটি কেউ দিতে পারেনি। আমরাও চলে এসেছি ঢাকায় একেবারে আমার বড় ছেলে আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এসেছে। ওকেও ঢাকায় ভর্তি করে দিয়েছে পড়ালেখা শেষ করে একটা জব পেয়েছিল।সেখানে জব করে মালিকের বিশ্বস্ততা অর্জন করে এবং কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে। মোটামুটি ভালই একটা জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়। তারপর রাতের পর রাত দিনের পর দিন পরিশ্রম করে কাজের মধ্যেই সে ডুবে থাকে। একটি সময় তাকেও আর কোন কথা মনে করিয়ে দিতে চাইনি। কারণ সন্তান হারানোর ব্যথা অনেক কঠিন। আস্তে আস্তে হয়তো আমার ছেলের সমস্যা মিটে যাবে।এই ভেবে ছেলেকে আর কোন কিছু মনে করাতে চাইনি।
ভাবলাম একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। তারপর হাবিব সব কথাগুলো শুনে অনেক আনন্দ পেল। সে তখন নিজেই অনুভব করল আসলে মন থেকে যদি কেউ কাউকে ভালবাসে তাহলে তাকে হারানো যায়না। আর হারিয়ে গেলেও কোন না কোন সময়ে তাকে ফিরে পাওয়া সম্ভব।তারপর হাবিব অনেক খুশি মনে বাড়ি চলে এলো। হাবিব তার বোনকে কখন খবরটা দিবে অস্থির হয়ে রইল। কিন্তু আজ কেন জানি তার বোন অফিস থেকে আসতে লেট করছে তাই অপেক্ষা না করে বোনের ফোনে ফোন দিল।
দুর্ভাগ্য ক্রমে ফোনটি কোন একজন রিসিভ করলো এবং বলল এই ফোনের মালিক যে সে এক্সিডেন্ট করেছে তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আপনারা দয়া করে এই হাসপাতালে চলে আসেন। হাবিব তখন আর মাথা ঠিক রাখতে পারল না দৌড়ে হাসপাতালে চলে গেল বোনকে দেখার জন্য। সত্যিই বোনকে দেখে তার বারবার আফসোস হচ্ছিল আমার বোনের ভাগ্যে আর কখনো সুখ হবে না কি।ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর ডক্টর কিছু মেডিসিন ও ওষুধ দিল এবং বোনকে বাসায় নিয়ে এলো। নাতাশাকে হাবিব জিজ্ঞাসা করল কিভাবে আপু তোমার অ্যাক্সিডেন্ট হলো।
এখন নাতাশা বলল আমি সেই ছেলেটিকে ফলো করছিলাম পাগলের মত যেটা তোর ভাইয়ার মত দেখতে । হঠাৎ কোথায় থেকে জানি একটি গাড়ি এসে আমাকে ধাক্কা দিল। খোদার রহমতে বেঁচে গেলাম।এবার বল তোর কি খবর। তখন হাবিব নাতাশাকে বলল আবু তলে একটা অনেক বড় খবর আছে। আর সেই খবর শুনলে তুই নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারবি না। আর এই জন্যে হয়তো বা সৃষ্টিকর্তা তোকে নতুন জীবন দান করেছেন। আপু তুমি ঠিকই বলেছ ওই ছেলেটি আর কেউ নয় তোমারই হাজব্যান্ড। ভাইয়ার মাথার সমস্যা এখনো কিছুটা আছে।
সবকিছু ভুলে গেছে তাকে আবার মনে করাতে হবে আগের জীবনের স্মৃতিগুলো।তোমার শাশুড়ি আমাকে দেখে অনেক খুশি হয়েছে তারাও যোগাযোগ করার জন্য আমাদের বাসায় গিয়েছিলাম আমাদেরকে পাইনি। তারপরে ভেবেছে হয়তোবা ভাইয়া ঠিক হলে তোমাকে খুঁজে নেবে। কিন্তু আজ যখন সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে আবার ভাইয়ার সাথে দেখা করিয়ে দিয়েছে।তখন আমার মনে হল সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো পরাজয় হয় না। তাইতো এতটা বছর যাওয়ার পরেও সবকিছু পেয়ে গেলাম। হয়তো কষ্ট আমাদের জীবনে এসেছে। তারপরও সবাই পরিপূর্ণ সুখ খুঁজে পাবো।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1878856138047049987?t=Yqu-L3Bjvr5wfyWydPMi5g&s=19
আপু আপনার গল্পের এর আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি তবে এই পর্ব পড়ে খুব ভালো লেগেছে। একদম ঠিক কথা সত্যিকারের ভালোবাসা কখনও শেষ হয়ে যায় না। আজ না হয় কাল সেই ভালোবাসার মানুষ তার কাছে আসবেই। তেমনি নাতাশা এক বছর পরে হলেও তার স্বামী কে খুঁজে পেয়েছে। তবে তার স্মৃতি না থাকায় সে নাতাশাকে চিনতে পারেনি। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
আমার গল্পটি যে আপনি পড়েছেন এজন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য।
নাতাশার এক্সিডেন্টের ব্যাপারটা জেনে খুব খারাপ লাগলো। তবে নাতাশার তেমন ক্ষতি হয়নি, এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। আশা করি নাতাশার স্বামীর পুরনো স্মৃতি মনে পড়বে এবং নাতাশা সুখের সংসার করবে। নাতাশার জন্য শুভকামনা রইলো। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।