শৈশব স্মৃতিচারণ : পড়াশোনা

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

নমস্কার সবাইকে,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

boy-5731001_1280.jpg

ইমেজ সোর্স

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে ছোটবেলার একটি স্মৃতিচারণ শেয়ার করবো। তোমাদের সাথে মাঝে মাঝেই ছোটবেলার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ শেয়ার করা হয়। তবে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই ভাবে ছোটবেলার স্মৃতিচারণ শেয়ার করা হয় না। আজ হঠাৎ করে একটা বিষয়ের স্মৃতিচারণ মনে পড়লো।তাই ভাবলাম তোমাদের সাথে শেয়ার করি। আসলে এই বিষয়টা পড়াশোনা রিলেটেড ছোটবেলায় আমাদের ভিতর অন্যরকম একটা এনার্জি থাকে। আমাদের শেখার আগ্রহ থাকে জানার আগ্রহ থাকে। কিন্তু আস্তে আস্তে বড় হওয়ার সাথে সাথে সেই আগ্রহগুলো কেমন জানি হারিয়ে যায়। বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায় সব কাজ করার ক্ষেত্রে। সব জানার ক্ষেত্রে সব শেখার ক্ষেত্রে একদম ছোটবেলায় যখন আমি স্কুলে যাওয়া শুরু করিনি তার আগে থেকেই পড়াশোনার প্রতি একটা আলাদা আগ্রহ ছিল।

সবকিছু দেখে শেখার একটা ব্যাপার ছিল ছোটবেলায় আমি গ্রামে বড় হয়েছি আর গ্রামের ছেলে মেয়েদের কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি স্কুলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তবে আমার ক্ষেত্রে একদম ছোটবেলায় স্কুলে পাঠানো হয়নি। তাই আমি কয়েক বছর বাড়িতেই পড়াশোনা করেছি। আমাদের বাড়িতে একটি দেয়াল ঘড়ি ছিল। সাধারণত দেয়াল ঘড়িতে নাম্বারিং করা থাকে ১ থেকে ১২ পর্যন্ত। আর আমার যেহেতু আগ্রহ ছিল সেই কারণে আমি আমাদের বাড়ির দেয়াল ঘড়ি নামিয়ে সেটা খাতার পাশে লিখে লিখে ওয়ান টু থ্রি ফোর এইভাবে টুয়েলভ অব্দি লেখা শিখেছিলাম। তাবে এই ব্যাপারটা যেদিন করেছিলাম প্রচন্ড গরমের একটা দিন ছিল।আর যেহেতু গ্রামের বাড়ি টিনের ছিল। সেই কারণে ঘরের মধ্যে যখন বসে করছিলাম এসব লেখালেখি তখন প্রচন্ড ঘেমেও যাচ্ছিলাম।ঠিক সেই অবস্থায় বাড়ির লোকজন এসে আমার এই পড়াশোনাটা দেখে।তারা তো খুব খুশি হয় আমার এই শেখার আগ্রহ দেখে।

এবার আসলে ছোটবেলায় আমার পড়াশোনাটা শেখার যাত্রা শুরু হয়। আমার এই পড়ার আগ্রহ থেকে পরের দিনেই আমাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং স্কুলে ভর্তি করে দেয়া হয়। কারণ ছোটবেলায় তারা বুঝতে পেরেছিল পড়াশুনার প্রতি আমার আগ্রহ রয়েছে। ছোটবেলায় আসলে পড়াশোনায় অনেকটাই ভালো ছিলাম। আমাকে যখন ভর্তি করে দেয়া হয়েছিল তখন কিন্তু আমার রোল সবার শেষে ছিল। কিন্তু পরের বছরই আমার রোল এক হয় যা থেকে সবাই অনেক খুশি হয় এবং স্কুলে ভর্তি করাটা সেই সময় সার্থক হয়েছে সেটা সবাই মনে করে। এভাবে কয়েক বছর আমার পড়াশোনার গতি এগিয়ে চলে। ছোটবেলায় আমার পড়াশোনার অনেক আগ্রহ ছিল। তবে এখনের সাথে ছোটবেলার তুলনা করলে খুব হাসি পায়। সেটা একসময় ছিল এখন অন্যরকম এখন অনেক কিছু শিখতে ইচ্ছা করে কিন্তু পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ আর সেইরকম আগের মত নেই।


◾▪️◾পোস্ট বিবরণ◾▪️◾

শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ভিডিওগ্রাফার@ronggin
লোকেশনবারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা,পশ্চিমবঙ্গ।
বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা এই পোস্টটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Add a little bit of body text_20240911_022744_0000.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.