জেনারেল রাইটিং - বই পড়ার উপকারিতা।
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে বই পড়ার উপকারিতা নিয়ে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো।
বলা হয়, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। কিন্তু আমরা অনেকেই এই শিক্ষা শব্দটাকে ঠিকভাবে বুঝতে পারিনা। আমার মতে, এই শিক্ষা বলতে মোটেও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে বোঝানো হয়নি। এই শিক্ষাকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে সুনির্মল বসুর সবার আমি ছাত্র কবিতাটি উপলব্ধি করতে হবে। সেখানে কবি বুঝিয়েছেন, আমরা যেকোনো কিছুর কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারি। যেকোনো জায়গা থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারি। যে কারো কাছ থেকে জ্ঞান আহরণ করতে পারি।
কিন্তু আমাদের জীবনটা এতটাই সীমিত যে আমরা সবসময় সবার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাইনা। কিন্তু বই আমাদেরকে সে সুযোগটি করে দেয়। আমরা বই পড়ার মাধ্যমে খুব সহজেই যেকোন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারি। বইয়ের মাধ্যমে আমরা যেখানে আমাদের পদচিহ্ন পড়েনি, আমরা কখনো যাওয়ার চিন্তা করিনি, সেখানকার সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য; সেসব সম্পর্কে আমরা সহজেই জানতে পারি।
বলা হয়, সভ্যতার বিকাশ শুরু হয়েছে গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে তখন শিক্ষার প্রসার শুরু হয়। দার্শনিক ডেমোক্রিটাস, এরিস্টটল, সক্রেটিস; তারা সেখানকারই মানুষ। যারা শিক্ষাকে বইয়ের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে সহস্রাব্দ বছর ধরে আমাদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন। সে হাজার বছর আগেকার লেখা তাদের কথা আমরা এখনো বইয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই জানতে পারি।
পৃথিবীর ইতিহাসে সফল জাতির ইতিহাস যদি আমরা লক্ষ্য করি, তাহলে দেখব, তারা সবাই শিক্ষার উপর জোর দিয়েছেন। মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় তখনকার সম্রাট বিশাল একটি লাইব্রেরী গড়ে তুলেছেন, যাতে মানুষ জ্ঞান অর্জন করতে পারে। ব্যাবিলনের কথা আমরা সবাই জানি। আব্বাসীয় খলিফারা তাদের রাজধানী বাগদাদের গড়ে তুলেছেন বায়তুল হিকমাহ। সেখান থেকে জ্ঞানীরা এত পরিমাণ পুস্তক রচনা করেছেন এবং নিজেরা জানার জন্য এত পরিমান পুস্তক অনুবাদ করেছেন যা পৃথিবীর ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। বহু মুসলিম এবং ভিন্নধর্মী জ্ঞানীগুণী সেখানে ছিলেন।
আসলে বইয়ের গুণ কীর্তন করে শেষ করা যাবেনা। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, বই পাঠ করে কেউ কখনো বিফল হয়নি। একারণেই বলা হয়, বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না। অর্থাৎ, বই কিনে সবাই লাভবান থাকে। কারণ বই মানুষকে জ্ঞানের দিক থেকে সমৃদ্ধ করে। আমাদের সকলের প্রিয় দাদা প্রায় সময় যখন আমাদের জন্য সাপ্তাহিক হ্যাং আউটে কুইজ দেন, তখন আমি তার জ্ঞানের গভীরতা দেখে আশ্চর্য হই, অভিভূত হই, অভিপ্রেত হই। তিনি এই জ্ঞান এমনি এমনি অর্জন করেননি। তিনি এজন্য প্রচুর পড়েছেন। প্রচুর সময় দিয়েছেন। যার জন্য তিনি আজ এই উচ্চতায় উঠেছেন। আমরাও যদি বই পড়ি, তবে হয়তো উনার মত উচ্চতায় যেতে পারবো না, তবে বট গাছের ছায়াতলে যেমন ছোট ছোট বৃক্ষ গজিয়ে উঠে, তেমনি আমরাও নিজেরা ছোট একটি বৃক্ষ হয়ে গড়ে উঠবো। এজন্যই বলা উচিৎ, বই পড়ে কেউ বিফলে যায় না।
আসলে মানব জীবনে আপনি বই পড়ার উপকারিতা সম্পর্কে যে কথাগুলো বলেছেন তার প্রত্যেকটি কথা অবশ্যই সঠিক। কেননা যে মানুষ যত বেশি জ্ঞানী সেই মানুষ কিন্তু সব সময় উন্নত চিন্তাভাবনার অধিকারী হয়। তাইতো আমরা যদি প্রতিনিয়ত বউয়ের মধ্য থেকে সঠিক জ্ঞান নিয়ে সেই জ্ঞান আমাদের নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করতে পারি তাহলে কিন্তু আমরা জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারবো।
শতভাগ সঠিক। ধন্যবাদ দাদা। খুব ভালো বলেছেন।
একদম তাই বই পড়ার উপকারীতা অনেক।আপনি খুব সুন্দরভাবে বিষয়টি নিয়ে তুলে ধরেছেন। বই পডে যেমন জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।তেমনি বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়না।বইয়ের জ্ঞান দিয়ে আমরা আমাদের জীবনকে পরিচালিত করলে সফল হতে পারবো জীবনে। তাই সবার বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে।
খুবই সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
সুনির্মল বসুর লেখা সবার ছাত্র আমি কবিতাটির মধ্যে চমৎকার কিছু মেসেজ রয়েছে যেগুলো উপলব্ধি করতে পারলেই শিক্ষার সঠিক মর্ম টা কিছুটা হলেও আমরা বুঝতে পারবো।মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় গড়ে ওঠা লাইব্রেরী সম্পর্কে আমিও আমাদের ইতিহাস বইয়ের মধ্যে পড়েছি। যতদূর মনে পড়ছে ঐ সম্রাটের নাম ছিল কালিংহাম নুহাইছি। আসলেই বই পড়ে কেউ কখনো দেউলিয়া হয় না। বরং বই না পড়লে অনেকেই দেউলিয়া হয়ে যায়। যাই হোক বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট নিয়ে কথাগুলি লিখেছেন বলে ভালোই লাগলো। আমাদের উচিত সবকিছু থেকেই জ্ঞান অর্জন করার মন-মানসিকতা ধরে রাখা।
সম্রাটের নামটি আমার জানা ছিল না। ধন্যবাদ ভাই। নামটি জানানোর জন্য। ঠিক বলেছেন আমাদের সবকিছু থেকে জ্ঞানার্জন করার মানসিকতা রাখতে হবে। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।