হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে আমার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন। চলছে একুশে বইমেলা। আমি ঘোষণা দিয়েছি ফেব্রুয়ারি মাসে পুরোটাই আমি আমার বাংলা ব্লগে বই নিয়ে লেখালেখি করব। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি লিখব হুমায়ূন আহমেদ নিয়ে আমার অম্ল-মধুর অনুভূতি।
![Humayun_Ahmed_01.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTfGCQ7s1CEiosoj9MGjvEhSLKQMxVfdh3mAkbwQgjrHV/Humayun_Ahmed_01.jpg)
বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের মধ্যে যে কজনের নাম সবার উপরে থাকবে তাদের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ একজন। তিনি মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন, তার লেখার মান কেমন ছিল, সেসব দিয়ে তাকে বিচার করা যাবে না। জনপ্রিয়তার দিক থেকে হুমায়ূন আহমেদের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় সাহিত্যিক বাংলাদেশে বোধকরি নেই। হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত; টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথালিয়া; সকল স্থানে পৌঁছে গিয়েছেন। সর্বশ্রেণির মানুষ তার সাহিত্য গ্রহণ করেছে। এর চেয়ে বেশি একজন সাহিত্যিকের আর কি পাওয়া থাকতে পারে? অনেক সাহিত্য সমালোচক অবশ্য তার লেখার মান নিয়ে সমালোচনা করছেন। আমি অবশ্য সেসব দিকে যাচ্ছে না। কারণ সে সব আমার কাজ নয়। একজন পাঠক হিসেবে আমি কেবল তাকে নিয়ে আমার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারি।
হুমায়ুন আহমেদের অন্যতম সেরা সৃষ্টি বিবেচনা করা হয় হিমু চরিত্র। তাছাড়া মিসির আলীও তার সৃষ্টি করা অন্য একটি খ্যাতিমান চরিত্র। শুভ নামেও তার একটি চরিত্র রয়েছে। অবশ্য তার খ্যাতি হিমু কিংবা মিসির আলি সমতুল্য হয়নি। হিমু সিরিজ বাংলাদেশে এতটাই জনপ্রিয় যে, যুবকদের মধ্যে অনেককেই হিমু হওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। মিসির আলি নিয়ে আমার তেমন কোন আপত্তি নেই। কারণ মিসির আলী কিছুটা গোয়েন্দা গোছের চরিত্র এবং তার পাঠকও একদমই ভিন্ন। হিমু চরিত্র নিয়ে আমার কিছুটা আপত্তি রয়েছে। সেটা খুবই ভিন্ন একটি বিষয় আমার মতে, তার অন্য যেসব বই রয়েছে, যেমনঃ কবি, কোথাও কেউ নেই, আমার আছে জল; কিংবা তার প্রথম লেখা এবং প্রথম প্রকাশিত শঙ্খনীল কারাগার/নন্দিত নরকের বেশি আলোচনায় থাকার কথা ছিল।
সাধারণ পাঠক হুমায়ূন আহমেদকে গ্রহণ করেছিল তার সুন্দর, ছিমছাম, সাবলীল লেখার জন্য। তিনি বাক্যে জটিলতা তৈরি করতেন না। অহেতুক দুর্বোধ্য শব্দ দিয়ে উপন্যাস লিখতেন না। তার সাহিত্য ছিল সকলের জন্য; যাদের চিন্তা জগৎ গভীর তাদের জন্য, যাদের চিন্তা জগৎ অগভীর তাদের জন্যও। সবাই তার লেখা বুঝতে পারত। তিনি পাঠকদের পড়ার জন্য লিখতেন। পাঠকরাও তার লেখা পড়ত। লেখা বুঝতেও পারতেন। বাংলাদেশে অসংখ্য নতুন পাঠক তৈরি করেছেন তিনি। একজন নতুন পাঠককে বইয়ের দুনিয়ায় আনার যে উপকরণ দরকার, তা ছিল তার লেখার মধ্যে। এজন্যই তার জনপ্রিয়তা হুহু করে বেড়েছিল। পুস্তক বিক্রির দিক থেকে তিনি পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা। এখনো অন্যপ্রকাশ অর্থাৎ যে প্রকাশনী থেকে তার সবচেয়ে বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে, সেই স্টলের সামনে ভীড় থাকে কেবলমাত্র তার জন্য।
![Join_the_PussFi_Ecosystem_Ride_the_Wave.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYJbp6emVEdjdf6n1LJ35bwZLyKow5jEFXR9wYqZrRFQj/Join_the_PussFi_Ecosystem_Ride_the_Wave.png)
আমিও তাই মনে করি সে কেমন সাহিত্যিক,কেমন মানুষ তা জানতে চাই না।কিন্তু তার লেখা আমার ভীষণ ভালো লাগে। তিনি এমন একজন লেখক তিনি সব বয়সী মানুষের কাছেই সমান জনপ্রিয়। আমি হুমায়ুন আহমেদ স্যারের সব বই ই পড়েছি।একটি বই পড়া শুরু করলে না শেষ করে উঠতাম না।খুব সহজ সাবলীল ভাবে লিখেন বলেই এতো ভালো লাগতো।
আমিও তার লেখা এজন্যই। সাবলীল লেখা। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হুমায়ুন আহমেদ আমাদের জন্য অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। একশো বছরে এমন একজন হুমায়ুন আহমেদ আসে। উনার লেখা আমি খুব বেশি পড়িনি। তবে মোটামুটি পড়া আছে। কিন্তু আমার কাছে হিমু চরিত্র টা কেমন একটা অদ্ভুত লাগে। যেটা আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে খুব একটা যায় না।
এজন্যই হিমু চরিত্রটা নিয়ে আমার আপত্তি। যাইহোক, খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ ভাই।