'সাজানো সংসার গল্পের একাদশ পর্ব'
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে সাজানো সংসার গল্পের একাদশ পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, গল্পের একাদশ পর্বটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
সোর্স
রাকেশ ও প্রদীপ স্নান করে বাড়িতে ফিরে পরিবারের সবাই একসঙ্গে খেতে বসে। হঠাৎ তখন প্রদীপ বলল আমি নিচে বসে খেতে পারব না। তখন তার মা বলে, কেন রে প্রদীপ আমরা সবাই নিচে বসে খাওয়া দাওয়া করি। প্রদীপ বলে, আগে নিচে বসে খেতে পারতাম কিন্তু এখন চেয়ার টেবিলে বসে খেতে খেতে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। তখন রাকেশ বলে, মা মানুষ অভ্যাসের দাস আমরা নিচে বসে খেতে খেতে অভ্যস্ত কিন্তু প্রদীপ শহরে থাকে চেয়ার টেবিলে বসে খাওয়া দাওয়া করে। প্রদীপ ভাই আমার তুই চিন্তা করিস না আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। প্রদীপ লক্ষ্মীকে বলে, চলো তো আমাদের ঘরের টেবিল আর চেয়ারটা নিয়ে আসি। লক্ষ্মী ঘরের ভেতরে যেয়ে রাকেশকে বলে, শহরে থাকলে মানুষ পরিবর্তন হয় কিন্তু প্রদীপ এতটা পরিবর্তন হবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি। জানো প্রদীপ বাড়িতে এলে আমি ওকে খাবার খেতে দেই কিন্তু ও আমায় বলল খাবারগুলো নাকি নোংরা। রাকেশ বলে, তুমি কেন বোঝ না ওর শহরে বাতাস লেগেছে, তাই এমনটা হয়েছে তুমি এ নিয়ে মন খারাপ করো না তো। এরপর চেয়ার টেবিলে প্রদীপ কে খেতে দেয়। প্রদীপ খেতে খেতে রাকেশ কে বলে, দাদা কি জন্য আমায় ডেকেছো তুমি তো বললে না? রাকেশ বলে, সময় তো রয়েছে আগে নিশ্চিন্তে দুটো ভাত খেয়ে একটু বিশ্রাম নে তারপর বলব সব কথা। প্রদীপ বলে, কি হয়েছে বলোতো? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না এত আদর যত্ন কিছু ভালো লাগছে না আমার। তখন তার মা বলে, প্রদীপ তুই চুপ করে ভাত খা।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রদীপ রুমে যেয়ে একটু বিশ্রাম নেয়। তখন রাকেশ কিছু কাগজ নিয়ে প্রদীপের কাছে যায়। প্রদীপ কে ডাক দিয়ে বলে ঘুমিয়ে পড়েছিস নাকি? প্রদীপ বলে, না ঘুমায়নি এসো ভেতরে। রাকেশ ভিতরে এসে প্রদীপকে বলে এই কাগজ গুলোতে কিছু স্বাক্ষর করে দে। প্রদীপ বলে, এসব কিসের কাগজ আমি তো কিছুই বুঝছি না। তুমি কি আমার কাছ থেকে সহায় সম্পত্তি লিখে নিচ্ছো?রাকেশ বলে, একি বলছিস তুই আমি তোর সঙ্গে এতটা ও ছলনা করতে পারবো না। তুই তো শিক্ষিত ছেলে পড়াশোনা জানিস তুই কাগজের লেখাগুলো পড়লে বুঝতে পারবি। এরপর প্রদীপ কাগজগুলো নিয়ে পড়তে শুরু করে। তখন হঠাৎ তার ফোনে ফোন আসে। ফোনটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রদীপ বলে, আমার এখনই বের হতে হবে। প্রদীপের তাড়াহুড়া দেখে রাকেশ বলে কি হয়েছে কোন সমস্যা? প্রদীপ বলে, এখন পড়ার সময় নেই আমি এই কাগজ পড়ে তোমাকে স্বাক্ষর করে দিব। এ বলে প্রদীপ চলে যেতে লাগে তখন রাকেশ পেছন থেকে ডেকে বলে কাগজগুলো তোর সঙ্গে নিয়ে যা, স্বাক্ষর করে তোর কাছেই রেখে দিবি। প্রদীপ কাগজগুলো নিয়ে শহরে উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟