বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে একটি অরিগ্যামি পোস্ট শেয়ার করবো। কাগজ দিয়ে আসলে অনেক ধরনের জিনিসই তৈরি করা যায়। আর কাগজ দিয়ে এসব ভিন্ন ভিন্ন জিনিস তৈরি করতে আমার বেশ ভালোও লাগে। কাগজ দিয়ে এসব ভিন্ন ভিন্ন জিনিস তৈরি করার মাধ্যমে আমি আমার নিজের সৃজনশীলতাকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ পাই। যাইহোক, আজকে আমি তোমাদের পাঁচটি ভিন্ন কালারের মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি তৈরি করে দেখাবো। এই ভিন্ন ভিন্ন কালারের পেপার দিয়ে তৈরি মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি গুলো দেখতে আমার নিজের কাছেও অনেক ভালো লাগছিল। আমি স্টেপ বাই স্টেপ সুন্দর করে এই মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি গুলো তৈরি করে দেখিয়েছি নিচে। তোমরা যদি কেউ এই মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি তৈরি পদ্ধতি শিখতে চাও তাহলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে সহজেই শিখে নিতে পারবে। যাইহোক, তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি গুলো তৈরির পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:
▪️ ১২/১২ সেমি বিভিন্ন কালারের পেপার
▪️ বিভিন্ন কালারের স্কেচ পেন

প্রথম ধাপ
প্রথম ধাপে, একটি ১২/১২ সেমি কাগজ নিয়ে তার চার কোণ বরাবর ভাঁজ করে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার সেই কাগজটিকে ত্রিভুজাকৃতির মতো ভাঁজ করে নিয়ে তার দুই কোণ মাঝ বরাবর ভাঁজ করে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
এই ধাপে, চিত্রের ধাপ গুলো অনুসরণ করে আরও কিছু ভাঁজ করে নিলাম এবং ভিন্ন ভিন্ন কালারের স্কেচ পেনের সাহায্যে মুরগির পা,চোখ ও মুখ এঁকে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
এবার উপরের প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরণ করে আরও চারটি ভিন্ন কালারের পেপার দিয়ে চারটি ভিন্ন কালারের মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি তৈরি করে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
সবগুলো অরিগ্যামি এক জায়গায় রেখে এই ফটোগ্রাফিটি করে নিলাম।


পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | অরিগ্যামি |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
অরিগ্যামি মেকার ও ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা বিভিন্ন কালারের মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি গুলো তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ সবাইকে

আমার পরিচয়
আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

বাহ ভাইয়া আপনি তো চমৎকার ভাবে পাঁচটি কিউট মুরগির বাচ্চা তৈরি করেছেন। ভিন্ন ভিন্ন কালারের বাচ্চাগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগলো। চোখ মুখ আঁকিয়ে গাল দুটি আঁকানোর জন্য দেখতে আরো বেশি ভালো লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার শেয়ার করা এই অরিগ্যামি গুলোর প্রশংসা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
বাহ আপনি তো দেখতেছি রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর কিছু মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি বানিয়েছেন। রঙিন কাগজ দিয়ে কিছু বানালে যেমন ভালো লাগে দেখতেও বেশ চমৎকার লাগে। রঙিন কাগজের মুরগির বাচ্চাগুলো সত্যি অসাধারণ হয়েছে। যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে রঙিন কাগজ দিয়ে মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা এই মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি গুলো যে আপনার কাছে খুব সুন্দর লেগেছে তা জেনে আমার অনেক ভালো লাগলো ভাই। আপনার এই প্রশংসা মূলক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে কয়েকটি ভিন্ন কালারের খুব সুন্দর মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি তৈরি করেছেন। মুরগির বাচ্চা গুলো আমাকে দিয়ে দিয়েন। আমি এগুলো কে লালন পালন করে বড় বানানো। মুরগির বাচ্চা গুলো দেখতে বেশ কিউট হয়েছে। রঙিন কাগজ দিয়ে এই ধরনের ছোট ছোট জিনিস বানালে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর অরিগ্যামি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হিহি... আচ্ছা আপু ঠিক আছে, আপনার জন্য এই মুরগির বাচ্চাগুলো রেখে দিলাম। এগুলো বড় হওয়ার আগেই আমার কাছ থেকে নিয়ে নেবেন তাহলে। 🐥🐥
আরে বাহ্, আপনি তো দেখছি অনেক কিউট দেখতে মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি তৈরি করে নিয়েছেন। ভিন্ন ভিন্ন কালারের রঙিন কাগজ দিয়ে মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি তৈরি করাতে, দেখতে অনেক বেশি কিউট লাগছে। ভাঁজে ভাঁজে এগুলো তৈরি করা কিন্তু অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। অনেক সুন্দর করে আপনি চোখ মুখ এঁকেছেন মুরগির বাচ্চা গুলোর। আপনার উপস্থাপনার মাধ্যমে খুব সহজেই কিউট মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি তৈরি শিখে নিতে পারলাম।
আমার শেয়ার করা এই মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি গুলো যে আপনার কাছে কিউট লেগেছে, তা জেনে খুব খুশি হলাম আপু আমি। আপনার এই প্রশংসা মূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ চমৎকার ভাই। খুবই সুন্দর লাগছে। রঙিন কাগজ দিয়ে কয়েকটা ভিন্ন কালারের মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি টা দারুণ তৈরি করেছেন। সবমিলিয়ে বেশ চমৎকার ছিল পোস্ট টা। প্রতিটা ধাপ বেশ সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
সব মিলিয়ে আমার শেয়ার করা এই অরিগ্যামি পোস্টটি যে আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে, সেটা জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই আমার। আপনার এই প্রশংসা মূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ কিউট অরিগামি তৈরি করেছেন মুরগির বাচ্চার। ভালো লাগলো আপনার আজকের অরিগামিটা দেখে। প্রত্যেকটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো এগুলো দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর অরিগামি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা এই মুরগির বাচ্চার অরিগ্যামি গুলো দেখে আপনার কাছে যে কিউট লেগেছে তা জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু আমার। আপনার এই মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুণ আর্ট করেছেন দাদা রঙ্গিন কাগজের ভিন্ন ভিন্ন কালারের মুরগির বাচ্চা গুলো।মুরগির বাচ্চা দেখতে সত্যি এইরকমই হয়। খুব ভালো লাগছে দেখতে বাচ্চা গুলো।ধাপে ধাপে কাগজ তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এত সুন্দর ভাবে আমার এই কাজের প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি। ভালো লাগলো আপনার এই প্রশংসা মূলক মন্তব্যটি পড়ে।
🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷
আমার ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এবং ফিশেরিস গুণ্ডম্যান সাবজেক্ট নিয়ে, আপনি কি আমার অভিলাষ এবং ইচ্ছা বুঝতে পারেন?
বাহ কত কিউট মুরগির বাচ্ছা। এমনিতেও বাস্তাবে মুরগির বাচ্ছাকে দেখতে কিউট লাগে। আপনার অরিগ্যামির মধ্যে তেমনিই লাগছে। আমাদের বাড়িতে মুরগির বাচ্ছা আছে তো তাই দেখি। ধন্যবাদ।