ট্রাভেল || মায়াপুর গিয়ে গোশালা ভ্রমণ

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে একটি ভ্রমণমূলক পোস্ট শেয়ার করব। তোমরা সবাই জানো যে, আমি ভ্রমন করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। তাই কাজের ফাঁকে কখনো একটু সময় বের করতে পারলে, কোথাও না কোথাও গিয়ে ঘুরে আসি।

বেশ কিছুদিন আগে আমি ভ্রমণের জন্য গেছিলাম মায়াপুরে। তবে মায়াপুরে যে এই প্রথমবার গেছি, এরকম কোন ব্যাপার নয়। এর আগেও কয়েকবার এই মায়াপুরে আমার যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। তবে এবার আমার কাছে স্পেশাল ছিল কারণ এইবার আমি,মা, দাদা এবং মায়ের এক বান্ধবী একসাথে এই মায়াপুর ভ্রমণে গেছিলাম। সত্যি কথা বলতে মায়েরই বেশি শখ ছিল এই মায়াপুরে যাওয়ার জন্য কারণ মা এর আগে কোনদিন এই মায়াপুরে যায়নি।

20240210_105212.jpg

20240210_105336.jpg

20240210_105339.jpg

যাইহোক, এইবার আমরা এখানে গিয়ে অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছিলাম। আমরা এখানে গিয়ে একদিন থেকে সবকিছু দেখেছিলাম। কারণ এখানে একদিন না থাকলে সবকিছু ভালোভাবে দেখা সম্ভব হয় না। এখানে যেহেতু এইবার একদিন থেকেছিলাম, সেই জন্য মায়াপুরে গিয়ে এবার অনেক কিছু দেখেছিলাম যা আগে অন্য কোন বার গিয়ে দেখা হয়নি। ঘোরাঘুরির সময় আমরা যেদিন এখানে গেছিলাম সেদিন দুপুরে একটি গোশালায় যাই। এটা ইসকনের নিয়ন্ত্রিত একটি গোশালা ছিল। ইসকনের যে সব থেকে বড় মন্দির রয়েছে এই মায়াপুরে, সেখান থেকে ১৮ থেকে ২০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত ছিল এই গোশালা। এখান থেকে গরুর গাড়িতে করে এই গোশালায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা ছিল। আমরা সবাই মিলে এই গরুর গাড়িতে করে পৌঁছে গেছিলাম এই গোশালায়। গরুর গাড়িতে চড়ার অভিজ্ঞতাটা বেশ দারুন ছিল।

20240210_105355.jpg

20240210_105408.jpg

20240210_105426.jpg

তবে সেই সময় কোন ফটোগ্রাফি করতে পারেনি ব্যস্ততার কারণে। যাইহোক, এখানকার গোশালাটিতে আসার পর আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। অন্যান্য জায়গায় যেমন করে গরু পালন করা হয়, এখানে সেরকম ছিল না। এখানে অধিক কেয়ারে এই গরুগুলোকে রাখা হয়েছিল। আমাদের ধর্মে এই গরুকে অনেক উপরে স্থান দেওয়া হয়েছে। আর এই গরুর সেবা করার মাধ্যমে পুণ্য লাভ হয়, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে আমাদের ধর্মে। এইজন্যেই এই গো সেবা করা হয়ে থাকে। যাইহোক, এখানে প্রবেশ করার পর আমি তো অবাক হয়ে গেছিলাম কারণ এখানে সবকিছু অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে মেইনটেইন করে রেখেছিল। আমি এর আগেও দু একটা গোশালা দেখেছি, তবে এত সুন্দর ছিল না। এখানে গিয়ে আমি বিভিন্ন রংয়ের গরু দেখার সুযোগ পাই। তাছাড়া বিভিন্ন জাতেরও গরু ছিল এখানে। ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের গরু নজরে পড়েছিল আমার। ছোট জাতের গরু গুলো আমার কাছে অনেক বেশি কিউট লেগেছিল।

20240210_105537.jpg

20240210_105631.jpg

20240210_105656.jpg

তাছাড়া এখানে বড় শিং ওয়ালা গরু এবং ছোট শিং ওয়ালা গরু আলাদা আলাদা করে রাখা হয়েছিল। এই গোশালার ভিতরের একটি দোকান থেকে খাবার কিনে এই গরু গুলোকে খাওয়ানোরও ব্যবস্থা ছিল। তাদের খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে গো সেবা করার একটা সুযোগ ছিল আর কি। যাইহোক, আমরা সেখান থেকে কিছু ঘাস কিনে সেই গরু গুলোকে খেতে দেই। আমার মা এবং মায়ের বান্ধবী এই গরুদের একটু সেবাও করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে। তবে আমি চারপাশের সবকিছু দেখায় অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলাম। আমি এখানে বিভিন্ন কিছু গরুর ফটোগ্রাফিও করেছিলাম যা তোমরা ব্লগটির লেখা গুলোর মাঝে মাঝে দেখতে পেয়েছো নিশ্চয়ই। এই জায়গায় ভ্রমণ করে আমার বেশ ভালোই লেগেছিল। এক অন্যরকম সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছিল এই গোশালা ভ্রমন করে।

20240210_105744.jpg


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীট্রাভেল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনমায়াপুর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, গোশালা ভ্রমণ করা নিয়ে শেয়ার করা এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

ভাইয়া আপনাদের মায়াপুরের বিষয়ে আজকেই প্রথম ব্লগ পড়লাম। সেখানের গোশালার গরু গুলো সত্যিই অনেক সুন্দর। বড় বড় সিং ওলা গরু থেখে শিং ছাড়া গরুটা বেশি ‍সুন্দর লেগেছে। অপনার গরুর গাড়ির ফটোগ্রাফি গুলো দেখা হলো না। তবে দারুন কিছু গরু দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ।

 last year 

অপনার গরুর গাড়ির ফটোগ্রাফি গুলো দেখা হলো না।

ভাই, ওই সময়টাতে এত ব্যস্ততা ছিল যে ফটোগ্রাফি করতেই ভুলে গেছিলাম।

Posted using SteemPro Mobile