🥰..আসসালামুয়ালাইকুম ..🥰

🥰..এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব..💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে হটাৎ বাসার রাইস কুকার নষ্ট হয়ে যাওয়ায়, আম্মুর সঙ্গে নতুন রাইস কুকার কিনতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

আজকের দিনে, রাইস কুকার এমন একটি যন্ত্র, যা আমাদের প্রতিদিনের রান্নার কাজকে অনেক সহজ করে দেয়।এটা এমন একটি জিনিস, যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে অনেক সহজ করে তোলে। প্রতিদিন সকালে কিংবা দুপুরে রান্নার সময় এটা আমাদের একান্ত সঙ্গী হয়ে ওঠে। কিন্তু, হঠাৎ যদি রাইস কুকারটি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে যে অনুভূতি হয়, সেটা বর্ণনাতীত । আজকে যখন সকাল বেলায় আমাদের রাইস কুকার নষ্ট হয়ে গেলো। আম্মু প্রথমে বুঝতেই পারছিলাম না ভাত বছিয়ে অন্যান্য কাজ করছে ‌।দীর্ঘ সময় পর ভাত হয়েছে কি না, দেখার জন্য কুকারের কাছে গিয়ে দেখতে পায় ভাত হয়নি রাইস কুকার নষ্ট হয়েছে গিয়েছে।

তারপর আম্মু আব্বুকে ডাকে, কুকারটি দেখার জন্য। আম্মু ভাবছিল হয়তো কারেন্ট এর লাইনের কিছুটা সমস্যা হয়েছে। কিন্তু না, কারেন্ট এর লাইন ঠিক আছে , রাইস কুকারটায় কাজ করছেই না। প্রথমে তো আম্মু চিন্তিত হয়ে পড়লো, বিশ্বাস করতে পারতেছে না। এ যে এমন একটি অতি প্রয়োজনীয় জিনিস,হঠাৎ করে নষ্ট হয়ে যাবে, সেটা কল্পনাতেও আসেনি। তারপর গ্যাসের চুলায় রান্না বান্না করে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আম্মু এসে বলল, “চল" নতুন রাইস কুকার কিনতে যাই। এটা আর ঠিক হবে না , তিন বছর থেকে ব্যবহার করছি ইলেকট্রনিক জিনিস আর কত চলবে।

তারপর মা মেয়ে রেডি হয়ে, আমাদের বদরগঞ্জ মার্কেটে এ চলে যায়। আমাদের বাসা থেকে মার্কেটে যেতে ১০ মিনিট সময় লাগে। তৎক্ষণিক এর মধ্যে মার্কেটে এ প্রবেশ করি । তারপর আমাদের পরিচিত একটি দোকান এ গিয়ে ভালো মানের একটি রাইস কুকার বের করতে বলি।প্রথমে দেখলাম অনেক রকম রাইস কুকার। কিছু ছিল আধুনিক ডিজাইনে, কিছু ছিল একটু পুরনো স্টাইলের। আমি চেষ্টা করলাম বুঝতে, কোনটা বেশি সুবিধাজনক হবে আমাদের জন্য। এক সময় আম্মু বলল, একটা ভালো, দামও ঠিকঠাক, এবং দীর্ঘদিন চলবে এইরকম ডিজাইনের বের করেন।দোকানদার আম্মুর কথা মত দুইটি রাইস কুকার বের করে দেয়।

এরপর আম্মু রাইস কুকার দুইটি কারেন্টের লাইন দিয়ে দোকানদার আমাদের চেক করে দেখালো। লাল ও নীল রঙের রাইস কুকারের বাইরের কালার । আম্মু সেখানে থেকে লাল কালার টি সিলেট করলো। তারপর দোকানদার আমাদের রাইস কুকারের ভিতরে থাকা সব জিনিসপত্র বুঝিয়ে দিলো। তারপর রাইস কুকারের প্যাকেটের ভিতরে ঢুকিয়ে ,একটি রশি দিয়ে বেঁধে আমাদের হাতে ধরিয়ে দিল। এরপর রাইস কুকারের দাম কত সেটা শুনে, দোকানদার কে টাকা দিয়ে দিলো আম্মু। যেহেতু চিনা পরিচিত দোকান তাই দাম নিয়ে দামাদামি করতে হয়নি ।২৬০০ চেয়েছে আম্মু ২৫০০ টাকা দিয়ে দেয় , তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে বাসায় উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

এভাবেই যখন কাটল বেশ কিছু সময়, আমি উপলব্ধি করলাম নতুন রাইস কুকার কেনার অভিজ্ঞতা শুধু একটি জিনিসের ক্রয় নয়, বরং একটি স্মৃতি তৈরি করারও বিষয়। আম্মু তার পুরনো অভিজ্ঞতা এবং ভালোলাগা অভিযোগের সঙ্গে নতুন রাইস কুকারটি বেছে নিলো। শেষে, আমরা একটি মডেল কিনলাম, যা তার কাছে সবচেয়ে সুবিধাজনক মনে হলো।এমনকি, বাসায় এসে যখন নতুন রাইস কুকার সেটআপ করলাম, তখন আম্মু প্রথম রান্না করার পর বললো, "এটা তো বেশ ভালোই" । তার হাসিমুখ দেখে আমি বুঝলাম, এই নতুন রাইস কুকার কিনার ট্রিপ ছিল একদম সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। আমিও অনেক আনন্দিত, কারণ আম্মু তার পুরনো রান্নার অভিজ্ঞতা নিয়ে নতুন কিছু শিখলো এবং নতুন রাইস কুকার আমাদের জন্য নতুন সুবিধা নিয়ে এলো।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি।আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি।আমি আমাদের বাসার পাশেই বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। পাশাপাশি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা যুক্ত রয়েছি ।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি। আমি দীর্ঘ কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।