মেয়ে আর ভাগ্নেকে নিয়ে বাইরে খাওয়া-দাওয়ার অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


এর ভেতর আমি আমার মেয়ে আর ভাগ্নের সাথে গল্প করছিলাম। পাশের টেবিলে দেখতে পেলাম দুটি মেয়ে এসে বসে নানান ভঙ্গিমায় ছবি তুলতে লাগলো। সেটা দেখে আমার মেয়ে আর ভাগ্নে হাসতে লাগলো। যাইহোক এভাবে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমাদের টেবিলে খাবার চলে এলো। প্রথমেই তারা পরিবেশন করেছিল চিজ মোমো। আমরা যে কটা খাবার অর্ডার করেছিলাম প্রত্যেকটা খাবারই প্রায় সবাই মিলে ভাগ করে খেয়েছিলাম। অবশ্য আমার মেয়ে হালিম খাইনি। যাই হোক মোমো টেবিলে দিতেই আমার ভাগ্নে খেতে শুরু করলো। আমিও সেখান থেকে একটা নিয়ে খেয়ে দেখলাম সাদ খারাপ না। এরপরে তারা পরিবেশন করলো চুরমুর।

1000001370.jpg

আর সবশেষে আমার জন্য এলো হালিম। হালিমটা খুব একটা আহামরি ভালো ছিল না। যতটা আশা করেছিলাম তেমনটা হয়নি। আমাদের খাওয়া দাওয়া শেষ হতে আমি বাসার জন্য বারবিকিউ চিকেন আর নান পার্সেল করে দিতে বললাম। পার্সেল করে যখন আমার টেবিলে খাবারটা দিয়ে গেলো তখন আমার মেয়ে বলছিল কি খেলাম আমার তো একটুও পেট ভরেনি। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম নাচোস খাবে নাকি? সে সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলো। কিন্তু সেই সাথে শর্ত দিলো তার প্রিয় রেস্টুরেন্ট থেকে তাকে নাচোস খাওয়াতে হবে। সেটাও আবার টাওয়ার নাচোস।


1000001368.jpg

আমি যতই থাকে বোঝাতে চেষ্টা করলাম সেই রেস্টুরেন্ট এখান থেকে বেশ খানিকটা দূরে। আমরা আশেপাশের কোনো একটা রেস্টুরেন্ট থেকে নাচোস খাই। কিন্তু সে কিছুতেই রাজি হোলো না। শেষ পর্যন্ত তার জিদের কাছে পরাজিত হয়ে আমি রওনা দিলাম অন্য একটা রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। রিভেইরা নামের সেই রেস্টুরেন্টটা আমার কাছে বেশ পছন্দের। তাদের খাবারের মান বেশ ভালো। কিন্তু তাদের সার্ভিসটা বেশ খারাপ। এই কারণে আমি এখন পারত পক্ষে সেখানে যেতে চাই না। কিন্তু মেয়ে জিদ করার কারণে শেষ পর্যন্ত সেখানে যেতে হোলো।


1000001371.jpg

সেখানে গিয়ে যথারীতি আমি দুটো নাচোস অর্ডার করলাম। নাচোস খাবারটা তৈরি হতে খুব একটা বেশি সময় লাগার কথা না। কিন্তু তাদের সার্ভিস খারাপ হওয়ার কারণে তারা আমাদের টেবিলের নাচোস পরিবেশন করলো প্রায় এক ঘন্টা পরে। আমি তো চরম বিরক্ত হয়ে ছিলাম। আমি আমার মেয়েকে কিছুটা রাগও করেছিলাম এই রেস্টুরেন্টে আসতে বাধ্য করার জন্য। যাই হোক টেবিলে খাবার চলে এলে ছবি তোলা পর্ব শেষ হওয়ার সাথেই সবাই মিলে খেতে শুরু করলাম। আমি আগেই বলেছি তাদের খাবারের মান বেশ ভালো। যদিও নাচোসে চিকেনের পরিমাণ ছিলো একেবারেই কম। চিকেনের পরিমাণ কম হলেও খেতে খারাপ লাগে নি। যাই হোক খাওয়া দাওয়া শেষ হলে দ্রুত বিলমিটিয়ে সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আর এভাবেই মেয়ে আর ভাগ্নেকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ হোলো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসSamsung s24 ultra
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png



PUSS_Banner2.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 7 days ago 

পাশের টেবিলে দেখতে পেলাম দুটি মেয়ে এসে বসে নানান ভঙ্গিমায় ছবি তুলতে লাগলো। সেটা দেখে আমার মেয়ে আর ভাগ্নে হাসতে লাগলো।

কিছু কিছু মেয়েদের কাজ ই এটা ভাই😂। যাইহোক আপনার মেয়ের জেদ এর কাছে হার মেনে, শেষ পর্যন্ত অন্য রেস্টুরেন্টে চিকেন নাচোস খেতে যেতেই হলো। তবে এতো দেরি করে খাবার দিলে যে কারোরই মেজাজ খারাপ হবে। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।