ভ্রমণ || কলকাতায় গিয়ে ঘোরাঘুরি [পর্ব -০১]

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে ভ্রমণ রিলেটেড একটি পোস্ট তোমাদের সাথে শেয়ার করবো। আসলে ভ্রমণ করতে আমাদের সবারই কম বেশি ভালো লাগে। আগে অনেক ভ্রমণ করা হতো তবে এখন খুব বেশি ভ্রমণ করা হয় না। তবে যদি কখনো ভ্রমণ করার সুযোগ পাই আসলেই অনেক ভালো লাগে। কিছুদিন আগে কলকাতায় গেছিলাম একটি সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। সেদিন পরীক্ষা দিতে আমরা একসাথে ছয় জন বন্ধুবান্ধব মিলে গেছিলাম আমাদের এখান থেকে। আমাদের প্ল্যান ছিল পরীক্ষা দেওয়া শেষ করে কলকাতার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখবো।

20240825_144723.jpg

20240825_144525.jpg

20240825_144527.jpg

20240825_121655.jpg

যাইহোক, প্রথমে কলকাতায় গিয়ে যে যার সেন্টারে পৌঁছে আমরা আমাদের পরীক্ষাগুলো দিয়ে কয়েক ঘণ্টা পরে ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে সবাই এক জায়গায় চলে আসি। আসলে আমাদের পরীক্ষা সেন্টার এক জায়গায় ছিল না। একটু দূরে দূরে ছিল তাই সবাইকে ফোন করে এক জায়গায় হতে হয়েছিল। তারপর সেখান থেকে আমরা কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখতে চলে যাই। ঘোরাঘুরি শুরু করার প্রথমে আমরা গেছিলাম দমদম মেট্রো স্টেশনে। আসলে এইখানে গেছিলাম আমাদের সাথে কলকাতা ঘুরতে আমাদের এক বান্ধবীও যেতে চেয়েছিল তাই তাকে নিয়ে আসার জন্য। এইজন্য যদিও আমাদের একটু উল্টো জার্নি করতে হয়েছিল ওকে নিতে যাওয়ার জন্য।

20240825_121702.jpg

20240825_133119.jpg

20240825_133123.jpg

তবে যেহেতু সবাই একসাথে ঘুরবো তাই আমরা আর এসব নিয়ে বেশি চিন্তা করিনি। আমরা সবাই মিলে তাকে নিয়ে পুনরায় মেট্রো ধরে পৌঁছে যাই পার্ক স্ট্রিট নামক মেট্রো স্টেশনে। পার্ক স্ট্রিট নামক মেট্রো স্টেশন থেকেই আমরা হেঁটে হেঁটে কলকাতার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখব এমনটাই প্ল্যান করেছিলাম। এই কলকাতা আমাদের শহর। এখানে যে প্রথমবার গেছি সেরকম কোন ব্যাপার নেই, আগে যখন কলেজে পড়তাম বন্ধু-বান্ধবের সাথে প্ল্যান করে মাঝে মাঝেই কলকাতাতে ঘুরতে যেতাম।আসলে কলকাতায় ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। এইখানে অনেক কিছুই দেখার সুযোগ আছে। অনেক পুরনো আমলের বিল্ডিং থেকে নতুন বিল্ডিং। হঠাৎ হঠাৎ করেই সব কিছু সামনে পড়ে যায় ‌। গোছানো একটা শহর এই কলকাতা। পুরনো কলকাতা এবং নতুন কলকাতার চেহারা দুই রকমই বলা যায়। এই কলকাতা শহরের এমন এমন জায়গা আছে সেখানে গেলে বিদেশের মতো ফিল চলে আসে। আসলে এসব দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে।

20240825_140929.jpg

20240825_140932.jpg

20240825_140936.jpg

20240825_140943.jpg

তাছাড়া কলকাতায় গেলে সুউচ্চ বিল্ডিং একের পর এক দেখা যায়। এখানকার রাস্তাঘাটও থাকে বেশ পরিস্কার। আমরা যে শুধু ঘুরে দেখার প্ল্যান করেছিলাম সেটা কিন্তু নয়। আমরা কলকাতায় গিয়ে টুকটাক খাবার দাবার খাব সেরকম প্লানও করেছিলাম। যাইহোক,আমরা টোটাল ৭ জন বন্ধুবান্ধব পার্ক স্ট্রিট থেকে হাটা শুরু করে বিভিন্ন জায়গা দেখতে থাকি। এই সময় সবার চলার গতি বেড়ে যায় কারণ আমরা অনেকটা জায়গা ঘুরে দেখবো তেমনটাই ভেবেছিলাম। তবে এইসবের মধ্যেও আমি দৌঁড়ে দৌঁড়ে যা পারি ফটোগ্রাফি করছিলাম। আসলে ফটোগ্রাফি করতে গেলেও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু আমার সাথে থাকা বন্ধু-বান্ধবগুলো তাড়াতাড়ি হেঁটে যাচ্ছিলো। তাই যতটুক যা পারি তখন এই ঘুরতে ঘুরতে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। এই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় রেস্টুরেন্ট রয়েছে, তবে সেখানে খাওয়া-দাওয়া করা বেশ কস্টলিও ব্যাপার।

20240825_144355.jpg

20240825_144356.jpg

20240825_144733.jpg

20240825_144740.jpg

আমরা বড় বড় রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কথা প্রথমে ভাবিনি। আমরা বন্ধুবান্ধব মিলে যখন কলকাতার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম আর ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম, আমাদের পুরনো দিনের কথাগুলো মনে পড়ে যাচ্ছিলো। আসলে এই রাস্তায় অনেক বারই আসা হয়েছে ঘুরতে। আর আমি যে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেছিলাম তারা কলেজেও খুব ভালো বন্ধু ছিল আমার। এত দিন ধরেও আমাদের সব সম্পর্ক গুলো ভাল রয়েছে। এইসব জায়গা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সেসব কথা আমরা ভাবছিলাম। আর মাঝে মাঝে আমাদের গল্পের মধ্যেও সেই সব কথা উঠে আসছিলো।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীট্রাভেল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনকলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইলো।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Add a little bit of body text_20240911_022744_0000.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 7 days ago 

আপনার এই পোস্ট পড়ে সেই পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। ছয় জন বন্ধু মিলে ভালোই এনজয় করে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিয়ে আসলেন। আসলে এই একটি মাত্র সময়ের ব্যবধানেই সব বন্ধুরা একে অপরের কাছ থেকে অনেকটা দূরে সরে যায়। এখন যে অবস্থানে রয়েছি, এখন থেকেই বুঝতে পারি যে সেই দিনগুলো কত মধুর ছিল, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 7 days ago 

আসলে এই একটি মাত্র সময়ের ব্যবধানেই সব বন্ধুরা একে অপরের কাছ থেকে অনেকটা দূরে সরে যায়।

এটা আপনি ঠিক কথা বলেছেন আপু। আমার কলেজ লাইফে অনেক বন্ধু-বান্ধব ছিল তবে এখন কিছু সংখ্যক বন্ধু-বান্ধবই টিকে রয়েছে।

 7 days ago 

এটাই তো জীবনের নিয়ম।

 6 days ago 

কলকাতা হলো ঐতিহ্যের শহর সংস্কৃতির শহর। আমার যাওয়ার ইচ্ছা আছে। পরীক্ষা শেষ করে কলকাতা ঘোরার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন। দমদম মেট্রো স্টেশন টা বেশ সুন্দর লাগল। পাশাপাশি অন্য ফটোগ্রাফি গুলো যেগুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো বেশ চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার কর নেওয়ার জন্য ভাই।

 6 days ago 

আপনি কলকাতায় গিয়ে ভ্রমণ করেছেন এবং সেই ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনাদের দেশের এই শহরে আমার যাওয়ার খুব শখ হয়েছে। আমাদের ঢাকা শহরের চেয়ে অনেক সুন্দর গোছালো একটি শহর। যাইহোক আপনি আপনার বর্ণনা সাপেক্ষে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো আমার।