লাইফ স্টাইল || বন্ধুদের সাথে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গেছিলাম ।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।

অনেক আগে রেস্টুরেন্টে প্রচুর পরিমাণে যাওয়া হতো। তবে বর্তমানে খুব বেশি যাওয়া হয় না। বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন খাবার খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। নতুন নতুন খাবারের টেস্ট করা সত্যিই একটা আনন্দের ব্যাপার। খাবারের বিভিন্ন টেস্ট বোঝা যায় বিভিন্ন জায়গায় খাবার খেলে। একই নামের খাবার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন টেস্টের হয়ে থাকে। আমাদের নিকটবর্তী বারাসাত এবং মধ্যমগ্রামের প্রায় ৫০% রেস্টুরেন্টে আমি গেছি এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার টেস্ট করেছি। আগে প্রচুর পরিমাণে এই নিয়ে শেয়ারও করা হয়েছে। তবে অনেকদিন হয়ে গেছে রেস্টুরেন্টে খাওয়া নিয়ে তোমাদের সাথে শেয়ার করা হয় না।

20220909_200733.jpg

20220909_200740.jpg

বর্তমানে রেস্টুরেন্টে যাওয়া এত বেশি কমে গেছে যে, বাইরের খাবারের টেস্ট প্রায় ভুলেই গেছি এরকম অবস্থা। যাইহোক, অনেকদিন আগে বন্ধুদের সাথে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে গেছিলাম। তাই নিয়েই আজকের ব্লগে শেয়ার করব। আগে বন্ধুদের সাথে প্রচুর পরিমাণে যাওয়া হতো আমাদের নিকটবর্তী রেস্টুরেন্ট গুলোতে। অধিকাংশ সময় আমরা বিকেলের দিকে প্ল্যান করে নিতাম এবং সন্ধ্যার দিকেই চলে যেতাম রেস্টুরেন্টে। আমরা বন্ধুরা এই সন্ধ্যার সময় প্ল্যান করতে ভালোবাসতাম। দিনে যার যার কাজকর্ম শেষ করে এই সন্ধ্যার অবসর সময়ে আমরা এক জায়গায় হয়ে আড্ডা দিতাম , গল্প করতাম এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার ইনজয় করতাম।

20220909_201728.jpg

20220909_195758.jpg

যাইহোক, যেদিন আমরা রেস্টুরেন্টে গেছিলাম, আমার সন্ধ্যার দিকেই ঠিক করেছিলাম, স্টার মলে একটা বড় রেস্টুরেন্ট রয়েছে হাক্কা ল্যান্ড নামে, আমরা সেখানে গিয়েই নতুন ধরনের খাবার টেস্ট করব। আমরা সেদিন তিনজন বন্ধু ছিলাম। স্টার মল একটি বড় শপিং মল আর এটি আমাদের বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে অবস্থিত নয়। মাঝে মাঝে আমরা পায়ে হেঁটেও এখানে চলে যাই । ১৫ থেকে ১৮ মিনিটের মতো সময় লাগে পায়ে হেঁটে যেতে । তবে আমরা সেদিন বাইকে করেই গেছিলাম। যাইহোক, রেস্টুরেন্ট একদম উপরের তলায় অবস্থিত ছিল। এই রেস্টুরেন্টিতে খুব একটা ভিড় আমরা গিয়ে দেখতে পাইনি । এখানে খাবার খাওয়া অনেকটা ব্যয়বহুল ছিল। যদিও সেদিন আমার এক বন্ধু স্পন্সার করেছিল।

20220909_195800.jpg

20220909_195803.jpg

রেস্টুরেন্ট এরকম ফাঁকা থাকলে অনেকটা অদ্ভুত লাগে। যাইহোক, তারপরেও আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসি। আমরা প্রথমে যে খাবারগুলোর অর্ডার করেছিলাম সেই খাবারগুলো আমরা পাইনি। আমরা গিয়ে মোমো অর্ডার করেছিলাম কিন্তু সেখানে মোমো ছিল না। সেজন্য তারা আমাদের অন্য খাবার চয়েজ করার জন্য বলে। পরে আমরা মাশরুম রিলেটেড একটা আইটেম এবং চিংড়ি মাছ রিলেটেড একটি আইটেম অর্ডার করেছিলাম

20220909_195855.jpg

20220909_195953.jpg

মাশরুম আমার প্রিয় ছিল আর চিংড়ি মাছ আমার বন্ধুদের প্রিয় ছিল । এই দুটো আইটেমের দামই প্রায় ৮০০ টাকার কাছাকাছি নিয়ে নিয়েছিল । যথেষ্ট দাম ছিল এখানে। সেদিন বন্ধু আমাদের খাওয়াতে নিয়ে গেলেও বেশি টাকা বিল দেখে আমরাও কিছু টাকা কন্ট্রিবিউট করে দি। যাইহোক, খাবার অর্ডার করার প্রায় ৩০ মিনিট পরেই খাবার চলে আসে। এখানে কোন খাবারই আগে থেকে তৈরি ছিল না। আমরা অর্ডার করার পরেই সবকিছু তৈরি করেছিল। এইজন্য সময় কিছুটা বেশি লেগেছিল। যাইহোক, খাবার গুলোর টেস্ট খুবই ভালো ছিল। আমার কাছে তো খুবই ভালো লেগেছিল। আমার বন্ধুদের কাছেও ভাল লেগেছিল যা আমি তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম।

20220909_195956.jpg

20220909_200001.jpg

খাবার খেতে খেতে আমরা বন্ধুরা মিলে বেশ আড্ডাও দিয়েছিলাম। এরকম ভাবে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে। সময়ের ব্যস্ততায় সব সময় এরকম আড্ডা দেওয়ার সুযোগও হয় না। যাইহোক, সেদিন আমরা এতটাই মজা করেছিলাম আজও সেই কথা মনে পড়লে ভালো লাগে। আমরা এই রেস্টুরেন্টের মধ্যে প্রায় ১ ঘন্টার মত ছিলাম। যেহেতু এখানে কোন ভিড় ছিল না সেজন্য আমরা রিলেক্সে খেতে খেতে আড্ডা দিতে পেরেছিলাম। যাইহোক, অবশেষে রাত ন'টার দিকে আমরা আড্ডা, খাওয়া শেষ করে একসাথে আবার বাড়িতে ফিরে আসি।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনমধ্যমগ্রাম , ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Sort:  
 2 years ago 

আপনি তো আগে বাসায় বসেও পিজ্জা অর্ডার করে খেতেন খুব।যাক এখন একটু কম খাওয়া হচ্ছে। আজকাল তো নিজেই খুব মজার মজার রেসিপি করেন।যাক বেশ কিছুদিন আগে তিন বন্ধু মিলে হাক্কা ল্যান্ড রেস্টুরেন্টে গিয়ে মজার মজার খাবার খেয়েছেন। আপনার শেয়ার করা অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। তবে এতো দাম খাবারের তাই আপনারাও কিছু টাকা ফেন্ডকে কন্ট্রিবিউট করেছিলেন।রেস্টুরেন্টে ভীড় না থাকায় আপনারা রিলাক্স মুডে প্রায় ঘন্টা খানিক আড্ডা দিলেন।এরপর খাওয়া-দাওয়ার পর বাসায় ফিরে গেলেন।

 2 years ago 

আপু গতকালকেই পিৎজা বাড়িতে তৈরি করে খেয়েছি। এখন বাইরের খাবার একটু কম খাওয়া হচ্ছে । যাই হোক, আমার পোস্টটি পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশনটা বেশ ভালো লেগেছে ভেতরের পরিবেশটা বেশ সাজানো গোছানো। আপনি মাশরুম পছন্দ করেন আর আপনার বন্ধুরা চিংড়ি মাছ পছন্দ করে তার জন্য দুটো আইটেম অর্ডার করেছিলেন যদিও দামটা বেশ মোটা আইটেমের। যাই হোক আপনার কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাই, রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা বেশ সাজানো গোছানো এবং সুন্দর ছিল। তবে খাবারের দাম অনেক বেশি ছিল এখানে।

 2 years ago 

আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে রেস্টুরেন্ট পরিবেশ খুব ভালো। আসলে মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সাথে এভাবে আড্ডা দিলে এবং খাবার খেলে নিজের মন ও ফ্রেশ থাকে। যদিও রেস্টুরেন্ট আপনাদের বাড়ির পাশে হেঁটে যেতে ১৫ থেকে ১৮ মিনিট সময় লাগে। তবে আপনি যে খাবারগুলো অর্ডার দিয়েছেন এই খাবারগুলো মনে হয় দাম একটু বেশি। আসলে পছন্দের খাবার মজাই আলাদা। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সবাই মিলে মজা করে খেয়েছেন এটাই বড়। খুব সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু, সেই দিন সবাই মিলে মজা করে খেয়েছিলাম আমরা। তবে আপু আমরা যে খাবারগুলো খেয়েছিলাম শুধু সেইগুলোর দাম ই বেশি ছিল এমনটা না, এইখানে থাকা অধিকাংশ খাবারের দামই অনেক বেশি ছিল।