শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ভ্রমণ পর্ব: ১০
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি,আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ভ্রমণের দশম পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
ঘুরতে ঘুরতে দেখতে পেলাম আমাদের কলকাতার গ্রাম্য পরিবেশ। প্রাচীনকালে পশ্চিম বাংলার মানুষ কিভাবে জীবন জীবিকা করত তার একটি চিত্র কিন্তু এখানে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে সুন্দর একটি চিত্র দেখতে পেলাম যেটি আমাকে খুব আকর্ষণ করছিল সেটি হল পালকি। গল্পের বইতে পড়েছি আগে বিয়েতে নতন বধুকে পালকিতে চড়ে নিয়ে আসা হতো। কিন্তু এখনকার যুগে এই পালকির ব্যবহার দেখা যায় না। আধুনিক যুগে যেমন নতন বধুকে গাড়িতে সুন্দর করে সাজিয়ে আনা হয়। তেমনটি প্রাচীনকালে এই ছোট্ট ঘরটিকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে নতন বধুকে আনা হত। এই ভাস্কর্যটি দেখার জন্য এখানে প্রচুর লোক ভিড় করেছিল। পালকিতে একটি বধু ছিল লাল শাড়ি পড়ে। পালকিতে চড়ে নতন বধু হেলেদুলে যাচ্ছিল শ্বশুরবাড়িতে। এই পার্কটিতে গেলে আপনারা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পাথরের ভাস্কর্য দেখতে পারবেন।
ঘুরতে ঘুরতে আমরা পার্কের শেষ প্রান্তে চলে এলাম। এখানে রয়েছে একটি বাউল সংগীতের মঞ্চ। এই মঞ্চে বিভিন্ন জায়গা থেকে বড় বড় বাউল শিল্পীরা এসে অনুষ্ঠান করে থাকেন। বাউলের এই মঞ্চটি বিভিন্ন শিল্পচিত্র দিয়ে সাজানো গোছানো ছিল। পার্কের ভেতরে ঘুরতে ঘুরতে আপনার ক্ষুধা লেগে কোন প্রবলেম নেই কারন এখানে রয়েছে খাবারের দোকান। খাবারের দোকানটি রয়েছে পূর্ব প্রান্তে এখানে আপনারা বিভিন্ন ধরনের খাবার পেয়ে যাবেন। কিন্তু প্রবলেম হলো বাইরের খাবারের দামের তুলনায় এখানের খাবারের দাম টা একটু বেশি। আমাদেরও ঘুরতে ঘুরতে একটু ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল ভেবেছিলাম এখান থেকে কিছু খেয়ে নিব কিন্তু দামের কথা চিন্তা করে আমরা খেতে পারলাম না। আমরা সেখান থেকে একটি জলের বোতল কিনলাম জল খেয়ে সেখানে একটু রেস্ট নিয়ে নিলাম।
আপনাদের একটা কথা জানিয়ে রাখি এই পার্কের ঢোকার প্রথম পর্বে আমি আপনাদের বলেছিলাম এখানে কিন্তু আরেকটি বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। আমরা কিন্তু সেই বৌদ্ধ মূর্তির কাছেই বিশ্রাম নিয়েছিলাম। আমার কাছে এই বৌদ্ধ মূর্তিটি প্রথমটির থেকে অনেক বড় মনে হয়েছে। শান্তিনিকেতনে আসলে আপনারা এই দুইটি বৌদ্ধ মূর্তির কথা অবশ্যই শুনতে পারবেন। এই বৌদ্ধ মূর্তি কিন্তু একই স্থানে নয় আলাদা আলাদা স্থানে অবস্থিত। একটি হলো সাজির হাটে আরেকটি হল সৃজনী শিল্প গ্রাম পার্কটিতে। শান্তিনিকেতনে ঘোড়ার অনেক জায়গা রয়েছে আমরা কিন্তু সব কয়টি জায়গা ঘুরে আসতে পারেনি। কারণ অল্প সময়ে সবকটি জায়গা ঘুরে আসা সম্ভব নয়। এই পার্টির পাশেই ছিল ডিকো পার্ক ভেবেছিলাম সময় থাকলে ডিকো পার্কে যাব। কিন্তু এই সৃজনী শিল্প গ্রাম পার্কটি এত বড় যে এখানে একটা দিন পার হয়ে যাবে।
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:২৫.১২.২০২৪
সময়:০৪.৩৪ মিনিট
স্থান:শান্তিনিকেতন
শান্তিনিকেতনে আসলে আপনারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন সৃজনী শিল্প গ্রাম এই পার্টিতে একটিবার আসতে। কারণ এখানে আসলে আপনি অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন। আর খুবই সুন্দর মনোরম পরিবেশ একেবারে গ্রাম্য পরিবেশটাকে এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই পার্কটিতে আসতে পেরে অনেক জানা-অজানা অনেক কিছু জানতে পারলাম এবং খুবই ভালই লেগেছিল।
মেলা ভ্রমণের পাশাপাশি আপনি অনেক ফটোগ্রাফি করে আমাদের বেশ কিছু জিনিস দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনার এমন চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক কিছু দেখার সুযোগ হলে।
আপনার এই পর্বের পোস্ট টি পড়ে এবং সাথে বেশ অনেকগুলো ছবি দেখে ভীষণ ই ভালো লাগলো। জানিনা কখনো শান্তিনিকেতনে যাওয়া হবে কি না। তবে জায়গাটার প্রতি একটা টান তো রয়েছেই। আপনার ছবি গুলো দেখে আগ্রহ আরো অনেকটাই বেড়ে গেলো।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা ভ্রমণের লেখাগুলো পড়ে আমার বেশ ভালো লেগেছে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে সেই ঐতিহ্যবাহী পালকি বহনের ফটোগ্রাফিটি দেখে। যাহোক দারুণ একটি ভ্রমণের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।