Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ০৯
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ০৯
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ০৮
শুভ অপরাহ্ন বন্ধুরা,
শীতের অপরাহ্নের উষ্ণ স্বাগতম সবাইকে । আশা করি সবাই বিন্দাস আছেন ।
আজকে আমি শেয়ার করবো প্রাণীজগৎ - "প্রাণী ও তাদের আবাসস্থল, খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশ ও প্রকৃতি, অভিযোজন, ক্রমবিকাশ ও বিবর্তন এবং বিলুপ্তি" এই সম্পর্কিত নানারকমের প্রাণীদের taxidermic দেহের ফোটোগ্রাফ । taxidermic প্রাণী বলতে বোঝায় প্রাণীদের মৃত্যুর পরে চামড়া অক্ষুন্ন ও অবিকৃত রেখে তাদের দেহের মধ্যে খড়-কুটো ও স্পঞ্জ ভরে অবিকল জীবিত প্রাণীর রূপ দেওয়া । এদেরকে স্টাফ করা মাউন্টেড প্রাণীও বলা হয়ে থাকে । তাই এরা "মডেল" নয় "আসল" প্রাণী দেহ ।
এই মিউজিয়ামে এমন অনেক প্রাণীর স্টাফড করা দেহ রাখা আছে যারা এখন সম্পূর্ণ বিলুপ্ত বা অতি বিরল প্রজাতির, অর্থাৎ বিলুপ্তির পথে । সে দিক থেকে দেখতে গেলে আমরা ভাগ্যবান যে জীবিত না হলেও মৃত এদেরকে দেখতে পাচ্ছি, একেবারে জীবিত প্রাণীর ন্যায় । এটাই ট্যাক্সিডার্মির মাহাত্ম্য ।
চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আয়োজন ।
মেরিন লাইফ । নানারকমের পরিফেরা ও সিলেন্টেরাটা, একাইনোডার্মাটা, আর্থ্রোপোডা ও মোলাস্কা প্রাণী, সামুদ্রিক রংবেরঙের মৎস্য এবং একটি হাঙ্গরকেও দেখা যাচ্ছে । সবই কিন্তু স্টাফ করা ওরিজিনাল প্রাণী দেহ ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : ২১ শে ডিসেম্বর ২০২১
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
লেপার্ড ও মেছো বাঘের স্টাফ করা দেহ ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : ২১ শে ডিসেম্বর ২০২১
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী সোনালী উল্লুকের স্টাফড করা দেহ
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : ২১ শে ডিসেম্বর ২০২১
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
Asian palm civet এর একটি প্রজাতি, এরা এক ধরণের ভাম বিড়াল । পাখি ধরে খায় । পাখিরা গণবিলুপ্তির পথে তাই এরাও এখন গণবিলুপ্তির পথে ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : ২১ শে ডিসেম্বর ২০২১
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পার্বত্য লেপার্ড ও পাহাড়ি ছাগল। মাউন্টেড ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : ২১ শে ডিসেম্বর ২০২১
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পাখি শিকারে ওঁৎ পেতে আছে একটি ভাম বিড়াল । এখানে প্রাণীদেহের পাশাপাশি উদ্ভিদগুলোকেও বিশেষ ভাবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে । যেমন এই বাঁশ গাছটি ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : ২১ শে ডিসেম্বর ২০২১
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
স্টাফ করা একটি গ্রে হোয়াইট শার্কের সম্পূর্ণ দেহ
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : ২১ শে ডিসেম্বর ২০২১
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
দাদা বিশেষ করে সোনালী উল্লুক ও সামুদ্রিক গ্রে হোয়াইট শার্কের স্টাফ আলোকচিত্র আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। তাছাড়া সব ছবি ও তার বর্ণনা অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
support me please
ট্যাক্সিডার্মিক শব্দটি সম্পর্কে এর আগে কখনো কোনো আইডিয়া ছিলো না। আজই প্রথম এই শব্দটি সম্পর্কে জানলাম এবং স্বচক্ষে শিখলাম। চমৎকার ছিল দাদা আজকের এই পর্বটি। সবগুলো প্রাণী মনে হচ্ছিল একদম জলজ্যান্ত।
মমিকরা মাউন্টেড প্রাণীর অসাধারণ কিছু আলোক চিত্র দেখলাম।আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। কারণ এর আগে এরকম চিত্র আমি দেখিনি।
কালের বিবর্তনে পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এমন অনেক প্রণী।।
support me please
এসব প্রাণী সম্পর্কে আগে জানতাম না দাদা । স্টাফ করা প্রাণী সম্পর্কে আমার কম ধারণা ছিল । এই পোস্টের মাধ্যমে আমাদের কিছু জানতে পারলাম । আর এসব প্রাণী আগে কোনোদিন দেখিনি । আজকে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে দেখার সৌভাগ্য হল । ধন্যবাদ আপনাকে দাদা ।
support me please
দাদা আপনার কাছ থেকে জানার এবং শেখার অসংখ্য জিনিস আছে। আগে কখনো শুনিনি প্রাণীর দেহ স্টাফড করে এভাবে রাখা যায়। আজকে প্রথম শুনলাম এবং দেখলাম। প্রতিটি প্রাণীকে দেখে একেবারে জীবন্ত মনে হচ্ছে। দেখে বোঝার উপায় নাই যে প্রাণীগুলো জীবিত নয়। ভাম বিড়ালটিকে দেখে তো মনে হচ্ছে এখনই লাফ দিবে। মনে হচ্ছে গ্রে হোয়াইট শার্কটি পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে। সবগুলো প্রাণীর ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে।
support me please
আমি বিন্দাস আছি দাদা। আপনি কেমন আছেন??
স্টাফ বা মাউন্ডেট প্রাণী দেহ সম্পর্কে আগে জানতাম না। আপনার আজকের পর্বের পোস্ট টা এককথায় অসাধারণ ছিল। একেবারে চোখ চমকানো সব দৃশ্য।
লেপাড,সোনালি উল্লুক এবং শার্কটার স্টাফ তো অসাধারণ ছিল। এবং বাকিগুলো জাস্ট👌👌।
support me please
দাদা প্রস্তর মূর্তির চাইতে স্টাফ করা প্রাণীদেহের এই অংশটুকু আমার কাছে বেশি আকর্ষণীয় মনে হল। ঢাকা মিউজিয়ামেও আমি বেশকিছু স্টাফ করা প্রাণীর দেহ দেখেছি। অবাক হতে হয় যারা এগুলো তৈরি করেন তাদের কর্ম নৈপুণ্য দেখে। একবারও মনে হয় না যে এগুলো মৃত। শুধু যেন একটু নড়াচড়ার অপেক্ষা। পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
support me please
সত্যি বলতে কি ভাই এইরকম আমি প্রথম দেখলাম। ধন্যবাদ দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
support me please
ভাম বিড়ালের প্রায় সব কটি প্রজাতিই বিলুপ্তির পথে। মানুষের চাপে বাস্তুতন্ত্র পুরো তছনছ তাই পিছু হটতে হটতে কিছুদিনের মধ্যে হয়তো পুরো প্রজাতি গুলোই বিলুপ্ত হবে।
আজকের ছবি গুলোর বেশিরভাগ প্রাণী আগে থেকেই ভারতের রেড ডাটা বুকে ঢুকে আছে। দুর্ভাগ্য থাকলে হয়তো আগামী কয়েকবছরে তাঁরা নিশ্চিহ্ন হয়েও যাবে।
support me please