সাদা মেঘলা আকাশের বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্ৰাফি।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে সাদা মেঘলা আকাশের বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

সময়টা এখন শ্রাবণ মাস। বর্ষাকাল তার আপন ছন্দে প্রকৃতিকে ধুয়ে মুছে এক নতুন রূপে সাজিয়ে তুলেছে। আষাঢ়ের ধারাবাহিকতায় শ্রাবণের আকাশে জমে থাকা সাদা মেঘগুলো যেন আড় মোড়া ভাঙছে, ধীরে ধীরে চলেছে পশ্চিমের দিকে। বাতাসে ভেজা ভেজা ঘ্রাণ, আর মাটির গন্ধ মিশে এক আশ্চর্য প্রশান্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে চারপাশে। এমন এক মুহূর্তে যদি কেউ শহরের কোলাহল ছেড়ে একটু দূরের পথে পা বাড়ায়, তাহলে তার চোখে ধরা পড়ে প্রকৃতির এক নীরব অথচ গভীর ভাষা ।যা অনুভব করা যায়, কিন্তু বোঝানো যায় না।একেক রকম ঋতু একেক রকম সৌন্দর্য নিয়ে উপস্থিত হয়ে যায়।

পার্বতীপুর রোডে পা রাখার মুহূর্তেই মনে হয়, যেন এক অনন্য চিত্রকল্পে প্রবেশ করলাম। রাস্তার দুই পাশে বিস্তীর্ণ সবুজ ধানক্ষেত, মাঝে মাঝে পানি জমে থাকা জমিগুলোয় প্রতিফলিত হচ্ছে আকাশের মেঘের ছবি। মেঘগুলো কখনো তুলোর মতো হালকা, কখনো আবার গাঢ় নীলের ছোঁয়ায় ভারী হয়ে উঠছে। এই মেঘলা আকাশে সূর্যের উপস্থিতি ক্ষণিক, তবুও তার আলো আঁধারির খেলা যেন ধানক্ষেতের সবুজে এক নতুন প্রাণ জোগায়। আর বর্তমান সময়ে প্রকৃতি এক নতুন রূপ নিয়েছে। আর প্রকৃতির এরকম সুন্দর রূপ দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে।আর এরকম সময়ে মেঘ গুলো ছোটাছুটি করে, এই দৃশ্য গুলো একটু বেশি ভালো লাগে আমার কাছে।

এই রোড ধরে যেতে যেতে যে ছবি চোখে পড়ে, তা যেন রূপকথার কোনো দৃশ্য। বিদ্যুতের খুঁটিগুলোও যেন দাঁড়িয়ে আছে এক তালবাজনার মতো, মেঘের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ শুনছে প্রকৃতির গান। গাছগুলো বৃষ্টির পরিমাণ বুঝে মাথা নোয়ায়, আবার বাতাসে দুলে উঠে। কোথাও কোথাও গরু ঘাস খাচ্ছে, আবার কোনো কোন জমিতে জল থৈ থৈ করছে।সেখানে অল্প অল্প চারা রোপণ হয়ে গেছে। মানুষ নেই, অথচ প্রাণ আছে চারদিকে। আসলে প্রকৃতি চলমান।প্রকৃতি কখনো থেমে থাকে না, প্রকৃতি তার নিজ গতিতে এগিয়ে চলছেই এবং চলবে। প্রকৃতির এমন পালাবদল আমাদেরকে আকৃষ্ট করে তোলে। বিভিন্ন ঋতু বিভিন্ন রকম সৌন্দর্য নিয়ে আসে।

এই সময়ে রাস্তায় চলা মানে শুধু এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পৌঁছানো নয়।বরং এ যেন প্রকৃতির ভেতর দিয়ে নিজেকে খুঁজে নেওয়া। মন যেভাবে খুঁজে ফেরে কিছু নিঃশব্দ প্রশান্তি, সেভাবেই এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া একধরনের আত্মশুদ্ধি। সবুজে ভরা পথ, ঝিরিঝিরি বাতাস, মাঝে মাঝে অজানা পাখির ডাক।সব মিলিয়ে মনে হয়, জীবনটা যেন এতটাই সরল হতে পারতো, যদি আমরা একটু সময় করে প্রকৃতির কোলে ফিরে যেতে পারতাম। সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।প্রকৃতি সব সময় আমাদের মন কে আকৃষ্ট করে তোলে।

এই ছবিগুলো ক্যামেরায় বন্দি হলেও প্রকৃতির মায়া কখনো পুরোপুরি ধরা দেয় না কোনো প্রযুক্তিতে। চোখে দেখা এই দৃশ্য, মনের ভেতরে জমে থাকা এক প্রশান্তির সঞ্চার করে। বর্ষাকালের এমন দিনে, আকাশে সাদা সাদা মেঘ ভেসে বেড়ালে মনে হয় যেন আকাশ নিজেই তার গায়ে এক মায়াবী চাদর জড়িয়ে নিয়েছে। সেই চাদর ছুঁয়ে আসে আমাদের ভেতরের অনুভব গুলোকে যা আমরা ব্যস্ত জীবনের ভিড়ে ভুলে যাই।

পার্বতীপুর রোডের এমন রূপ শুধু ভ্রমণ নয়, এক ধরণের ধ্যান। যেখানে প্রতিটি দৃশ্য হৃদয়ে কিছু না কিছু লিখে রেখে যায়। কখনো সেটা একটুখানি ঘ্রাণ, কখনো একটা মুহূর্ত, কখনো শুধুই নিঃশব্দ ভালো লাগা। এই বর্ষা, এই শ্রাবণের দিন, আর এই পথ।সব মিলিয়ে একটা গল্প তৈরি হয়। এমন গল্প, যা একেকজনের মনে একেক রকম রং ছড়ায়, একেক রকম অনুভব জাগায়।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।