কয়েকটি ছোট্ট ছোট্ট মুরগির বাচ্চার ফটোগ্রাফি ।।

🥰..আসসালামুয়ালাইকুম ..🥰

🥰..এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব..💗🙏।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার কয়েকটি ছোট্ট ছোট্ট মুরগির বাচ্চার ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমার মুরগি টি কয়েক দিন আগে ১৭ টি বাচ্ছা ফুঠিয়েছে। আমার কাছে ছোট বাচ্চা গুলো হাত দিয়ে ধরতে খুব মজা লাগে। তাই এক এক করে কয়েকটি মুরগির বাচ্চা হাতে নিয়ে ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করেছি। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে বলে!

ছোট্ট ছোট্ট প্রাণীরা সব সময় আমাদের মন মুগ্ধ করে। আর মুরগির বাচ্চাগুলো তার মধ্যে অন্যতম একটি । তাদের মিষ্টি আচরণ, নরম পালক, এবং নানান রঙের বৈচিত্র্য যে কোন ফটোগ্রাফির জন্য একটি আদর্শ বিষয় ।মুরগির বাচ্চা গুলোর আচরণ খুবই মিষ্টি এবং দুষ্টুমি পূর্ণ। তারা প্রায়ই একে অপরের সাথে খেলা করে, ছোট ছোট পদক্ষেপ নেয় এবং তাদের মায়ের পেছনে অনুসরণ করে চলে। তাদের অতি আগ্রহী প্রকৃতি দেখে অনেক সময় মনে হয়, তারা যেন পৃথিবীটিকে নতুনভাবে আবিষ্কার করছে। এছাড়া, মুরগির বাচ্চাদের মাঝে স্নিগ্ধ এক ধরনের আলাদা সম্পর্ক থাকে। যখন একে অপরের কাছে থাকে, তারা খুব শান্ত এবং একে অপরের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলে। আবার যখন তাদের খিদা লাগে তখন তারা চ্যাঁচামেচি সুরু করে ।

সাদা, কালো, সোনালী রঙের নরম পালক এবং ছোট ছোট পা তাদেরকে একেবারে অবর্ণনীয় সুন্দর করে তোলে। মুরগির বাচ্চাগুলোর প্রতি আমাদের আকর্ষণ নিঃসন্দেহে তাদের নির্দোষতা এবং অদ্ভুত খুশির মাঝে থাকে।প্রকৃতির ছোট্ট সুন্দর মুহূর্তগুলো মাঝে মাঝে আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। সাদা, কালো, লাল রঙের ছোট্ট মুরগির বাচ্চা আমাদের খুবই আনন্দ দেয়। এবং তাদের হাত দিয়ে ধরে ধরে ফটোগ্রাফি করা আমার কাছে ভীষণ সুন্দর অভিজ্ঞতা প্রকাশ সৃষ্টি হয়েছে।

মুরগির বাচ্চা গুলোতে নানা রঙের বৈচিত্র্য দেখতে পাওয়া যায়। সাদা, কালো, লাল মিশ্রণ তাদের আলাদা সৌন্দর্য তৈরি করে। এই রঙ গুলো ক্যামেরায় ছবি তোলার সময় খুবই আকর্ষণীয় এবং সুন্দরভাবে ফুটে ওঠেছে। ছোট মুরগির বাচ্চা সাধারণত কোমলতা এবং শান্তির অনুভূতি সৃষ্টি করে তাদের হাতে নেওয়ার পর ।মুরগির বাচ্চাগুলো খুব তাড়াতাড়ি চলে,মুরগির বাচ্চাদের ছবি তুলতে গিয়ে আমার মধ্যে একটি আবেগ জনক সংযোগ তৈরি হয়েছিল। তাদের দুষ্টুমি, শূন্যতা, এবং নির্ভীকতার মতো বৈশিষ্ট্যগুলি ছবিতে ফুটে তুলেছি ।

মুরগির বাচ্চার সৌন্দর্য শুধু আমাদের চোখেই আনন্দ দেয় না, বরং তাদের ছবি তোলার মাধ্যমে আমরা তাদের সৌন্দর্য চিরকাল ধরে রাখতে পারি। ছোট্ট এই প্রাণীটির প্রতিটি পদক্ষেপ, খাওয়ার সময়, বা একে অপরের সাথে খেলার মুহূর্তগুলি খুবই প্রাকৃতিক এবং হৃদয় গ্রাহী। সাদা, কালো বা সোনালী রঙের পালক এবং তাদের ছোট্ট দেহে অগণিত আবেগের ছবি ক্যামেরায় ধারণ করতে পারতেছি, এটি সত্যিই একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি।আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি।আমি আমাদের বাসার পাশেই বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। পাশাপাশি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা যুক্ত রয়েছি ।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি। আমি দীর্ঘ কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।