লাইফ স্টাইলঃ-পরিবারের সবাই মিলে ঊর্মি বিজিবি ক্যাফে তে খাওয়া দাওয়া।
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। তবে ব্যস্ততার মধ্যে দিনগুলো যাচ্ছে। সকাল থেকে একটু ব্যস্ত ছিলাম আবার দুপুরে ডাক্তার দেখাতে গেলাম। ডাক্তার দেখাতে গিয়ে আরেক বিড়ম্বনা। যেতে বলল দুইটাই ডাক্তার আসল চারটায়। সেখান থেকে এসে ইফতারি খাওয়া দাওয়া করে এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পরে আবারো পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আসলে দিন যতই যাচ্ছে ব্যস্ততা যেন শেষ হচ্ছে না। দিনের পর দিন আমরা ব্যস্ততার মধ্যে পড়ে যাচ্ছি। হয়তো জীবন এমনই ব্যস্ততা এবং একটু হালকা ফ্রি আবারও ব্যস্ততা নিয়ে এভাবে আমাদের জীবন গুলো কাটতে হয়। এই শত ব্যস্ততার মাঝে আমাদেরকে জীবনের ভালো মন্দ বিষয়গুলো খুঁজে নিয়ে জীবন গুলো উপভোগ করতে হয়। মানুষের জীবনে সংগ্রামের শেষ নেই। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। পোস্ট শেয়ার করে আবারও টেস্ট দিতে যেতে হবে তাই পোস্ট শেয়ার করে নিচ্ছি। বন্ধুরা আজকে আমি যে টপিকস নিয়ে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি তা অবশ্যই দেখে বুঝতে পারছেন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রেস্টুরেন্টে কাটানো একটি সুন্দর মুহূর্ত। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি ফ্রি সময় পেলে বাইরে ঘোরাঘুরি করার। তবে প্রতিনিয়ত সময় সুযোগ হয় না কিংবা ইচ্ছে করে না বের হতে। কিন্তু মাঝেমধ্যে যখন সময় সুযোগ পাই তখন চলে যাই বাইরে ঘুরতে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী সমুদ্র সৈকত থাকার কারণে সেখানে বেশি যাওয়া হয়। আর বের হলে তো বুঝতে পারছেন ঘোরাঘুরি করা সেই সাথে পছন্দের খাবারগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে আমাদের পছন্দের কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেগুলোতে প্রতিনিয়ত খেতে ইচ্ছে করে এবং সেখানকার খাবার গুলো খুবই মজার হয়। বেশ কিছুদিন আগে যখন সময় পেয়েছিলাম পরিবারের সবাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গেছিলাম।
বিশেষ করে সমুদ্র সৈকতে হাটাহাটি করার জন্য গিয়েছিলাম। যেহেতু অনেকদিন বাসায় ছিলাম ভালো লাগছিল না। আর বাচ্চারাও আমার কাছে অনেক বেশি আবদার করছিল বের হওয়ার জন্য। কিন্তু অসুস্থতার কারণে ছকদম বের হওয়া যাচ্ছে না। তাই বাচ্চারা অনেক বেশি মন খারাপ করছিল। আর আমারও তেমন ভালো লাগছিল না। তাই মেয়েদেরকে নিয়ে রেডি হয়ে একদিন সন্ধ্যার মুহূর্তে সমুদ্র সৈকতে চলে গিয়েছিলাম হাটাহাটি করার জন্য। আমি একটা বিষয় সবসময় আপনাদের সাথে শেয়ার করি সেটা হচ্ছে যখন আমি সমুদ্র সৈকতে যাই একটু সূর্যাস্ত যাওয়ার আগে যাওয়ার চেষ্টা করি। কারণ সেখানকার মুহূর্তগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে উপভোগ করতে পারলে। আর আপনারা তো জানেন আমরা যেহেতু ব্লগিং করি ফটোগ্রাফি গুলো করার চেষ্টা করি।
তাই রেডি হয়ে একটা অটো নিয়ে সমুদ্র সৈকতে চলে যাই। সেখানে অনেকক্ষণ সময় কাটাই এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্যগুলো উপভোগ করি। সেখান থেকে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছিলাম। সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম।আর সমুদ্র সৈকতে গেলে ঝাল মুড়ি খাব না কিংবা চটপটি খাব না তা কি করে হয়। তাই সেখানে বসে অনেক মজার ভাজা বাদাম, ছোলা ভাজা খেয়েছিলাম আর ঝালমুড়ি খেয়েছিলাম। সবচেয়ে মজার খাবার হচ্ছে ফুচকা খেয়েছিলাম। কিন্তু অবশেষে বাচ্চাদের পছন্দের খাবার খাওয়াতে হবে চিকেন এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। তাই সমুদ্র সৈকতের পার্শ্ববর্তী রেস্টুরেন্ট ঊর্মি রেস্টুরেন্টে চলে যাই। উর্মি বিজিবি ক্যাফে রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো আমার খুবই ভালো লাগে।
বিশেষ করে এই রেস্টুরেন্টে খোলামেলা পরিবেশ হওয়ার কারণে সেখানে শীতল বাতাস গায়ে লাগে আর সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করা যায়। সেজন্য বেশিরভাগ সময় উর্মি বিজিবি ক্যাফেতে বসার চেষ্টা করি। সেখানে সোজা চলে গিয়ে বসে পড়লাম এবং খাবারের মেনু দেখে বাচ্চাদের জন্য খাবার অর্ডার করে নিলাম। বাচ্চারা তো চিকেন ফ্রাই খাবে আর সাথে ফ্রেন্স ফ্রাই খাবে তাই তাদের জন্য এই দুটি খাবার অর্ডার দিলাম। আর আমার জন্য ঝাল ঝাল এক বাটি চটপটি অর্ডার করে নিলাম। বেশ কিছুক্ষণের মধ্যে খাবার গুলো চলে আসে। ততক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম। খাবারগুলো যেহেতু রেডি করতে সময় নেবে তাই চারপাশের দৃশ্য গুলো দেখছিলাম।
ঊর্মি বিজিবি ক্যাফের পাশে এখন আরেকটি নতুন রেস্টুরেন্ট ওপেন করা হয়েছে সেটা হচ্ছে সীমান্ত ক্যাফে। যদিও একদম পাশাপাশি হওয়ার কারণেই এক জায়গায় গেলে দুই জায়গায় ঘোরাঘুরি করা যায়। তাই এই রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো রেডি হওয়ার যতটুকু সময় বাকি ছিল তখন সীমান্ত ক্যাফে তে গিয়ে ঘুরাঘুরি করছিলাম। সেখানকার বাইরে প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো খুবই সুন্দর। ফুলের বাগান এবং ডেকোরেশন সবকিছু দেখে খুবই ভালো লাগছিল। রাতের দৃশ্যের লাইটের আলোতে সুন্দর সুন্দর ফুল গাছের দৃশ্য গুলো সংগ্রহ করেছিলাম। সেই সাথে চারপাশের দৃশ্য গুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
চারপাশে দৃশ্যগুলো দেখেই যখন বুঝতে পারলাম যে আমাদের খাবারগুলো চলে আসে তখন আমরা খাবার খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে গেলাম। খাবার গুলো গরম গরম খেতে খুবই ভালো লাগছিল। যেহেতু বাচ্চাদের পছন্দের খাবার বাচ্চারা দেখে বেশ খুশি মনে হল। তারা খুব খুশি হয়ে গেল তাদের পছন্দের খাবারগুলো খেয়ে। চিকেন ফ্রাই খাচ্ছিল আর আমি ঝাল ঝাল চটপটি খাচ্ছিলাম। সব খাওয়া-দাওয়া শেষ করার পরে আমাদের চলে আসার পালা। যেহেতু খাবার গুলো অর্ডার দেওয়ার আগেই পেমেন্ট গুলো করে নিতে হয় তখন খাওয়ার পরে আর পেমেন্ট করার কোন ঝামেলা থাকে না।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারও বীচের কর্নার দিয়ে হাটা শুরু করে দিলাম। ঊর্মি বিজিবি ক্যাফে থেকে হেঁটে সোজা লাবনী দিকে চলে যাই। আর সেখান থেকেই একটি অটো নিয়ে আমরা আমাদের গন্তব্য স্থলে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করি। অবশেষে আমরা আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাই। কিন্তু স্মৃতির পাতায় সেই স্মৃতিগুলো থেকে যাই। বিশেষ করে ফোনের গ্যালারিতে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। যখন সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখি তখন সেই স্মৃতিগুলো অনেক বেশি মনে পড়ে যায়। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকে শেয়ার করা খাওয়া দাওয়ার মুহূর্তটি আপনাদের ভীষণ ভালো লাগবে। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ডিভাইসের নাম | Wiko-T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Post 1
https://x.com/heranahar148614/status/1903475943232151674?t=W9w1vXF2haaLSiqDEe0zIg&s=19
Post 2
https://x.com/heranahar148614/status/1903476724496764948?t=R_f5BNrQsyEisShhbunCkw&s=19
Post-3
https://x.com/heranahar148614/status/1903520988924633477?t=zhe6e71Di3n_wswPCSlifw&s=19
Twitter
https://x.com/heranahar148614/status/1903524680478429195?t=mpqNxZKFu57yA3-ol6l0qQ&s=19
আপনার এই সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। পরিবারের সবাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়া করা, সমুদ্র সৈকতে হাঁটা, এবং ঝাল মুড়ি ও ফুচকা খাওয়া যেন একটি অসাধারণ সময় কাটানোর মুহূর্ত। উর্মি বিজিবি ক্যাফে এবং সীমান্ত ক্যাফের মতো রেস্টুরেন্টে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করাটা অনেকই ভালোবাসে। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেই মুহূর্তগুলো আরো জীবন্ত হয়ে ওঠেছে।
ভালো লাগলো আপু গঠন মূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য।