ঈদের দিনের আনন্দে প্রয়াস সহায়ক পার্কে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি ।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে দীর্ঘ কয়েক মাস আগে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে ।আজকে আমি আপনাদের সাথে ঈদের দিনের আনন্দে প্রয়াস সহায়ক পার্ক ঘুরে যাওয়ার এক সুন্দর দিনের অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ, আর সেই আনন্দকে দ্বিগুণ করে তোলে।ঈদের দিন শুরু হয় ফজরের নামাজের পর থেকেই। সবার আগে গোসল সেরে নতুন জামা পরার আনন্দটা একেবারে অন্যরকম। ঈদের নামাজ শেষে যখন বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কোলাকুলি করি, তখন মনটা ভরে যায় প্রশান্তিতে। এরপর শুরু হয় মিষ্টিমুখ, সেমাই, ফিরনি আর নানা রকম রান্নার স্বাদ নেওয়ার পালা।

ঈদের দিনটি সবসময়ই আনন্দময় ও বিশেষ কিছু নিয়ে আসে। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হঠাৎ করেই বন্ধু-বান্ধবদের সাথে পরিকল্পনা হলো প্রয়াস সহায়ক পার্ক, ঘাগট, রংপুরে ঘুরতে যাওয়ার। এই আকস্মিক পরিকল্পনাটি আরও বেশি রোমাঞ্চকর করে তুলল পুরো দিনের অভিজ্ঞতাকে।

আমরা সকলেই ১২ টার মধ্যেই একত্রিত হলাম। দীর্ঘ দিন পর একসঙ্গে হতে পেরে সবাই অনেক খুশি। একটি অটোতে আমরা ৭ জন, আমার সঙ্গে আমার ছোট ভাইসহ সবাই মিলে রওনা দিলাম। এক ঘণ্টা পর সেখানে গিয়ে পৌঁছালাম। তারপর পার্কে প্রবেশ করার জন্য প্রবেশের টিকিট কেটে নিলাম এবং ভিতরে প্রবেশ করলাম।

পার্কে পৌঁছানোর পর চারপাশের মনোরম দৃশ্য আর খোলা বাতাস আমাদের মনকে প্রশান্তি দিলো। সবুজে ঘেরা পরিবেশ, ছোট-বড় নানা রাইড আর আনন্দে মেতে ওঠা মানুষের ভিড় পুরো পার্ককে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছিল।

আমাদের পুরো দল একসাথে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি প্রচুর ছবি তুললো, যা আমাদের স্মৃতির অ্যালবামে নতুন কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত যোগ করলো। এরই মাঝে আইসক্রিম, ফুচকা, চটপটি আর বিভিন্ন মজাদার খাবার খাওয়ার ধুম লেগে গেলো। ঈদের আনন্দে সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করাটা সত্যিই বিশেষ কিছু।

বিকেলের দিকে আমরা পার্কের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করলাম, বিশ্রাম নিলাম ছায়াঘেরা স্থানে, আর গল্প-গুজবে মেতে উঠলাম। সময় যেন চোখের পলকে কেটে গেলো! ভ্রমণের শেষে, যখন সূর্য ডুবে যাচ্ছিল, আমরা ফিরে আসলাম বাড়ির দিকে। কিন্তু মনে ছিল এক অন্যরকম শান্তি এবং প্রশান্তি, যা পার্কের পরিবেশ আর বন্ধুবান্ধবীদের সঙ্গে কাটানো সময়ের জন্য ছিল বিশেষ। ঈদের মতো উৎসবে এভাবেই প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে এক অমূল্য অভিজ্ঞতা হয়ে উঠলো এই ভ্রমণ।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম, সঙ্গে নিয়ে অসংখ্য মজার মুহূর্ত আর আনন্দের স্মৃতি ।

এই অপ্রত্যাশিত ভ্রমণটি সত্যিই এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। ঈদের খুশি বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নেওয়া, পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করা আর একসাথে আনন্দে মেতে ওঠার এই স্মৃতিগুলো আমাদের মনে চিরদিন অমলিন হয়ে থাকবে।

প্রতিটি ঈদই নতুন নতুন স্মৃতি যোগ করে জীবনের খাতায়। আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করা, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরাঘুরি, প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া সব মিলিয়ে এবারের ঈদটাও দারুণ কেটেছে। ঈদের আনন্দ শুধু নিজের জন্য নয়, বরং সবাই মিলে ভাগাভাগি করলেই তা পরিপূর্ণ হয়।

_{[বি দ্র : ফটোগ্রাফি গুলো আমার ও আমার বন্ধুদের ফোন থেকে নেওয়া। ]}

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।