অভিযোগ না করে নিশ্চুপে বিদায় নেওয়া শ্রেয় '"।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে দীর্ঘ কয়েক মাস আগে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে ।আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো "' অভিযোগ না করে নিশ্চুপে বিদায় নেওয়া শ্রেয় '"। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

সোর্স

অভিযোগ না করে নিশ্চুপে বিদায় নেওয়া শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, এটি এক ধরনের আত্মসম্মান এবং শান্তির প্রতীক। জীবনের পথে অনেক সময় এমন পরিস্থিতি আসে যেখানে শব্দের চেয়ে আমাদের নিরবতা অনেক বেশি শক্তিশালী হতে পারে। কখনও কখনও, মনের শান্তি এবং সম্পর্কের সম্মানই সবথেকে বড় প্রাপ্তি।জীবন এক পরিসর, যেখানে আমাদের সম্পর্ক, অনুভূতি ও পরিস্থিতি একে অপরের সাথে প্রবাহিত হয়। কখনও কখনও আমাদের জীবনে এমন মুহূর্ত আসে যখন আমাদের সম্পর্ক বা পরিস্থিতি আর আগের মতো থাকে না। আমাদের মনের মধ্যে ক্ষোভ, কষ্ট বা হতাশা জমা হয়, কিন্তু তখনও যদি আমরা সেই সম্পর্ক বা পরিস্থিতি থেকে বিদায় নিতে চাই, তবে কি সবচেয়ে ভালো হবে? অভিযোগ না করে, শান্তিপূর্ণভাবে নিশ্চুপে বিদায় নেওয়া কি শ্রেয়?

যখন আমরা অভিযোগ করি, তখন সাধারণত আমাদের মনের ক্ষোভ বা কষ্টের প্রকাশ ঘটে। এটি খুবই স্বাভাবিক একটি প্রতিক্রিয়া, কিন্তু বাস্তবে অভিযোগের ফলে প্রায়ই সম্পর্ক আরও জটিল ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সম্পর্কের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি, মানসিক চাপ বা ক্ষতির সৃষ্টি হয়, এবং আমরা যা চেয়েছিলাম তা কখনোই পেতে পারি না। অভিযোগের মাধ্যমে আমরা আসলে নিজেদের আঘাত করে ফেলি, অন্যদের কাছে অপ্রত্যাশিত নেতিবাচক অনুভূতি তৈরি করি।

আবার অভিযোগ না করে নিশ্চুপে বিদায় নেওয়া, এক ধরনের মানসিক পরিপক্বতা এবং শান্তির পথ হতে পারে। এটি আমাদের মনের অভ্যন্তরীণ শক্তিকে প্রকাশ করে, যেখানে আমরা আর্থিক, মানসিক বা শারীরিকভাবে সম্পর্ক বা পরিস্থিতি থেকে আলাদা হতে চাই, কিন্তু তাতে অন্যদের ক্ষতি না করার চেষ্টা করি। আমরা চুপচাপ বিদায় নিয়ে, সবার শান্তি বজায় রাখতে পারি।

নিরব বিদায় দেওয়া মানে শুধু যে মনের শান্তি অর্জন, তা নয়, এটি অন্যদের প্রতি আমাদের সম্মান প্রকাশেরও একটি উপায়। আমরা যদি কাউকে অভিযোগ না করে বিদায় জানাই, তবে এটি সেই ব্যক্তিকে আঘাত না করে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি সৎভাবে প্রকাশ করার একটি মাধ্যম। এটি সেই সম্পর্কের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার প্রকাশ এবং সম্মানের নিদর্শন।

অভিযোগ না করে নিশ্চুপে বিদায় নেওয়া আমাদের নিজস্ব মূল্যবোধ এবং আত্মমর্যাদার প্রতি এক ধরনের শ্রদ্ধা প্রদর্শন। যখন আমরা চুপ করে থাকি, তখন আমরা কোনো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ধৈর্যের সাথে অতিক্রম করতে সক্ষম হচ্ছি, এবং নিজেদের আত্মবিশ্বাসের সাথে সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। কখনও কখনও, একটি সুন্দর বিদায় সম্পর্কের অনেক খারাপ মুহূর্তকে মুছে ফেলতে পারে।

নিরব বিদায়ের মাধ্যমে আমরা নিজেদের শান্তির পথে এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারি। অভিযোগ করতে গেলে তা আমাদের মনকে ভারী করে তোলে, কিন্তু যদি আমরা শান্তির সাথে বিদায় নিই, তবে আমরা নিজের মনের শান্তি এবং মনোযোগ বজায় রাখতে সক্ষম হবো। এছাড়াও, এটি আমাদের ভবিষ্যতের উন্নতির জন্য একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হতে পারে, কারণ আমরা নতুন পরিবেশ বা পরিস্থিতিতে একটি সুস্থ মানসিকতা নিয়ে প্রবেশ করতে পারব।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।