Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ১২
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ১২
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ১১
শুভ অপরাহ্ন বন্ধুরা,
শীতের কুশয়াচ্ছন্ন বিষণ্ণ অপরাহ্নের উষ্ণ-শীতল স্বাগতম সবাইকে । আশা করি সবাই করোনাময় দিনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন ।
আমাদের স্টেটে তিন দিনের লকডাউন চলছে । ওষুধ, ব্যাংক আর মুদি দোকান ছাড়া বাকি সব বন্ধ । সকালে ব্যাংকে গিয়েছিলাম । মিটিং ছিলো ব্যাঙ্ক ম্যানেজার আর অফিসারদের সাথে । সেই দশটায় গিয়ে একটু আগে ফিরে স্নান করেই বসে গেলাম পোস্ট করতে । করোনাময় দিন যাপনে ক্রমে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি । এখনো পর্যন্ত আমি আনটাচড আছি, বাট কতদিন পর্যন্ত থাকতে যে পারবো সেটাই বুঝতে পারছি না ।
করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট "ওমিক্রণ" যথেষ্ঠ ছোঁয়াচে । তবে এর ডেস্ট্রাক্টিভ পাওয়ার কিছুটা কম "ডেল্টা"-র থেকে । আমাদের স্টেটে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়েছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট "ওমিক্রণ" । বাড়িতেই আমরা rapid test kit দিয়ে কাল পরীক্ষা করে নিয়েছি । করোনা নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে । টেস্ট করলাম কারণ এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট উপসর্গহীন ।
যাই হোক, আমার মিউজিয়াম পরিদর্শনের আজকে ১২ তম পর্ব । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো "উপমহাদেশের কৃষি, কৃষিজাত দ্রব্য, কুটির শিল্প এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা ও শিল্প" সংক্রান্ত অসাধারণ সব মিনিয়েচার মডেল । মডেলগুলি সবই কিন্তু কাঠের তৈরী ।
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আয়োজন ।
সেগুন কাঠের তৈরী খড়ম । এটা জুতার বিকল্প । প্রাচীনকালে ব্যবহৃত হতো । কি করে যে পায়ে দিতো সেটাই আশ্চর্যের ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কাঠের তৈরী মিনিয়েচার মডেল । শস্য মাড়াইয়ের কাজ শেষ । এখন গরুর গাড়িতে করে বাড়ি নিয়ে গোলায় ভরা হবে । সেই জন্য বলদ দুটোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে গাড়িতে জোতার জন্য ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
চাষের জন্য শস্যক্ষেত্র কর্ষণ করা হচ্ছে বলদ দিয়ে । আগেকার সময়ে এমনি ভাবেই ষাঁড় দিয়ে লাঙল টেনে জমি চাষ করা হতো । এখন তার জায়গা দখল করে নিচ্ছে যন্ত্রচালিত পাওয়ার টিলার ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বস্তা ভর্তি শস্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মোষের গাড়িতে করে । মোষ বা মহিষ অনেকটা গরুর মতো দেখতে এক ধরণের প্রাণী । তবে আকারে গরুর চাইতে অনেক বড় হয় ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পাহাড়ি নদী । আগেকার সময়ে এই সব নদীর জল কৃষি ক্ষেত্রে সেচের জন্য ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হতো । এখন তার জায়গা দখল করে নিচ্ছে বিদ্যুৎচালিত জলের পাম্প । নদীতে একটি মাড ক্র্যাব কে দেখা যাচ্ছে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি গম পেষাই গ্রামীণ কারখানা । দেখা যাচ্ছে গ্রামের বধূরা যাঁতা কলে গম পেষাই করছে সারিবদ্ধভাবে একটি চলা ঘরের নিচে বসে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি ঢেঁকি । এক জন মহিলা ঢেঁকিতে পাড় দিচ্ছে, মানে ধান ভানছে । ঢেঁকি এখন বিলুপ্তপ্রায় । অথচ আগে ঢেঁকি ছাড়া ধান থেকে চাল তৈরী করার আর কোনো ওয়ে ছিলো না । আর বেশ কিছু মিনিয়েচার মডেল দেখা যাচ্ছে - এক জন ধান সিদ্ধ করছে হাঁড়িতে, এক জন সদ্য ঢেঁকি ভানা ধান থেকে খুঁদ-কুঁড়ো ঝাড়ছে কুলো দিয়, এক জন ফ্রেশ ধান হাঁড়ি বোঝাই করছে, আর এক জন মজুর চালের বস্তা গরুর গাড়িতে লোড করতে যাচ্ছে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ধান কাটা, কেটে শস্যক্ষেত্রে সেটা গাদা করে রাখা (যাকে বলে পালা দেওয়া) এবং ধান মাড়াইয়ের কাজ এটি নিখুঁতভাবে এই মিনিয়েচার মডেলটিতে ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
তুলো চাষ । যেটা আমাদের বয়নশিল্পে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
সত্যিই অসাধারণ কিছু ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। আসলে এরকম দৃশ্যগুলো কোন একসময় দেশে দেখা যেত। কিন্তু এখন সেই দৃশ্যগুলো দেখা যায় না। শুধুমাত্র রূপকথার পাতায় অথবা কোন জাদুঘরে দেখা যায়। সবগুলো ফটোগ্রাফিই খুব আকর্ষনীয় হয়েছে।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
দাদা প্রথমে আমি আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। সেই সাথে আপনাদের প্রতি অনুরোধ করছি একটু সাবধানে থাকবেন। আপনারা সবাই এখন সুস্থ্য আছেন শুনে ভালো লাগলো কেননা আপনারা করোনা টেস্ট করিয়েছেন। আপনার ধারাবাহিক পর্ব গুলো আমার কাছে বরাবর খুব ভালো লাগছে। আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারছি, শিখতে পারছি, দেখতে পারছি যে সম্পর্কে আমার কোন অভিজ্ঞতা ছিলোনা পূর্ব কোন ধারণা ছিল না সেই বিষয়গুলো নিয়ে। আজ আপনি উপমহাদেশের কৃষি কাজ কিভাবে সম্পন্ন হতো সে বিষয়গুলো নিয়ে ফটোগ্রাফি করেছেন যা আমি জানতাম না, কেননা ছোটবেলা থেকেই আমার শহরে বেড়ে ওঠা। সুন্দর জ্ঞানভিত্তিক ফটোগ্রাফি করার জন্য আপনাকে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আজকের প্রতিটি ফটোগ্রাফি বাস্তব মনে হচ্ছে। এবং এগুলো খুবই সুন্দর লাগছে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। আপনার পরিবারের সবাই ভালো আছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। সব সময় সুস্থ থাকেন এই প্রার্থনা করি।
দাদা কাঠের তৈরি জিনিসগুলো দেখে অনেক ভালো লাগল।যেগুলো আমাদের আদি পুরুষের কিছু স্মৃতি বহন করে। আর আমরা সবাই করোনায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছি।তবে বর্তমানে আমাদের এই খানে ১১ দফা জারি করা হয়েছে যেগুলো না মানলে কঠোর শান্তি প্রদান করবে।দোয়া করি যেন সৃষ্টি কর্তা আমাদের সকলকে বিপদ থেকে রক্ষা করে।
দাদ আজকে তো আপনি মিউজিয়াম এর অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।
এই ছবিটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতেছি মিউজিয়ামের। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি
দাদা প্রথমেই বলব আপনি এবং আপনার পরিবার নিয়ে সাবধানে থাকবেন। পুনরায় করোনা মহামারী যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রত্যেকের দিনকাল খুবই ভয় ভয় কাটছে। তবে এটা শুনে ভালো লাগলো দাদা আপনারা সুস্থ আছেন।
দাদা আজকের মিউজিয়ামের ছবিগুলো তো আরো বেশি অসাধারণ ছিল। প্রতিটা জিনিস একটা সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে বাস্তব। আমার কাছে এই ধরনের দৃশ্য খুবই ভালো লাগে। তবে দাদা আজকের পোস্টে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
খড়ম গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ শক্ত । এইটা চিন্তা করলে মাঝে মাঝে আমিও বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ি , কেমনে মানুষ খড়ম পরিধান করতো ? যাইহোক ভাই বাকি ছবি গুলোও অনেক সুন্দর হইছে । নিজের প্রতি খেয়াল রাখিয়েন । শুভেচ্ছা রইল।
একেকটা ছবি একেক রকম ভালো লাগা।এক কথায় অসাধারণ। মানুষ যখন খরম পরে হেটেছে,,কেমনে হাটছে।তুলা চাষ, ধান কাটা, ঢেকি, গম পেষাই গ্রামীণ কারখানা,সব গুলা ছবিই সুন্দর দাদা।আপনাকে ধন্যবাদ।