লাইফ স্টাইল || অনলাইন থেকে কিছু খাবার অর্ডার করে খাওয়া

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে লাইফ স্টাইল রিলেটেড একটি পোস্ট তোমাদের সাথে শেয়ার করবো। লাস্ট কিছুদিন ধরে বেশ ভালোই গরম পড়ছে। তবে তার মাঝে মাঝে কয়েক দিন বৃষ্টিরও দেখা পাওয়া গেছে। যেদিন আসলে বৃষ্টি হয়, সেদিন মনের ভিতর আলাদা একটা ভাললাগা কাজ করে। গরমের দিনগুলোতে সাধারণত কোন কিছু করতে ইচ্ছে করে না। তাছাড়া খাবার দাবার খেতেও ইচ্ছে করে না বেশি গরম পড়লে। তবে বর্ষা হলে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে ইচ্ছা করে। মাঝে মাঝে বর্ষা হলে তো বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের পকোড়া তৈরি করে খাওয়া হয় আমাদের

InShot_20240524_003141172.jpg

InShot_20240524_000750103.jpg

তবে সব দিন আর ইচ্ছা করে না খাবার বাড়িতে তৈরি করতে, সেজন্য মাঝে মাঝে অনলাইন থেকেও অর্ডার করে খাবার খাওয়া হয়। কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে দেখি বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। সেই সময় আমি আবার ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখায় ব্যস্ত ছিল। সেইসব ভিডিও দেখতে দেখতে হঠাৎ করে কিছু খাবারের ভিডিও আমার সামনে চলে আসে। বিভিন্ন ধরনের খাবার দেখেই আমার খাবার খাওয়ার ইচ্ছে জেগে যায়। আর বাইরে যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছিল তাই কোন কিছু আর না ভেবেই ডমিনোস অ্যাপে গিয়ে আমার প্রিয় পিৎজা এবং ট্যাকো মেক্সিকানা ভেজ অর্ডার করি দিই। বর্ষার দিনগুলোতেও ডমিনোস থেকে খাবার অর্ডার করলে সেটা খুব সহজেই বাড়িতে চলে আসে। ঝড় বৃষ্টি যাই হোক, তাদের ডেলিভারি নিয়ে কোন সমস্যা হয় না। তাছাড়া ৩০ মিনিটের গ্যারান্টি ডেলিভারি তাদের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়। এই ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লাগে।

InShot_20240524_000706215.jpg

InShot_20240524_000610625.jpg

এর আগেও আমি অনেকবার অনলাইন থেকে বাড়িতে খাবার অর্ডার করে খেয়েছি। যদিও সেই সম্পর্কে মাঝে মাঝে তোমাদের সাথে শেয়ারও করেছি। যাইহোক, বৃষ্টির ঐ দিনটাতে বাড়িতে অন্য কেউও ছিলনা। তাই আমি আমার একার জন্যই খাবার অর্ডার করেছিলাম। আসলে যে কোন খাবার অর্ডার করার পরে, যতক্ষণ না সেই খাবার বাড়িতে আসছে, ততক্ষণ একটা অন্যরকম অনুভূতি হতে থাকে। কখন খাবার আসবে, এই অপেক্ষায় সময়ই যেন কাটতে চায় না। এরকমটা আমার সাথে তো হয়, তোমাদের সাথে হয় কিনা সেটা তোমরা কমেন্ট করে জানাতে পারো। খাবার অর্ডার করে, সেটা রিসিভ করার জন্য আমি অপেক্ষা করতে থাকি। আমি এই সময় চেয়ার নিয়ে বেলকনিতে এসে বৃষ্টিও কিছু সময়ের জন্য উপভোগ করি।

InShot_20240524_000532212.jpg

InShot_20240524_000452181.jpg

প্রায় কুড়ি মিনিট পরে আমার ফোনে কল চলে আসে এবং যে আমাকে খাবারটি ডেলিভারি দেবে, সে আমার প্রোপার অ্যাড্রেস জিজ্ঞেস করে কল করে। তারপর আমি তাকে গাইড করে আমাদের বাড়ির সামনে পর্যন্ত নিয়ে আসি। তখন দেখি সেই লোকটি রেইনকোট পরে এসেছে এবং আমার পুরো খাবারটাকে সুন্দর করে প্যাকিং করে আমার কাছে এনে দিয়েছে। খাবারের প্যাকেটটি আমি হাতে ধরেই বুঝতে পারি পুরোপুরি গরম রয়েছে খাবারটা। আমি তো অর্ডারটা রিসিভ করে নিয়ে, ওই ডেলিভারি বয়কে টাকা দিয়ে ঘরে চলে আসি। তারপর টেবিলের উপরে রেখে খাওয়া স্টার্ট করি এক এক করে।

এই পিৎজা এবং ট্যাকো মেক্সিকানা ভেজ আইটেম দুটো আমার কাছে অসাধারণ লেগেছিল। তাছাড়া এই বর্ষার দিনে গরম গরম খাবার খেতে খুবই ভালো লাগছিল আমার। আমি একটি পিৎজা এবং দুটি ট্যাকো মেক্সিকানা ভেজ অর্ডার করেছিলাম। আমি প্রথমে পিৎজা খাওয়া কমপ্লিট করি। তারপর ট্যাকো মেক্সিকানা ভেজ খাওয়া স্টার্ট করি। এরপরে দেখি মা দরজার কাছে এসে কলিং বেল দিচ্ছে। আমি তারপরে মাকে বাড়ির গেট খুলে দিই। মা ঘরে এসে দেখে আমি অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার করে খাচ্ছি। এইসময় আমি মাকেও সেখান থেকে একটা ট্যাকো মেক্সিকানা ভেজ খাওয়ার জন্য দেই। মাও বেশ খুশি হয় খাবারটা খেয়ে। যেহেতু খাবারটা গরম গরম ছিল তাই এই বর্ষার দিনে খাবারটি আরও বেশি ভালো লাগছিল।

InShot_20240524_000426341.jpg

InShot_20240524_000637930.jpg

তাছাড়া ডমিনোস এর যে কোন খাবার আমার বেশ ভালো লাগে। বর্ষার দিনে এরকম গরম গরম খাবার খাওয়ার সুযোগ হলে তা অমৃতের মত লাগে। আমি সব সময় ডমিনোস এর পিৎজা টা বেশি খেতাম, তবে লাস্ট কয়েকবার আমি ডমিনোস এর ট্যাকো মেক্সিকানা ভেজ আইটেমটাও টেস্ট করেছি। এটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সেজন্য এখন পিৎজা খেলে, পিৎজার সাথে সাথে এই খাবারটাও অর্ডার করে থাকি। যাইহোক, এই ছিল আমার সেদিনের খাবার খাবারের অনুভূতি যা তোমাদের সাথে আজ শেয়ার করলাম।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনবারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার করে খাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

অনলাইন থেকে কোন কিছু কিনে অনেকবার প্রতারিত হয়েছি তাই অনলাইনের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে গেছে ভাইয়া। তবে আপনার অর্ডার করা পিৎজা এবং ট্যাকো মেক্সিকানা ভেজ এর ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারতেছি এগুলো দারুন টেস্টি ছিল। তবে বৃষ্টির দিনে এরকম খাবার গুলো ঘরে বসেই পেলে মনে কতটা আনন্দ অনুভূত হয় সেটা বলে প্রকাশ করার মতো না। অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার করে খাওয়ার সুন্দর অনুভূতির বর্ণনা দিয়েছেন আপনি ভালই লাগলো আমার কাছে ,ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই, আপনার এই কথাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ঝাল যুক্ত খাবারের সাথে বৃষ্টির কি সম্পর্ক সেটা আমি জানিনা। কিন্তু বৃষ্টির হলেই কেমন জানি ঝালযুক্ত খাবার উপর নেশা বেড়ে যায়। ইউটিউব দেখতে দেখতে আপনার সামনে খাবার গুলো চলে আসে আর দেখামাত্রই একটু ভেবেই আপনি খাবারগুলো অর্ডার করেন। আপনার প্রিয় পিৎজা এবং ট্যাকো মেক্সিকানা ভেজ অর্ডার করেন। খাবারগুলো পরিবারের সবাই একসাথে বসে উপভোগ করেচেছেন। খাবারটি খেয়ে আপনার মা অনেক খুশি হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আমার শেয়ার করা এই পোস্টটি যে আপনার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে, সেটা জেনে খুব খুশি হলাম ভাই।

 last year 

খুশি হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই

 last year 

অনলাইন থেকে বেশ অনেক কিছু অর্ডার করে কেনাকাটা করেছে কিন্তু এ পর্যন্ত খাবার অর্ডার করে কোনদিন খাওয়া হয়নি। তবে দারুন অনুভূতি আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন, বেশি ভালো লাগলো আপনার এই অর্ডার করার রেসিপি বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে।

 last year 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, আপনার এই মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনাদের দিকে খাবার ডেলিভারির সার্ভিস টা দেখছি খুবই ভালো। আর আমাদের বাংলাদেশে ফুড পান্ডা মোটামুটি সার্ভিস দেয় কিন্তু সেটা প্রাইম কোয়ালিটির না। বৃষ্টির দিনে সত্যি খাবারের ইচ্ছা টা একটা পাল্টে যায়। আর এখন আকাশে মেঘ দেখলেই মনের মধ্যে ভালো লাগা কাজ করে। সুন্দর ছিল আপনার পোস্ট টা ভাই।

 last year 

আপনাদের দিকে খাবার ডেলিভারির সার্ভিস টা দেখছি খুবই ভালো।

হ্যাঁ ভাই, আমাদের এইদিকে খাবার ডেলিভারির সার্ভিসটা বেশ ভালো পাওয়া যায়। যাইহোক, আমার এই পোস্টটি যে আপনার কাছে সুন্দর লেগেছে, সেটা জেনে খুব খুশি হলাম।

 last year 

বাহ্ আপনার তো দেখছি বেশ আরাম, বৃষ্টির মধ্যে এত অসাধারণ খাবার অর্ডার করলেন। আর সেটা ৩০ মিনিটের মধ্যেই চলে আসলো। ইস্ আমাদের এখানে এখনো এরকম সার্ভিস চালু হয়নি। তাই জন্য কখনো খাবার অর্ডার করে খাওয়া হয়নি। খেতে হলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে হয়। তবে বৃষ্টির মধ্যে কিন্তু এই ধরনের খাবারগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। ভালো লেগেছে আপনার মজার খাবার অর্ডার করে খাওয়ার মুহূর্তটা। আপনার খাবার দেখে আমারও খেতে ইচ্ছা করছে।

 last year 

আসলো। ইস্ আমাদের এখানে এখনো এরকম সার্ভিস চালু হয়নি

কোন না কোনদিন আপনাদের ওইখানেও এই ব্যাপারটা চালু হয়ে যাবে আপু। যাইহোক, আমার এই খাবার খাওয়ার অনুভূতিটা জেনে আপনার যে ভালো লেগেছে, সেটা জেনে খুব খুশি হলাম আমি।

 last year 

বৃষ্টি হলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আর মনের মাঝে আলাদা রকমের অনুভূতি তৈরি হয়। ভাইয়া আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। এছাড়া অনলাইন থেকে অর্ডার করা লোভনীয় সব খাবার গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে ভাইয়া।

 last year 

আমার এই পোস্টটি দেখে আপনার যে ভালো লেগেছে, তা জেনে আমারও ভালো লাগলো আপু।

 last year 

দাদা অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়ার পরে যদি সঠিক সময়ে খাবার পাওয়া যায় তাহলে ভালোই লাগে। আপনি যখন পিজ্জাটা হাতে পেয়েছেন তখনও গরম ছিল। তারমানে তারা পিজ্জা তৈরী করে সাথে সাথেই ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এরকম হলে ভালোই লাগে। যায়হোক বৃষ্টির দিনে নিজের পছন্দের খাবার খাওয়ার অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।

 last year 

আপনি যখন পিজ্জাটা হাতে পেয়েছেন তখনও গরম ছিল। তারমানে তারা পিজ্জা তৈরী করে সাথে সাথেই ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।

হ্যাঁ ভাই, আমাদের এইখানে এরকমই হয়। ঠান্ডা কোন খাবার ডেলিভারি করা হলে কাস্টমার সাধারণত সেগুলো নিতে চায় না, সেই জন্য খাবার তৈরি করার সাথে সাথেই ডেলিভারি বয় এর মাধ্যমে খুব দ্রুত কাস্টমারের কাছে সেই খাবারটা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।