কালীপুজো ১৪২৯ : পূজা পরিক্রমা পর্ব ০৯ [শেষ পর্ব]steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago


আজকে শেষ হতে চলেছে আমার কালীপুজো পরিক্রমার ধারাবাহিক পোস্টটি । আজকে এপিসোড নাম্বার নয় । লাস্ট পুজো প্যান্ডেলটি অসাধারণ ছিল । থিম ছিল পৃথিবী ও প্রকৃতি । ক্রমাগত নগরোন্নয়নের বিষবাষ্প গ্রাস করে চলেছে সমগ্র পৃথিবীকে । এই বিষবাষ্পে আচ্ছন্ন সমগ্র পৃথিবী এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে ।

ক্রমাগত বৃক্ষছেদন ও অরণ্যভূমি ধ্বংসের ফলে পৃথিবীর শেষ সময় আগতপ্রায় । এখনো কিছুটা সময় আমাদের হাতে রয়েছে পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য । পৃথিবীকে আসন্ন এই ধ্বংসের হাত হতে পরিত্রাণের জন্য একমাত্র উপায় হলো বেশি বেশি করে বৃক্ষরোপন ।

যত বেশি করে গাছ লাগানো হবে ততই একটু একটু করে পৃথিবীর অসুখ সেরে যাবে । আমাদের এই প্রিয় বাসভূমি পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য গাছ লাগানো ব্যতীত আর কোনো পথ খোলা নেই আমাদের সামনে । এই থিমটিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এই পুজো প্যান্ডেলটি । পৃথিবী ও প্রকৃতি হলো এই থিমের নাম । এখানে জগন্মাতা শ্যামা মা কে পৃথিবী রূপে দেখানো হয়েছে ।

অনেক্ষণ ধরে ঘুরে ঘুরে, প্রায় ২০-২৫ মিনিট ধরে এই পুজো প্যান্ডেলটি পরিগ্রহ করেছি আমরা । অসাধারণ প্যান্ডেল সজ্জা । অপরূপ বিগ্রহ আর অসাধারণ এক আলো আঁধারি পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিল পুরো পুজো প্যান্ডেল জুড়ে । প্রকান্ড এই পুজো প্যান্ডেলটি মোট ৭ টি খন্ড জুড়ে ছিল ।

পুজোর মাঠের ঠিক মাঝখানে প্যান্ডেলের ঠিক বাম পাশেই বিশাল বড় একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছিলো । পুজোর পাঁচটি দিন জুড়েই সন্ধ্যা থেকে রাত অব্দি প্রতিদিন এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংঘটিত হয়েছিল । এই মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, এম এল এ এবং সংসদ উপস্থিত হয়েছিলেন এবং অনুষ্ঠানটির লাইভ টেলিকাস্ট করা হয়েছিল টেলিভিশনের পর্দায় ।

আর পুজো প্রাঙ্গনে বিশাল একটা মেলা বসেছিল । আমরা এই মেলা থেকে বেশ কিছু খাবার ও মিষ্টি পান কিনলাম । গোলটুবাবু কয়েকটি শিশুদের রাইডে চড়লো । আমি এয়ার গান ফুটালাম । তারপরে রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ বাড়ি ফিরে এলাম ।


পুজোর মাঠে ঢোকার প্রধান গেটের সামনে প্রকান্ড একটা রোবট ভালুক । এটির সাইজ আসল ভালুকের সমান । ডাকতে পারে আর নড়াচড়া করতে পারে ।

তারিখ : ২৭ অক্টোবর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ১০ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


পুজোর মাঠের ঠিক মধ্যিখানে বিশাল বড় একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে ।

তারিখ : ২৭ অক্টোবর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ১৫ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


পুজো প্যান্ডেলে ঢোকার প্রধান তোরণের থিম সামনে এই স্ট্যাচুটা দাঁড়িয়ে ।

তারিখ : ২৭ অক্টোবর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ২০ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


পুজো প্যান্ডেলের বহিঃ দেওয়ালের অঙ্গসজ্জা । বাঁশের লাঠি, কাগজ আর কাপড় দিয়ে তৈরী অসংখ্য আদিবাসীদের মূর্তি আর বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরী ঢাল । ঢালের ঠিক মধ্যিখানে একটি প্রস্ফুটিত শ্বেতকমল । এই হলো মেইন প্যান্ডেলের দেওয়াল সজ্জা ।

তারিখ : ২৭ অক্টোবর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৩০ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


প্যান্ডেলের আরেকটি ভাগে যাওয়ার তোরণ এটি । তোরণের মাথার উপরে দেখা যাচ্ছে ধরিত্রী মাতার বিশাল একটি অবয়ব ।

তারিখ : ২৭ অক্টোবর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৪০ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


যন্ত্রসভ্যতার কঠিন নাগপাশে বন্দী ধরিত্রী মাতা। আর এই যান্ত্রিক সভ্যতা আমাদেরকেও আষ্টে পৃষ্টে বন্দী করেছে । এগুলোই শিল্পী সুনিপুনভাবে তার শিল্পের মাধ্যমে এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন ।

তারিখ : ২৭ অক্টোবর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৫০ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ষষ্ঠ ভাগে প্যান্ডেলের ভেতরকার দেওয়ালের সাজ সজ্জা ।

তারিখ : ২৭ অক্টোবর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৯ টা ০০ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


প্যান্ডেলের ভেতরে প্রধান পুজো মণ্ডপের ভেতর জগন্মাতা শ্রী শ্রী শ্যামা মায়ের মূর্তি ধরিত্রীমাতার রূপে ।

তারিখ : ২৭ অক্টোবর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৯ টা ১০ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus

ক্যামেরা মডেল : EB2101

ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ



✡ ধন্যবাদ ✡


Sort:  
 2 years ago 

এক কথায় অসাধারণ একটা থিম এবং চমৎকার ছিল কালার লাইটিং, চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য যাকে বলে পূজার মন্ডপটা খুবই চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 2 years ago 

আশা করি শ্রদ্ধেয় দাদা, ভালো আছেন? এতদিন পর্যন্ত কালীপুজো পর্ব দেখেছি। আপনি কালী পূজার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো পর্বের মাধ্যমে আমাদের মাঝে ধীরে ধীরে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। । আজকে কালীপুজো পর্ব শেষ হয়ে গেল কেন যেন আরো পর্ব দেখার ইচ্ছে জাগছে। ফটোগ্রাফি গুলো অত্যন্ত দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। বিশেষ করে প্রতিমা গুলো দেখতে অত্যন্ত সুন্দর লাগছে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন দাদা।

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

 2 years ago 

বাহ,দেবীমায়ের মূর্তিটি অপূর্ব সুন্দর।আর অসাধারণ প্যান্ডেলের মাধ্যমে বর্তমানের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে এবং মানুষের কাছে সচেতন বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে।এই পান্ডেলগুলি যেমন সুন্দর তেমনি এর শিক্ষনীয় দিকগুলো ও।আদিবাসীদের মূর্তি আর বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরী ঢালটি দেখে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

এরকম একটি ভাল্লুক চট্টগ্রাম এও আছে।হয়তো এভাবেই বেটারি দিয়েই চালায়, মানুষ সামনে আসলেই হুংকার দিয়ে উঠে।এই থিমটা ভালো হয়েছে বেশ কালারফুল।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



 2 years ago 

ধন্যবাদ দাদা পুজা মন্ডপ এর ছবি গুলো শেয়ার করে আমাদের দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। অনেক ভালো লাগলো দেখে। ২০১৯ সালের কালী পুজাতে আমি কলকাতাতেই ছিলাম অনেক সুন্দর আয়োজন হয় ওখানে। অনেক ঘুরেছি, অনেক ভালো লেগেছে। ইচ্ছে আছে সামনে আবার যাবো কালী পুজাই।

 2 years ago 

পুজোর থিমটি সত্যিই অসাধারণ ছিল। আসলে পৃথিবী দিনে দিনে দূষিত হয়ে যাচ্ছে। হয়তো আমরা সচেতন নই বলেই আমাদের বাসযোগ্য এই পৃথিবী ধীরে ধীরে বাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবী ও প্রকৃতি এই থিমের উপর পুজো প্যান্ডেলটি সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। বাঁশের তৈরি বিভিন্ন কারুকার্য গুলো একেবারে চোখ ধাঁধানো ছিল। দেখেই চোখ জুড়িয়ে গেল দাদা। আমাদের ছোট গোলটুবাবু নিশ্চয়ই অনেক মজা করেছে। পূজা প্যান্ডেলের দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। ডেকোরেশন সত্যিই অসাধারণ ছিল দাদা।