'তোমাকে ছোঁয়ার সাধ্য আমার নেই' গল্পের দ্বিতীয় পর্ব।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে 'তোমাকে ছোঁয়ার সাধ্য আমার নেই' গল্পের দ্বিতীয় পর্ব উপস্থাপন করছি। আশা করি, গল্পের দ্বিতীয় পর্বটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
সোর্স
মেয়েটি অনেকক্ষণ ধরে চিৎকার করতে থাকে কিন্তু সেদিন রাস্তাটা ফাঁকা ছিল। যার কারণে কেহ তার চিৎকার শুনে এগিয়ে আসছিল না। চিৎকার করতে করতে হঠাৎ মেয়েটি রাজুর দিকে তাকায়। মেয়েটি আবারও দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে কিন্তু সে দেখতে পায় গাড়ির ভেতরে থাকা ব্যক্তিটি অচেতন হয়ে পড়ে আছে। এটি দেখে মেয়েটি একটু ঘাবড়ে যায় কারণ আশেপাশে কাউকেই দেখা যাচ্ছিল না। সে মনে মনে ভাবতে থাকে হয়তো সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। যার কারনে সে আমাকে সাহায্য করতে পারেনি কিন্তু এখন আমার তাকে সাহায্য করা উচিত। তাই সে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে সংবাদ দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ সেখানে এসে উপস্থিত হয়। মেয়েটি পুলিশকে সব ঘটনা খুলে বলে এরপর পুলিশ রাজুর গাড়ির দিকে যায়। পুলিশ দেখেই চিনতে পারে রাজাকে। তখন পুলিশ হেসে দিয়ে মেয়েটিকে বলে আসলে সে অসুস্থ নয় সে এই সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তান। অনেক সময় নেশাগ্রস্থ হয়ে পথে এভাবে পড়ে থাকে। আপনার মত অনেকেই ফোন করে তারপর আমরা এসে একে উদ্ধার করি। আপনি নিশ্চিন্তে বাড়িতে যেতে পারেন আমরা এর দায়িত্ব নিচ্ছি।
এরপর মেয়েটি সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে যায়। আর রাজুকে পুলিশ নিয়ে যায় থানায়। সকাল হতেই রাজুর জ্ঞান ফিরে। জ্ঞান ফিরে দেখতে পায় সে থানায় রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসা করে আমি এখানে কিভাবে এলাম আমি তো গাড়িতে ছিলাম? তখন পুলিশ অফিসার রাজুকে বলে, তুমি নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়িতে ছিলে। তুমি যখন নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়িতে ছিলে তখন একটি মেয়ে তোমাকে দেখতে পায় তারপর সে আমাদেরকে ফোন করে আমরা যে তোমাকে এখানে নিয়ে আসি। রাজু বলে,আমাকে ছেড়ে দিন আমি বাড়িতে যাব। পুলিশ অফিসার রাজুকে বলে,একটু ওয়েট করো তোমার বাবাকে ফোন করেছি তোমার বাবা আচ্ছে। রাজু বলে, স্যার যে মেয়েটি আপনাকে ফোন করেছিল তার ঠিকানা আমাকে দিতে পারবেন? পুলিশ অফিসার বলে, আমাদের কাছে ওনার কোন ঠিকানা নাই।
কিছুক্ষণ পর রাজুর বাবা এসে রাজুকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। রাজুর বাবা রাজুকে বলে, কেন করছ এসব নিজের জীবনটাকে এমন ভাবে নষ্ট করে দিও না? তোমার তো কোনো কিছুরই অভাব নেই তাহলে কেন তুমি নিজের জীবনটাকে নষ্ট করেছ? তোমার জন্য সমাজে আমি কারো সামনে মুখ দেখাতে পারি না। তোমাকে আমরা খুব ভালোবাসি তুমি ফিরে এসো সুন্দর জীবনে। রাজু তার বাবার কোন কথার উত্তর দেয় না শুধু শুনে যায়। রাজু বাড়িতে এসে রাতের কথাগুলো ভাবতে থাকে। আর মনে মনে ভাবতে থাকে কাল আমি যদি নেশা না করতাম তাহলে হয়তো মেয়েটির এত বড় সর্বনাশ হতো না। মেয়েটিকে আমার খুঁজে বের করতেই হবে তার কাছে আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে। এই ভাবতে ভাবতে সে আবার বেরিয়ে পড়ে তার গাড়ি নিয়ে সেই মেয়েটিকে খোঁজার জন্য। এটা ছিল তার পাগলামি কারণ সে মেয়েটিকে ভালোভাবে চেনে না,না তার ঠিকানা। সারাটা দিন কেটে যায় মেয়েটিকে খুঁজতে খুঁজতে কিন্তু সে কোথাও খুঁজে পায় না।
একদিন রাজু তার বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় আড্ডা দিচ্ছিল। তখন একটি মেয়ে তাদের পাশ থেকে হেঁটে যায়। তখন রাজুর এক বন্ধু রাজুকে বলে দেখ রাজু কত সুন্দর একটি মেয়ে যাচ্ছে। রাজু সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুর ঘাড়ে হাত দিয়ে মেয়েটিকে দেখে সিটি দেয়। রাজু এবং রাজুর বন্ধু তারা মেয়েটির পিছু নিতে শুরু করে। মেয়েটি বুঝতে পারে তার পিছনে কিছু ছেলে আসছে তাই সে জোরে জোরে হাঁটতে শুরু করে। তখন রাজু মেয়েটির উদ্দেশ্যে বলে, এত জোরে জোরে হাঁটছো কেন সুন্দরী? আমার হাতটা ধরে হাঁটবে সুন্দরী? একা চলেছ আমাদের সঙ্গে চলো রেস্টুরেন্টে দামি খাবার খাওয়াবো। মেয়েটি রাগান্বিত কন্ঠে বলে বেয়াদব। রাজু তখন হাসতে থাকে আর বলতে থাকে। সুন্দরী তোমার কন্ঠটা খুবই মিষ্টি। আমি তো বেয়াদব তোমার ছোঁয়া পেলে ভালো হয়ে যাব 😄😄😄। মেয়েটি হাঁটতে থেকে আর বলতে থাকে ঘরে কি তোদের মা বোন নাই। তখন রাজুর বন্ধুরা মেয়েটিকে বলে, মা বোন রয়েছে কিন্তু তুমি তো নেই। চলনা সুন্দরী আমাদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাবে। মেয়েটি বলে মুখ সামলে কথা বল মেরে মুখ ভেঙ্গে দিব। মেয়েটি এই বলার সঙ্গে সঙ্গে রাজু মেয়েটির হাত ধরে। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি ঘুরে রাজুর গালে চড় বসিয়ে দেয়।
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟