লেভেল ৩ হতে আমার অর্জন - By @sabbirakib.

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago
আসসালামুয়ালাইকুম। আমি মুহাম্মদ সাব্বির আকিব, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন গেস্ট ব্লগার হিসাবে @abb-school এর লেভেল ৩ এ রয়েছি। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি লেভেল ৩ এর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছি। এই পর্বে আমাদের প্রফেসর ছিলেন শ্রদ্ধেয় @alsarzilsiam ভাই, যিনি আগের দুই পর্বের প্রফেসর @kingporos দাদার মতই যত্নের সাথে আমাদের ক্লাস করিয়েছেন। লেভেল ৩ এর প্রশ্নপত্র দেখার পরই মনেহলো উপরের ক্লাসে উঠে গেছি। কারণ এই পর্বের প্রশ্ন আগের দুই পর্বের চেয়ে তুলনামূলক কিছুটা কঠিন। অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে সিলেবাসের প্রতিটি ধাপ খুব চিন্তাভাবনা করেই সিলেক্ট করা হয়েছে যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা অভ্যস্ত হতে পারে। যাইহোক, কথা না বাড়িয়ে আমার উত্তরপত্র প্রস্তুত করা উচিৎ বলে মনে করছি।


IMG_20240926_161346_303.jpg

ছবির রেজুলেশনের জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত

লেভেল ৩ এর মূল আলোচ্য বিষয়
মার্কডাউন কোডিং
কনটেন্ট
কিউরেশন

মার্কডাউন কি?

মার্কডাউন কি এটা জানার আগে আমার মতে এর অর্থ জানতে হবে। মার্কডাউনের কিছু ভিন্ন ভিন্ন অর্থ রয়েছে। এইক্ষেত্রে মার্কডাউনের যে অর্থ আমি গ্রহণ করেছি তা হলো, অবস্থান চিহ্নিত করা। অর্থাৎ, একটি সুশ্রী এবং দৃষ্টিনন্দন লিখিত কন্টেন্ট তৈরিতে বিশেষ বিশেষ অংশের অবস্থান নিশ্চিত করাটাই হলো মার্কডাউন। ধরুন, আমার এই লেখায় কিছু বিশষ শব্দকে একটু বেশি জোর দিয়ে উপস্থাপন করতে চাচ্ছি, যাতে তা সহজেই নজরে পড়ে। এখন সেক্ষেত্রে আমি মার্কডাউন ব্যবহার করব যাতে তা দৃষ্টি আকর্ষণে সম্ভব হয়। আমার মতে, এটাই মার্কডাউন।

মার্কডাউন কোডের ব্যবহার কেন গুরুত্বপূর্ণ?

লেখার শ্রী বৃদ্ধি ছাড়াও মার্কডাউনের আরও কিছু গুরুত্ব রয়েছে। যেমনঃ কিছু কিছু কন্টেন্টের ক্ষেত্রে আমাকে চার্ট দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তখন আমি যদি মার্কডাউন ব্যবহার না করি, পাঠক হয়ত ঠিকমতো বুঝতে পারবেনা বা পারলেও তাতে অমনোযোগ এসে যাবে। এখন লেখক হিসাবে যা কেউই কামনা করেনা। একটি আর্টিকেলে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তখন হেডলাইন বা সাব-হেডলাইন মার্কডাউন ব্যবহারের মাধ্যমে পাঠককে একটি ধারণা দেয়া যায় যে নিম্নবর্ণিত লাইনগুলো কি বিষয়ে রচনা করা হয়েছে। আদ্যোপান্ত, একজন সৃজনশীল লেখক হিসাবে আমার পাঠকের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবো তাও নির্ভর করে আমার মার্কডাউন ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে কতটুকু মুগ্ধ করতে পারলাম। মোদ্দা কথা, আমি কতটা আলাদা তা আমার এই সৃষ্টিশীলতা দিয়েই ফুটিয়ে তুলতে হবে।

পোস্টের মধ্যে মার্কডাউনের কোডগুলো প্রতিফলন না ঘটিয়ে কিভাবে দৃশ্যমান করে দেখানো যায়?

মার্কডাউন কোডের আগে পরপর চারটি স্পেস বাটন চাপলে তা প্রতিফলিত না হয়ে দৃশ্যমান হয়ে ফুটবে। যেমনটা প্রশ্নে পত্রে ছিলঃ
# This is an <h1> tag.
## This is an <h2> tag.
###### This is an <h6> tag.

নিচের ছবিতে দেখানো টেবিলটি কিভাবে তৈরি করা হয়েছে? মার্কডাউন কোডগুলো উল্লেখ করুন।

টেবিলটি হলোঃ

UserPostsSteem Power
User 110500
User 2209000
কোডগুলো হলোঃ
| User | Posts | Steem Power |
|---|---|---|
|User 1 | 10 | 500 |
|User 2 | 20 | 9000 |

সোর্স উল্লেখ করার নিয়ম কি?

সোর্স উল্লেখ করা নিয়ম বা কোডটি হলোঃ
[সোর্স/আমি যেই টাইটেল দিতে চাই](সোর্সের URL)

বৃহৎ হতে ক্ষুদ্র – ক্রমিক১ থেকে ৬ পর্যন্ত হেডারগুলোর কোড লেখুন।

# Header 1
## Header 2
### Header 3
#### Header 4
##### Header 5
###### Header 6

টেক্সট জাস্টিফাই করার মার্কডাউন কোডটি লেখুন।

টেক্সট জাস্টিফাই করার মার্কডাউনটি হলোঃ
<div class ="text-justify"> BODY. </div>

কনটেন্টের টপিকস নির্বাচনে কোন বিষয়ের উপর বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিৎ?

যেকোন কনটেন্ট নির্বাচনে সবার আগে যা মনে রাখতে হবে তা হচ্ছে, আমাকে দিয়ে হবে কিনা? আমরা মানুষ, আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সব বিষয়ে আমরা জ্ঞান রাখিনা। আবার যেসব বিষয়ে আমরা জ্ঞান রাখি, সবগুলোতে সমান জ্ঞানও নেই। জ্ঞানের পরিধি কোথাও বেশি, কোথাও কম। তাই যখন একটি কনটেন্টের মাধ্যমে আমরা অন্যের কাছে জ্ঞান বন্টন করতে যাবো, আমার তো জানা থাকতে হবে আমাকে দিয়ে হবে কিনা? যেমনঃ আমি চিত্রকর্ম সম্পর্কে অবগত না। কিভাবে আঁকে জানিনা। আঁকতে পারিনা। এখন আমি যদি একটা আর্ট কনটেন্ট তৈরি করি তা হবে একদমই অখাদ্য। ওহ, খাবারের কথায় মনেপড়ে গেল, ডিম পোজ করা ছাড়া অন্য কোন রন্ধন গুণও আমার নেই। আমি সেই টপিকে কনটেন্ট তৈরি করলে সেটাও হবে পাঠকের জন্য উগরে দেয়ার মতো।

কোন টপিকসের উপর ব্লগ লিখতে গেলে সেই টপিকসের উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরী কেন?

এর কিঞ্চিৎ উত্তর আমি উপরের প্যারাগ্রাফে দিয়েছি। আমি যদি না-ই জানি আমি কি নিয়ে লিখছি, তাহলে তা হবে বাউন্ডুলেপনা। যেমনঃ আপনি ভ্রমণ বিষয়ে একটা লেখা লিখলেন। কিন্তু আপনি বাসে উঠার পরপরই ঘুমিয়ে গেলেন, কিংবা সময় খেয়াল করেননি। যখন নামলেন তখন আপনার ঘুম ভাঙ্গলো; আপনি তখনও সময় খেয়াল করলেন না। তখন কি আপনি একটি পূর্ণ ভ্রমণ কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন? আপনার ধারণাও নেই যেতে কতক্ষণ লেগেছে বা লাগতে পারে; রাস্তায় জ্যাম হয় কিনা? হলে কতক্ষণ? রাস্তায় কোন টোলপ্লাজা আছে কিনা? কয়টা ব্রীজ পড়ে? যাত্রাপথে বিশ্রামের আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা এসব তথ্য তো আপনি দিতে পারবেন না! উঠলাম, গেলাম, দেখলাম, ছবি তুললাম, ফিরে এলাম, আপলোড দিলাম; আমার মতে এটা ভ্রমণ বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ পোস্ট না। কারণ, আপনি ছবিতুলা আর নিজের অনুভূতি প্রকাশ ছাড়া অন্য কিছুই করেননি। অথবা অন্য কোন বিষয়ে, যেখানে আপনার ধারণা বা জানাটা পুরোপুরি নয়, এসব ক্ষেত্রে কনটেন্ট লিখলে পাঠক/গ্রাহক পূর্ণ সেবা বা তথ্য থেকে বঞ্চিত হবে। ক্ষেত্রবিশেষ, আপনার অজ্ঞতার জন্য ভুলও জানতে পারে।

ধরুন প্রতি STEEM Coin এর মূল্য $0.50 । আপনি একটি পোস্টে $7 এর ভোট দিলেন। তাহলে আপনি কত $ [USD] কিউরেশন রেওয়ার্ড পাবেন?

আমরা জানি কোন পোস্টের টোটাল পে-আউট সমান দুটি ভাগে ভাগ হয় যার অর্ধেক পায় অথর, আর অর্ধেক পায় কিউরেটর। যদি আমি $7 এর ভোট দেই এবং এটাই যদি টোটাল পে-আউট হয় সেক্ষেত্রে আমি অর্ধেক অর্থাৎ $3.5 এর সমমূল্যের STEEM POWER পাবো। সেক্ষেত্রে, যেহেতু ধরা আছে STEEM Coin এর মূল্য $.50 এবং STEEM-SBD কনভার্সন রেট 2 হয়, তাহলে হিসাবটা হবে এমনঃ
3.50×2 = 7 STEEM POWER.

সর্বোচ্চ কিউরেশন রেওয়ার্ড পাওয়ার কৌশল কি?

কিউরেশন রেওয়ার্ডের একটি নিয়ম এবং একটি সূত্র রয়েছে যা আমরা মেনে চললে কিউরেশন থেকে ভালো মানের রেওয়ার্ড আর্ন করতে পারবো। নিয়মটি হচ্ছেঃ পোস্ট করার ১ মিনিটের মধ্যে যদি কেউ ভোট দেয়, তবে পুরোটাই রেওয়ার্ড পুলে জমা থাকবে। ১ মিনিট পর ভোট দিলে সে পাবে ২০%, ২ মিনিট পর ভোট দিলে ৪০%, ৩ মিনিট পর ৬০%, ৪ মিনিট পর ৮০% এবং ৫ মিনিট পর ভোট দিলে নিজের ভাগের পুরো ১০০% রেওয়ার্ড পাবে। পরবর্তী সময় থেকে পোস্ট দেয়ার ৬ দিন ১২ ঘন্টা পর্যন্ত তা স্থির থাকবে এবং পরবর্তীতে ভাইস-বার্সা নিয়মে তা কমতে থাকবে পে-আউট পর্যন্ত।
আর সূত্রটি হচ্ছেঃ
½×√ক(√খ-√গ)
যেখানে, ক = পোস্টের টোটাল পে-আউট খ = ভোট দেয়ার পর পোস্টের পে-আউট গ = ভোট দেয়ার আগে পোস্টের পে-আউট। এই একটি নিয়ম এবং সূত্র ফলো করলে আমরা কিউরেশন থেকে ভালো রেওয়ার্ড পেতে পারি।

নিজে কিউরেশন করলে বেশি আর্ন হবে নাকি @Heroism এ ডেলিগেশন করলে বেশি আর্ন হবে?

অবশ্যই @heroism এ ডেলিগেশন করলে বেশি আর্ন হবে। সেখান থেকে আমি দুটি সুবিধা একই সাথে পাবো। হিরোইজম আমার ডেলিগেটকৃত SP এর উপর ভিত্তি করে আমার পোস্টে প্রতিদিন আপভোট দিবে। আর যেহেতু হিরোজম বিশেষ ভাবে কিউরেট করার জন্য নেয়া প্রজেক্ট; তাই সেখানে কিউরেশন রিওয়ার্ড খুব ভালো পাওয়া যায়। হিরোইজম যেহেতু প্রাপ্ত রেওয়ার্ড ডেলিগেটকারীদেরকে শেয়ার করে দেয়, তাই @heroism-এ ডেলিগেট করলেই বেশি আর্ন হয়।

এই ছিলো লেভেল ৩ হতে আমার অর্জন বিষয়ক আমার লিখিত পরীক্ষার খাতা।

আমার সম্পর্কে
আমি মুহাম্মদ সাব্বির আকিব। জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশি। জেলাঃ চাঁদপুর, থানাঃ ফরিদগঞ্জ। থাকি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন দক্ষিণ গাজীরচট নামক স্থানে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রসায়নে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে একটি ফার্মেসিতে ফার্মাসিস্ট হিসাবে কর্মরত রয়েছি। বিবাহিত এবং আল্লাহ একটি পুত্র সন্তানের জনক করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ।
Sort:  
 3 days ago 

আপনি লেভেল তিন থেকে যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে আজকের পোস্ট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন পরবর্তী লেভেলের জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।

 3 days ago 

ধন্যবাদ ভাই।

 3 days ago 

অভিনন্দন আপনাকে, আপনার পরবর্তী লেভেলের জন্য শুভ কামনা রইলো।

 3 days ago 

রেজাল্ট পেয়ে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ, প্রফেসর। এই লেভেল থেকে অনেককিছু জানতে পেরেছি।

 3 days ago 

আপনি অনেক সুন্দর ভাবে লেভেল দিনের পরীক্ষা দিয়েছেন। আপনার পরীক্ষা প্রশ্ন অ্যান্সার দেখে ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন। দোয়া করি এভাবে এগিয়ে আসেন এবং ভেরিফাইড হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে নিন।

 3 days ago 

ধন্যবাদ ভাই। দোয়া করবেন যেন আপনাদের কাতারে নিজেকে নিতে পারি।