তিন বন্ধুর ঘোরাঘুরি ও গ্রামীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ ( দ্বিতীয় পর্ব)।
আখের রস আমার খুবই প্রিয় একটি পানীয়। মোটরসাইকেল থেকে নেমে আমি ওদেরকে জিজ্ঞেস করলাম তোরা কেউ আখের রস খাবি কিনা? রাসেল ফেরদৌস দুজনেই সম্মতি জানালো। তবে ওরা আখের রস খাওয়ার আগে পাশেই এক ভাজাপোড়া বিক্রেতার কাছ থেকে চপ পেঁয়াজু এগুলো খেতে লাগলো। ওদের খাওয়া দেখে আমারও খেতে ইচ্ছা করছিলো। তবে গত কয়েকদিন ধরে ভাজাপোড়া খাবার কমানোর চেষ্টা করছিলাম। তাই সেদিন আর ভাজাপোড়া খাবার খাইনি। আমি অবাক হয়ে একটা জিনিস খেয়াল করে দেখি আখের রস বিক্রেতা যে মেশিনের মাধ্যমে আখের রস তৈরি করছে। সেটা আমাদের শহরে আমি এর আগে দেখিনি। যে মেশিন শহরে নাই সেটা এই প্রত্যন্ত গ্রামে কিভাবে এল সেটাই চিন্তা করছিলাম।
যাইহোক আমি আখের রস খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে ফেরদৌস আর রাসেল ভাজাপোড়া খাওয়া শেষ করে এলো। তারপর ওদের দুজনকে আখের রস দিতে বললাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আমি যখন বিল দিতে যাবো তখন দেখি ফেরদৌস আগেই টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে। যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ হলে আমি ফেরদৌসকে তাড়া দিলাম নদীর পাড়ের দিকে যাওয়ার জন্য। অবশ্য আমরা যে বাজারে ছিলাম সেখান থেকে নদীর পাড় খুব একটা বেশি দূরে নয়। যার ফলে অল্প সময়েই সেখানে পৌঁছে গেলাম। সেখানে যেতেই আমাদের মনে এক অনাবিল আনন্দ অনুভব করলাম। একেবারে গ্রামীণ যে দৃশ্যগুলো আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেখানকার পরিবেশটা ছিল ঠিক তেমনি। ছোট্ট একটা নদীর পাড় দিয়ে ফসলের ক্ষেত।
সেখানে কৃষকেরা কাজ করছিলো। আবার একজন কৃষককে দেখতে পেলাম তার গরুটাকে গোসল করাচ্ছিলো নদীতে। এক পিতা পুত্রকে দেখতে পেলাম নৌকায় করে চরের অপরপ্রান্ত থেকে ঘাস কেটে আনছিলো গরুকে খাওয়ানোর জন্য। এরকম চোখের সামনে আরো বেশ কিছু দৃশ্য দেখতে পেলাম। মূলত এই গ্রামীন স্পর্শ পেতেই এতদূরে আসা হয়। যাই হোক আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে করতে নিজেদের ভেতর আড্ডা দিতে লাগলাম। আর ফাঁকে ফাঁকে আমি কিছু ছবিও তুললাম। ভালো মুহূর্ত গুলো আমাদের জীবন থেকে খুব দ্রুত হারিয়ে যায়। সেদিন বিকালেও তেমনটাই মনে হচ্ছিলো। আড্ডাবাজি করতে করতে এক পর্যায়ে দেখি প্রায় মাগরিবের আজান দেয়ার সময় চলে এসেছে। অথচ আমাদের মনে হচ্ছিল এই তো মাত্র কয়েক মিনিট আগে সেখানে এলাম। যাই হোক যেহেতু প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে তাই আর সেখানে না থেকে আমরা শহরের দিকে রওনা দিলাম। আর এভাবেই আমাদের তিন বন্ধুর ঘোরাফেরা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা সমাপ্ত হলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | Samsung s24 ultra |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
কয়েকদিন থেকে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করছেন। আসলে চারদেয়ালের ভিতরে বসে না থেকে চারদিকে ঘোরাঘুরি করলে একটু বেশি ভালো লাগে।আর প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু জিনিস বেশ খাওয়া দাওয়া ও করেছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো।আর নদীর সৌন্দর্য খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করেছেন।
আপনার সংকল্প এর প্রশংসা করতে হবে। সামনে ভাজাপোড়া খাবার দেখেও না খেয়ে থাকতে পারলেন হা হা। চমৎকার লাগল আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো। কী চমৎকার শান্ত সুন্দর গ্রাম বাংলার প্রকৃতি। তিন বন্ধু মিলে সময় টা দারুণ কাটিয়েছেন ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে মূহূর্তটা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আখের রস খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। তবে আমাদের এদিকে যে আখের রস বিক্রি করা হয়,সেগুলো একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাই আখের রস এখন খাওয়া হয় না বললেই চলে। যাইহোক বন্ধুদের সাথে গ্রামীণ পরিবেশে গিয়ে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।