নদী পথে ভ্রমণের সময় তোলা কিছু ছবি। পর্ব- ২

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago

আসসালামু ওয়ালাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। কিছুদিন আগে একটি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আমি গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। আমার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর। এজন্য আমরা লঞ্চে বেশি যাতায়াত করতে পছন্দ করি। নদী আমার বেশ পছন্দ আর যাত্রাপথে আমি কয়েকটি নদীর ছবি তুলেছিলাম। আজ থাকছে তার দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে থাকছে নদীর দুপাশে অবস্থিত বিভিন্ন রকমের স্থাপনা।


IMG_20250113_114814_581.jpg

সদরঘাট থেকে বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে কিছুদূর সামনে যাওয়ার পরে চোখে পড়ে বাংলাদেশের অন্যতম বড় একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য ও পানীয় ইন্ডাস্ট্রি। নদীর একপাশে বিশাল এরিয়া জুড়ে তারা এই শিল্প-কারখানা স্থাপন করেছে। বিশাল স্থাপনার জন্য তা খুব সহজেই চোখে পড়ে। তাছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের বড় বড় কার্গোগুলো সেখানে পার্ক করা থাকে। তাই সহজেই চোখে পড়ে। নদী পথকে কাজে লাগানো বসুন্ধরার জন্য নতুন কিছু না। চট্টগ্রামেও তাদের যে ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে তা কিন্তু নদীর পাশে অবস্থিত। তাদের এই বুদ্ধিমত্তার জন্যই তারা বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

IMG_20250113_121127_811.jpgIMG_20250113_121130_572.jpg

বসুন্ধরা খাদ্য ও পানীয় ইন্ডাস্ট্রি পার হয়ে আরেকটু সামনে গেলে একই পাশে দেখা যায় পানগাও অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার বন্দর। মূলত চট্টগ্রাম এবং দেশের অন্যান্য স্থান থেকে নদী পথে আসা কন্টেইনার গুলো এখানে জমা করা হয় এবং যেদিকে যাওয়ার সেদিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পণ্য আনা-নেওয়ার খরচ বাচানোর দারুন একটি উদ্যোগ কিন্তু এটি।


IMG_20250113_121508_999.jpg

মুন্সিগঞ্জ সেতুর দুপাশে দুটি বৃহৎ সিমেন্ট কারখানা অবস্থিত। ঢাকা থেকে যেতে প্রথমেই ক্রাউন সিমেন্ট কারখানাটি চোখে পড়ে। বিশাল এরিয়া জুড়ে ক্রাউন সিমেন্ট-এর কারখানা অবস্থিত। বলা যায় বাংলাদেশের প্রায় সব কটি সিমেন্ট কারখানাই নদীর তীরে অবস্থিত। তবে ক্রাউন সিমেন্টের কারখানা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। খুব সহজেই পণ্য বাজারজাত করা যায় বলে নদীর তীরে এধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ওঠে।

IMG_20250113_125638_243.jpgIMG_20250113_125847_616.jpg
IMG_20250113_125653_831.jpgIMG_20250113_130336_905.jpg

মুন্সিগঞ্জ সেতু পার হয়ে চোখে পড়ে শাহ সিমেন্টের কারখানা। এবার দেখে মনে হল কয়েক হাজার বছর যেন বালির নিচে পড়ে আছে। যদিও বর্ষাকালে চকচক করে। কিন্তু শীতকালে ধুলাবালির জন্য দেখে মনেহয় তা প্রাগঐতিহাসিক যুগের কোন স্থাপনা। যাইহোক, নদীর তীরে এধরনের শিল্প-কারখানাগুলো স্থাপন একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। আপনারা খেয়াল করলে দেখতে পারবেন, বড় বড় শহরগুলো প্রায় সবগুলোই নদীর তীরে অবস্থিত। মূলত সহজ যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য নদী কেন্দ্রিক শহর গড়ে উঠে, বাজার গড়ে উঠে। এই সংস্কৃতি বাংলাদেশে বেশ পুরনো, নতুন কিছু নয়।

IMG_20250113_130227_534.jpgIMG_20250113_130234_383.jpg

এই পর্বে এপর্যন্তই। সামনের পর্বে ভিন্ন কিছু নিয়ে হাজির হবো।


pussfi.png

নিজের সম্পর্কে
আমি মুহাম্মদ সাব্বির আকিব। জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশি। জেলাঃ চাঁদপুর, থানাঃ ফরিদগঞ্জ। থাকি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন দক্ষিণ গাজীরচট নামক স্থানে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রসায়নে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে একটি ফার্মেসিতে ফার্মাসিস্ট হিসাবে কর্মরত রয়েছি। বিবাহিত এবং আল্লাহ একটি পুত্র সন্তানের জনক করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ।
Sort:  
 5 days ago 
az_recorder_20250125_204305.jpgaz_recorder_20250125_204316.jpgaz_recorder_20250125_204403.jpgaz_recorder_20250125_204434.jpg
Twitter PromotionCMC PromotionDEXScreen Vote#CoinGem# Vote
 5 days ago 

নদী পথ ভ্রমণের মুহূর্তে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং নতুন অভিজ্ঞতা হল। আমি প্রায়ই নদী পথ ভ্রমণ করে ঢাকা মেহেরপুর চলাচল করে থাকি। এর আগে কিছু ফটো ধারণ করেছিলাম। এখন কিন্তু আরো উৎসাহ পেলাম ব্লগের জন্য।

 5 days ago 

উৎসাহ পেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। আশাকরি আপনার ছবিগুলো দেখতে পাবো। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 4 days ago 

নদী পথে ভ্রমণের সময় আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আর এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে অসংখ্য সুন্দর লেগেছে। এরকম ফটোগ্রাফি গুলো আমি অনেক পছন্দ করি দেখতে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

 4 days ago 

ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 4 days ago 

নদীপথে ভ্রমণের সময় অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে এবং প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির চমৎকার বর্ণনা গুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো আমার।

 4 days ago 

ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।