[ফোটোগ্রাফি পোস্ট] প্রোফেসর শঙ্কু পার্কে একদিন : পর্ব - ০৩steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)


বিগত দুই পর্বে "শঙ্কু পার্ক" -এর প্রথম ও দ্বিতীয় অংশের ফোটো আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি । আজ তৃতীয় অর্থাৎ, পার্কটির মাঝের অংশের ফোটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হতে চলেছি ।

আজকে steemit.com ডাউন আছে, তাই পোস্ট করতে বিশাল কষ্ট হচ্ছে । খুব বেশি লিখছি না তাই আজকে আর । পার্কটির এই অংশ খুব বেশি বড় নয় । কিন্তু, অজস্র ছোট বড় গাছ আর ঝোপ ঝাড়ে ভর্তি এদিকটায় । পুব দিকের অংশে প্রচুর ফুল গাছের সারি রয়েছে । ফুল গাছের ফাঁকে ফাঁকে অনেকগুলি বসবার বেঞ্চি পাতা আছে । এই সব বেঞ্চির একটাও সেদিন ফাঁকা পাইনি আমরা ।

সব গুলোই ভর্তি প্রেমিক-প্রেমিকাদের দ্বারা । কেউ বা জড়াজড়ি করে বসে আছে । কেউ বা আরেকজনের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে । আরো কত যে ভঙ্গিমায় সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার ঠিক নেই । কিন্তু, মজার ব্যাপার হলো যেদিকটায় বড় কোনো গাছপালা বা ঝোপঝাড় নেই সেদিকের বেঞ্চিগুলো একদম বিলকুল ফাঁকা ।

তেমনই একটা ফাঁকা বেঞ্চিতে বসে তনুজা পোজ দিলো । আর আমি কয়েকটা ফোটো তুলে দিলাম । এই অংশের একদম মধ্যিখানে রয়েছে সত্যজিতের সেই ফেমাস শঙ্কু কাহিনী "কর্ভাস" এর কাকটি । কাকের বৈজ্ঞানিক নাম হলো কর্ভাস । আর এই গল্পে কাকটির নামও ঠিক তাই । কর্ভাস । এটি দারুন একটি গল্প । প্রোফেসর শঙ্কু তার পাখি পড়ানোর যন্ত্র অর্নিথন এর সাহায্যে কর্ভাসকে অতীব বুদ্ধিমান করে তোলেন ।

একটি প্রকান্ড লোহার খাঁচার মধ্যে পাথরের তৈরী প্রকান্ড একটি কাকের মূর্তি রয়েছে পার্কের ঘাসে ঢাকা মাঠটার ঠিক মাঝখানে । আর সামান্য একটু এগিয়ে পশ্চিমদিকে অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে তাসমানিয়ান ফ্লাক্স লিলি বা screw pine এর ঝাড় । আর একদিকে রয়েছে Bengal Tiger Canna Lily । দারুন দেখতে এই লিলিগুলো ।

এই লিলির ঝোপের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেশ কিছু আদিম মানুষের মূর্তি । সত্যজিতের সেই বিখ্যাত মানুষের বিবর্তন নিয়ে লেখা কল্পবিজ্ঞান "প্রোফেসর শঙ্কু ও আদিম মানুষ" অবলম্বনে এই মূর্তি গুলো তৈরী করা হয়েছে ।

যাই হোক আজকে এ পর্যন্তই । আগামী অংশে থাকবে কিছু চমক ।



এই সেই দারুন লিলিগুলো । এগুলো তাসমানিয়ান ফ্লাক্স লিলি বা screw pine

তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ২৫ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।



প্রোফেসর শঙ্কুর বিখ্যাত আবিষ্কার অরনিথনের মাধ্যমে মানুষের মতো বুদ্ধিমান করে তোলা হয় কর্ভাসকে । এই সেই কর্ভাসের মূর্তি । সাথে আমাদের টিনটিনবাবুও রয়েছে ।

তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ২৫ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


দারুন সুন্দর সব লিলিদের মাঝে বেঞ্চি পাতা । প্রকৃতির সান্নিধ্যে দারুন সময় কাটবে লিলিদের মাঝে ।

তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


লিলিদের মাঝে তনুজার বেশ কয়েকটি পোজের ফোটোগ্রাফ ।

তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


প্রোফেসর শঙ্কু ও আদিম মানুষ গল্পের সেই আদিম মানুষের প্রতিকৃতি ।

তারিখ : ২৭ আগস্ট ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)


তারিখ : ৩০ আগস্ট ২০২৩

টাস্ক ৩৭১ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 5ece9cf60b2f4eee07e4a96618471b7d01358f34685d8a32cd22ec47a2f78190

টাস্ক ৩৭১ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Sort:  
 last year 

পরিবারের সাথে এমন মুহূর্তগুলো সত্যি অসাধারণ।

টিনটিনের ছবি দেখে একটা গান মনে পড়লো।

খোকাবাবু যায়, লালজুতো পায়

বড় বড় দিদিরা সব উঁকি মেরে চায়

😂

Posted using SteemPro Mobile

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

দাদা আপনার পোস্টটি পড়ছিলাম আর হাসছিলাম। এরকমই তো হওয়ার কথা দাদা। পার্ক থাকবে আর প্রেমিক-প্রেমিকা থাকবে না, সেটা কি করে হয়? কি সুন্দর সময় কাটাচ্ছে তারা. বৌদির ছবিগুলো কিন্তু প্রতিটা বেশ সুন্দর হয়েছে। আর জায়গাটিও বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আমাদের এদিককার পার্ক গুলোতে একই অবস্থা দাদা। পার্কে পরিবার নিয়ে গেলে মাঝে মাঝেই লজ্জা পেতে হয়। শঙ্কু পার্কের এই পর্বটাও দারুন ছিল দাদা। বিশেষ করে টিনটিন সোনা এবং বৌদিকে দারুন দেখাচ্ছে। সবমিলিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্ব দুটোই দেখা হয়েছে।এবার তৃতীয় পর্বটি দেখা হলো।আর দাদা আপনার মতো আমাদের ও আজকে সার্ভার ডাউন থাকার কারনে পোস্ট করতে অনেক সমস্যা হয়েছে। যাইহোক এই পর্বের ফটোগ্রাফিগুলোও চমৎকার লাগছে।অবশ্য দ্বিতীয় পর্বে আমাদের টিনটিন বাবুকে দেখতে পাইনি। এই পর্বে দেখতে পেলাম।টিনটিন বাবু ও বৌদির ফটোগ্রাফিগুলো খুবই সুন্দর লাগছে।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রহিলাম দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আশা করি শ্রদ্ধেয় দাদা ভালো আছেন? আজকে প্রোফেসর শঙ্কু পার্কে তৃতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রিয় দিদি সহ স্নেহের টিনটিন বাবুকে দেখে খুব ভালো লাগলো। আজকের পর্ব টা খুবই দুর্দান্ত হয়েছে শ্রদ্ধেয় দাদা। আসলে পার্কে গেলে মাঝে মধ্যে খুব বিরক্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। এত দুর্দান্ত পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

একটা বিষয় আমি অনেকবার কেয়াল করেছি দাদা। সেটা হচ্ছে যে আপনি যখনই কোথাও ঘুরতে যান কোন পার্কে তখনই প্রেমিক-প্রেমিকাদের যেন মেলা বসে যায় 🤭🤭। আজকেও তাই হলো কিন্তু পার্কের এমন সুন্দর দৃশ্য দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। পরিবারকে নিয়ে অনেক সুন্দর ঘোরাফেরা করলেন। আনন্দঘন মুহূর্ত কাটালেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আজকে সার্ভার ডাউনের জন্য পোস্ট করতে আসলেই বিরক্ত লেগেছে দাদা। যাইহোক টিনটিন বাবু তো বেশ আনন্দ করেছে দেখা যাচ্ছে। দাদা প্রেমিক প্রেমিকারা তো আড়ালে থাকতে খুব পছন্দ করে। ওঁরা যদি পারতো তাহলে সবাইকে অন্ধ করে দিত। যাতে করে কেউ কিছু দেখতে না পায়। পরিবার নিয়ে পার্কে ঘুরতে গেলে মাঝে মধ্যে লজ্জায় পরতে হয় এদের জন্য। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

টিনটিন বাবুকে নিয়ে প্রোফেসর শঙ্কু পার্কে ঘুরতে যাওয়া তৃতীয় পর্বে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন দাদা।পার্কের পূর্ব পাশে অনেকগুলো গাছ থাকায় সেই জায়গাটি দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে।আজকের পোস্টের টিনটিন বাবুকে দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

Posted using SteemPro Mobile