রংপুর গ্রামীণ ও কুটির শিল্প মেলায় যাওয়ার ( প্রথম পর্ব )

🥰..আসসালামুয়ালাইকুম ..🥰

🥰..এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব..💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট ভাই-বোনেদের নিয়ে রংপুর গ্রামীণ ও কুটির শিল্প মেলায় যাওয়ার অদ্ভুত এক বোকামি হওয়ার মজার গল্প শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

রংপুর বিভাগের গ্রামীণ কুটির শিল্প মেলা একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ যা বাংলাদেশের গ্রামীণ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটি কেবল পণ্য প্রদর্শনই নয়, বরং উদ্যোক্তা এবং শিল্পীদের জন্য একটি ব্যবসায়িক সেতু গড়ে তোলার মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতি ও সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করছে।এই মেলার আয়োজন রংপুরে ঘাঘট প্রয়াস সেনাপার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশ কিছু দিন আগে এই মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।গত বুধবার আমি আমার ছোট ভাই-বোনেদের নিয়ে এই মেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা করি। ছোট্ট বয়সের কারণে তাদের অনেক কিছু দেখার এবং জানার আগ্রহ থাকে, আর তাই এ ধরনের মেলা তাদের জন্য একটি উপযুক্ত অভিজ্ঞতা হতে পারে। সেই অভিজ্ঞতাই আমাদের জন্য হয়ে উঠল এক স্মরণীয় দিন।সেই স্মরণীয় দিন উপভোগ করার জন্য তাদেরকে সকাল বেলায় বলে রাখি রংপুর কুটির শিল্প মেলায় ঘুরতে যাবো।তারা তো সেই কথা শুনে মহা খুশি।

আমাদের বদরগঞ্জ থেকে ঘাঘট প্রয়াস সেনাপার্ক যতে প্রায় ৪০ মিনিটের মত সময় লাগে।তাই আমি তাদের দুপুর ২ টায় রেডি হতে বলি। সবাই মিলে রেডি হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পরি মেলার উদ্দেশ্য। মেলায় পৌঁছে মেলার গেটের সামনে টিকিট কাউন্টার দেখতে পায়।মেলার গেটের সামনে এসে যখন টিকিট কাটলাম, তখন মোটেই বুঝতে পারিনি যে সিস্টেমটা ছিলো লটারির মতো। আমরা স্রেফ টিকিট হাতে নিয়ে মেলা প্রবেশ করে গেলাম, কিন্তু সেটা আসলে ভুল ছিল।টিকিটে নাম ঠিকানা না দিয়ে বক্সে ফেলেনি, আর গেটের কর্মীরাও কিছু বলল না।

গত বছর যখন মেলায় গিয়েছিলাম, তখন প্রবেশের জন্য সোজা টিকিট কেটে মেলা প্রবেশ করতে হতো। কিন্তু এবার মেলা নতুন একটা আকর্ষণীয় সিস্টেম চালু করেছে । ২০ টাকার টিকিট দিয়ে লটারির মাধ্যমে প্রবেশের ব্যবস্থা। প্রথমে আমি এটা বুঝতে পারিনি, তাই স্রেফ টিকিট কেটে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে সুন্দর ভাবে আমাদের মত মেলার মধ্যে সময় পার করি।পরে বাসায় এসে দেখি, আমার বড় মামা এসেছে আমাদের বাসায়। মামা দেখেই আমাকে বললো, "ভাগ্নি, মেলায় প্রবেশ টিকিট কয়টা কেটেছো, এই টিকিট গুলো কই ? সেগুলো কি যমা দিছ ? " আমি তখন বললাম, আমরা তো টিকিট কেটেছি কিন্তু জানি না তো এই তাই লটারি টিকিট ছিল,"আমরা তো লটারির টিকিট যমা দেয় নাই ।" মামা শুনে হাসতে হাসতে একটু গালি দিলো, আর তারপর লটারির সিস্টেম সম্পর্কে আমাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলো।এই পুরো ঘটনা একদম অদ্ভুত এবং মজার ছিল, কিন্তু পরে ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম এবং সত্যিই নতুন সিস্টেমটা ভালো লেগেছে।

প্রতিদিন এর টিকিট নিয়ে প্রতিদিন এই রাত ১০ টায় লাইভে এসে উইনারের নাম ঠিকানা বলতো, তাদের একটি ইউটিউব চ্যানেলে।প্রতিদিন এই অনেক আকর্ষণীয় পুরস্কার লাইভে উইনার দের নাম ঘোষণা করে।মামা থেকে বিষয় টি জানার পর তাদের ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে কয়েকটি ভিডিও দেখলাম।মামা আমাকে বলছে, তুমি আজ বক্সে টিকিট টি ফেললেই। আজকে লাইভ টি দেখে তুমি অনেক আগ্রহ নিয়ে মজা পেতে। আজকের ৫৬ টি অনেক সুন্দর সুন্দর পুরস্কার ছিল, মোটরসাইকেল ১২ টির মত ।যাই হোক বিষয়টি অদ্ভুত ও আশ্চর্যজনক আবার অনেক মজার ছিলো ।আমাদের ভুলটা, কিন্তু তখন তো আর পেছনে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। সব মিলিয়ে, এটা ছিল একদম আশ্চর্যজনক আর মজার একটা অভিজ্ঞতা,একদম অদ্ভুত একটি ব্যাপার ।

যায় হক মেলার ভিতরে প্রবেশ করার পর কি কি করেছিলাম সেই বিষয়ে পরবর্তী ব্লগ এ শেয়ার করবো ।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি।আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি।আমি আমাদের বাসার পাশেই বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। পাশাপাশি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা যুক্ত রয়েছি ।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি। আমি দীর্ঘ কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।